সৌদি রাষ্ট্রীয় খাতের প্রতিষ্ঠান আরামকো পরিচালিত দুটি তেল উত্তোলন ক্ষেত্রে এই হামলার দায় স্বীকার করেছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। কিন্তু পম্পেও তাদের সেই দাবি নাকচ করে দেন। খবর বিবিসি বাংলা।
এক টুইট বার্তায় পম্পেও বলেন, ইয়েমেন থেকেই যে ড্রোনগুলো এসেছিল, তার কোন প্রমাণ নেই। বিশ্বের তেল সরবরাহে এটি ছিল একটি নজিরবিহীন হামলা।
‘আমরা পৃথিবীর সব জাতিকে আহ্বান জানাই ইরানের এই হামলার প্রকাশ্য ও দ্ব্যর্থহীন নিন্দা জানাতে’, যোগ করেন তিনি।
বিশ্বের জ্বালানি সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্রদের সাথে কাজ করবে উল্লেখ করে মার্কিন মন্ত্রী আরও বলেন, ‘এই আগ্রাসনের জন্য ইরানই দায়ী’।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে।
হোয়াইট হাউজ বলছে, সৌদি আরব যাতে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে এজন্য তাদেরকে সাহায্যের প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে সৌদি আরবের জ্বালানি মন্ত্রী বলেছেন, এই হামলার কারণে অপরিশোধিত তেল উৎপাদন দৈনিক ৫৭০ লাখ ব্যারেল হ্রাস পেয়েছে। দেশটির দৈনিক তেল উৎপাদনের অর্ধেকের সমান এটা।
গণমাধ্যমে প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে শনিবার দেখা যায়, আবাকাইক শহরে আরামকোর বৃহত্তম তেল প্রক্রিয়াজাত প্রকল্পে শনিবার বিরাট অগ্নিকাণ্ড হয়। এসময় খুরাইস তেলক্ষেত্রে দ্বিতীয় একটি ড্রোন আক্রমণ ঘটে যা সেখানেও অগ্নিকাণ্ড সৃষ্টি করে।
আবাকাইক তেল পরিশোধনাগারটি সৌদি আরবের পূর্বের প্রদেশ দাহরাইন থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত এবং দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম তেলক্ষেত্র খোড়াইস তার থেকে আরও প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে।
এর আগে ২০০৬ সালে সৌদি নিরাপত্তা বাহিনী আবকোয়াইক তেল পরিশোধনাগারে আল কায়েদার আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানোর প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়েছিল।