ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে শুক্রবার ভোরে বিস্ফোরণ এবং অন্যান্য শহরে গুলি বর্ষণের শব্দ শোনা গেছে।
এদিকে ইউক্রেনে রুশ হামলার পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমা নেতারা জরুরি বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট আরও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার আবেদন জানিয়েছেন।
শুক্রবার সেনাবাহিনী বলেছে, এক দল রুশ গোয়েন্দা ও নাশকতাকারীকে কিয়েভের উপকণ্ঠের এক জেলায় দেখা গেছে। পুলিশ শহরের কেন্দ্রস্থলে একটি পাতাল রেল স্টেশন থেকে নাগরিকদের বের হতে নিষেধ করেছে। কেননা ওই এলাকায় গোলাগুলি হয়েছে।
আরও পড়ুন: রুশ ব্যাংক ও জ্বালানি খাতের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে একমত ইইউ
এছাড়া শহরের অন্য দিকে সেতুতে সৈন্যরা প্রতিরক্ষামূলক অবস্থান নিয়েছে এবং সাঁজোয়া যান সড়কে টহল দিচ্ছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে এটিই বৃহত্তম স্থল যুদ্ধ। বার বার আক্রমণের পরিকল্পনার কথা অস্বীকার করলেও পুতিন ইউক্রেনে হামলা চালান।
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পশ্চিমা মিত্রদের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার চেয়ে আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা এবং প্রতিরক্ষা সহায়তার জন্য বিশ্ব নেতাদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা দিল বাইডেন, জার্মানিতে সৈন্য মোতায়েন
তিনি বলেন, ‘যদি এখন আপনি আমাদের সহযোগিতা না করেন, যদি ইউক্রেনকে শক্তিশালী সহযোগিতা দিতে ব্যর্থ হন তাহলে আগামীকাল এই যুদ্ধ আপনার দরজায় কড়া নাড়বে।’
তিনি বলেন, রাশয়ার প্রথম লক্ষ্য তিনি। তবে তিনি রাজধানী কিয়েভেই থাকবেন।
২০ বছর বয়সী লুসি ভাশাকা বলেন, ‘আমরা সবাই ভীত এবং আতঙ্কিত। আমরা জানি না এরপর কী হবে। কয়েকদিনের মধ্যে কী ঘটতে চলেছে।’
আরও পড়ুন: পুতিন-মোদি ফোনালাপ: ইউক্রেনে সামরিক অভিযান বন্ধের আহ্বান
জেলেনস্কি বলেছেন, ১০ জন সামরিক কর্মকর্তাসহ ১৩৪ জন ‘নায়ক’ নিহত হয়েছেন এবং তার এক উপদেষ্টা বলেছেন, প্রায় ৪০০ রুশ বাহিনী মারা গেছে। তবে মস্কো কোনো হতাহতের সংখ্যা দেয়নি। তবে এসব দাবি স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি।
বৃহস্পতিবার রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালায়। রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী ট্যাঙ্ক ও ভারী সরঞ্জামসহ সব দিক থেকে প্রতিবেশী দেশটিতে প্রবেশ করেছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ইউক্রেনের প্রধান প্রধান শহরে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ও বিস্ফোরণের কথা জানিয়েছে।