আমেরিকার ইতিহাসে তৃতীয়বারের মতো এমন কোনো বিচার অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আর তা আরম্ভ করা হয়েছে নির্বাচনের বছরের শুরুতে। ট্রাম্পের বিচার করতে বসা সিনেটরদের মধ্যে চারজন আগামী নির্বাচনে তার মুখোমুখি হওয়ার জন্য ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মনোনয়ন পাওয়ার দৌড়ে রয়েছেন।
সংবিধানে পাওয়া ক্ষমতা বলে এ বিচার প্রক্রিয়ায় সভাপতিত্ব করছেন প্রধান বিচারপতি জন রবার্ট। ধারণা করা হচ্ছে তার কাজ হবে পুরো কার্যক্রমে রেফারির ভূমিকা পালন করা।
গত মাসে প্রতিনিধি পরিষদে অভিশংসিত হওয়া ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগ রয়েছে। একটি হলো যে তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাটিক পার্টির জো বাইডেনের বিষয়ে তদন্ত চালাতে ইউক্রেনের ওপর চাপ প্রয়োগ করেছিলেন। সেই সাথে চাপ দেয়ার এ বিষয়টি তদন্তে কংগ্রেসকে বাধা দেয়ার অভিযোগ রয়েছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে।
তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করেন যে তিনি কোনো ভুল করেননি। আর বৃহস্পতিবার নতুন বিচারকে ‘পুরোপুরি পক্ষপাতমূলক’ ও ‘ধাপ্পাবাজি’ বলে উড়িয়ে দেন।
রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত সিনেটের বিচারে শেষ পর্যন্ত ট্রাম্প খালাস পেয়ে যাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে, সামরিক সহায়তার বিনিময়ে ইউক্রেনকে ট্রাম্প যে চাপ দিয়েছেন সে বিষয়ে নতুন তথ্যও বেরিয়ে আসছে।
সরকারের জবাবদিহি কার্যালয় বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, প্রতিপক্ষ রাশিয়ার সাথে সীমান্ত থাকা ইউক্রেন থেকে নিরাপত্তা সহায়তা প্রত্যাহার করে নেয়ার ক্ষেত্রে হোয়াইট হাউজ ফেডারেল আইন লঙ্ঘন করেছে।
এদিকে, ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আইনজীবী রুডি জুলিয়ানির সহযোগী লেভ পারনাস কৌঁসুলিদের কাছে নতুন নথি তুলে দিয়েছেন। এতে দেখা যায় প্রেসিডেন্টের হয়ে জুলিয়ানি ছায়া বৈদেশিক নীতি পরিচালনা করতেন।