জাতিসংঘের মানবিক ত্রাণ সংস্থা বলছে, সংঘর্ষে বিধ্বস্ত মিয়ানমারে প্রথমবারের মতো বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়েছে।
সংস্থাটির মতে, গত বছর সেনা দখলের পর অর্ধেকেরও বেশি মিয়ানমার নাগরিক তাদের ঘরবাড়ি হারিয়েছে।
জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয় কার্যালয় (ওসিএইচএ) একটি প্রতিবেদনে বলছে, সামরিক সরকার এবং বিরোধীদের মধ্যে চলমান লড়াই, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ক্রমবর্ধমান মূল্য এবং বর্ষা মৌসুমের কারণে ইতোমধ্যেই দেশটির জটিল পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে শুরু করেছে। এছাড়াও দেশটিতে ত্রাণ তৎপরতা মারাত্মকভাবে অপর্যাপ্ত।
এই প্রতিবেদনে ২৬ মে পর্যন্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র, আসিয়ানকে সামরিক জান্তার ওপর চাপ বাড়ানোর আহ্বান
ওসিএইচএ বলছে, মিয়ানমারে সম্প্রতি যুদ্ধ বেড়েছে। ঘনঘন নির্বিচারে হামলা, ল্যান্ডমাইন এবং যুদ্ধের বিস্ফোরকের অবশিষ্টাংশসহ বিস্ফোরণ জড়িত ঘটনার কারণে দেশটির বেসামরিক নাগরিকদের অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, সেনাবাহিনীর দখল নেয়ার পর থেকে মিয়ানমারে ছয় লাখ ৯৪ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, যার বেশিরভাগই জাতিগত সংখ্যালঘু।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীর দখল নেয়ার পর থেকে প্রায় ৪০ হাজার ২০০ মানুষ প্রতিবেশী দেশে পালিয়ে গেছে এবং ১২ হাজার ৭০০ টিরও বেশি ‘বেসামরিক সম্পত্তি’ (বাড়ি, গীর্জা, মঠ, স্কুল) ধ্বংস হয়েছে বলে অনুমান করা হয়েছে।
এই বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকের শেষ পর্যন্ত, মিয়ানমারের দুই দশমিক ছয় মিলিয়ন মানুষের কাছে মানবিক সহায়তা পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নিপীড়নকে ‘গণহত্যা’ ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের