এতে কোভিড-১৯ মহামারিতে মায়ের দুধের বিকল্প বা আগ্রাসী বিপণন চর্চার মিথ্যা দাবি থেকে পরিবারগুলোকে রক্ষার জন্য শক্তিশালী আইন গঠনের প্রয়োজনীয়তার ওপর আলোকপাত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মায়ের বুকের দুধ শিশুদের জীবন বাঁচাতে সহায়তা করে, কারণ এটি অ্যান্টিবডি সরবরাহ করে যা বাচ্চাদের স্বাস্থ্যকর বেড়ে ওঠা এবং শৈশবকালীন বিভিন্ন অসুস্থতা থেকে রক্ষা করে।
ডব্লিউএইচও এবং ইউনিসেফ মহামারি কোভিড-১৯ চলাকালীনও শিশুদের মায়ের দুধ খাওয়ানো চালিয়ে যেতে বলছে। এমনকি যে মায়েদের কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে বা এ ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার সন্দেহ থাকলেও তাদের এ কাজ করে যেতে বলছে।
গবেষকরা কোভিড-১৯ আক্রান্ত বা সন্দেহভাজন মায়েদের বুকের দুধের পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে, এখন পর্যন্ত যা প্রমাণ পাওয়া গেছে তাতে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে বা সন্দেহভাজন মায়েদের বুকের দুধ খাওয়ানোর মাধ্যমে এ ভাইরাস সংক্রামিত হওয়ার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
ভাইরাসের সাথে সম্পর্কিত অসুস্থতার সম্ভাব্য ঝুঁকি থাকলেও মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর অসংখ্য সুবিধা সেগুলোকে ছাপিয়ে যায়। সে জন্য এখন শিশুদের প্রক্রিয়াজাত দুধ খাওয়ানো নিরাপদ হবে না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, প্রতিবেদনে বিশ্লেষণ করা ১৯৪টির মধ্যে ১৩৬ দেশ মায়ের বুকের দুধের বিকল্পগুলোর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য পরিষদের রেজ্যুলেশন পাশ করেছে।