মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের ঘটনায় ঐক্যবদ্ধভাবে নিন্দা জানিয়েছেন কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
এক বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘২০২০ সালের নভেম্বরের নির্বাচনের ফলাফলকে অবশ্যই সম্মান করতে হবে এবং দ্রুত সংসদ আহ্বান করা উচিত।’
মিয়ানমারের সামরিক শাসনের প্রধান ঘটনাগুলো
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, স্টেট কাউন্সেলর অং সান সুচি ও প্রেসিডেন্ট ইউ উইন মিন্টসহ অন্যান্য রাজনৈতিক নেতা ও সুশীল সমাজের নেতা-কর্মীদের আটক এবং গণমাধ্যমকে লক্ষ্যবস্তু করায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
তারা বলেন, তথ্য প্রবাহে সামরিক বাহিনীর নিষেধাজ্ঞাগুলো গভীর উদ্বেগের বিষয়।
জি-৭ নেতারা বলেন, ‘সুশীল সমাজ, মিডিয়াসহ বেসামরিক নাগরিকদের কোনোভাবেই প্রতিশোধের শিকার হওয়া উচিত নয়। সর্বাধিক দুর্বলদের সহায়তায় আমরা মানবিক অধিকার পাওয়ার আহ্বান জানাই।’
জরুরি অবস্থা শেষে নতুন নির্বাচন: মিয়ানমার সেনাবাহিনী
জি-৭ পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ২০১৯ সালে তাদের যোগাযোগের কথা স্মরণ করে বলেন, ‘আমরা মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক উত্তরণ, শান্তি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য জবাবদিহিতার প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছি।’
‘আমরা মিয়ানমারের জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছি যারা গণতান্ত্রিক ভবিষ্যত দেখতে চায়,’ বলেন তারা।
মিয়ানমারের শীর্ষস্থানীয় নেত্রী স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি এবং দেশটির রাষ্ট্রপতি ইউ উইন মিন্টকে সোমবার ভোরে আটক করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। তারা জানিয়েছে এক বছরের জরুরি অবস্থা শেষ হওয়ার পর দেশে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং তারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা নতুন সরকারের হাতে ফিরিয়ে দেবে।
সু চিসহ আটক মানবাধিকার কর্মীদের মুক্তি দিতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান
স্টেট কাউন্সেলর, রাষ্ট্রপতি এবং অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সামরিক বাহিনীর হাতে আটক হওয়ার পর মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়। জরুরি অবস্থা চলাকালীন ইউনিয়ন নির্বাচন কমিশনকে সংস্কার এবং গত বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচন পর্যালোচনা করা হবে বলে সামরিক বাহিনীর তরফ থেকে বলা হয়েছে।