নেপালের সবচেয়ে পুরোনো রাজনৈতিক দল নেপালি কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ নেতা রাম চন্দ্র পাওদেল দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে সোমবার কাঠমান্ডুতে শপথ নিয়েছেন।
এর আগে ফেডারেল পার্লামেন্ট ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যরা বৃহস্পতিবার রাম চন্দ্র পাওদেলকে নির্বাচিত করেন।
উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, কূটনীতিক এবং সংসদ সদস্যরা সোমবারের অনুষ্ঠানে নতুন রাষ্ট্রপতিকে অভিনন্দন জানান। সেসময় সামরিক ব্যান্ড দেশটির জাতীয় সংগীত পরিবেশন করে এবং তাকে অভিবাদন জানায়।
রাম চন্দ্র পাওদেল শপথ নেয়ার পর বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারি পদত্যাগ করেন।
যদিও দেশটিতে প্রেসিডেন্ট মূলত সামান্য রাজনৈতিক ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিত্ব।
আরও পড়ুন: নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দাহাল
কিন্তু এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহালের নেতৃত্বাধীন শাসক জোটের অংশীদারদের মধ্যে বিরোধের সূত্রপাত হয়।
কেননা দাহাল বিরোধীপক্ষের পাওদেলকে সমর্থন করেছিলেন, যিনি এখন নেপালী সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ কমান্ডারও।
অন্যদিকে তার প্রধান জোটের অংশীদার কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল- ইউনিফায়েড মার্কসিস্ট-লেনিনিস্টের (সিপিএন-ইউএমএল) তার নিজের প্রার্থী সুভাষ চন্দ্র নেমবাংকে সমর্থন করেছিল।
দলটি তখন থেকে দাহালের ক্ষমতা নিয়ে অভিযোগ করে জোট থেকে বেরিয়ে গেছে।
দাহাল তখন থেকে তিনটি প্রধান রাজনৈতিক দলের সমর্থন হারিয়েছে, যেগুলো তার প্রাথমিক জোট সরকারের অংশ ছিল।
এছাড়া ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য মার্চের পরেই সংসদে তার আস্থা ভোট চাইতে হবে।
দাহাল কেন বিরোধী প্রার্থীকে সমর্থন করার এবং তার জোটকে বিপন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তার কোনও স্পষ্ট ব্যাখ্যা ছিল না, তবে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ক্ষমতার লড়াই সাধারণ। গত ১০ বছরে দেশটিতে আটটি ভিন্ন সরকার ক্ষমতায় এসেছে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিপুল আস্থার প্রতিফলন: নেপাল