শনিবার দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কোভিড-১৯ থেকে পুনরুদ্ধার করা মানুষরো দ্রুতই আবার সংক্রমণের ঝুঁকিতে পড়তে পারেন কিনা সেটি স্পষ্ট না হলেও নতুন এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে এই সময়সীমা ‘তুলনামূলকভাবে সংক্ষিপ্ত’।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে সাত ধরনের করোনাভাইরাস রয়েছে যা মানুষকে সংক্রামিত করে। এর মধ্যে সার্স, মার্স এবং সার্স-কোভ-২ (করোনাভাইরাস সৃষ্টিকারী) এই তিনটি ভাইরাসকে প্রাণঘাতী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
অন্য চারটি ভাইরাস সাধারণ সর্দি-কাশি সৃষ্টি করে এবং এই একই ভাইরাস থেকে নিরাময়ের ছয় মাস পরে মানুষেরা পুনরায় সংক্রমিত হতে পারে।
আরও পড়ুন: করোনা: বিধিনিষেধ জোরদারের পথে যাচ্ছে ইউরোপ
বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় প্রায় ২৪ জন এমন রোগী শনাক্ত হয়েছেন যারা দ্বিতীয় দফায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তবে আসল সংখ্যাটি অনেক বেশি বলে মনে করা হয়, কারণ দ্বিতীয়বার আক্রান্তদের কোনো তালিকা নেই।
শনিবার প্রকাশিত সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে নতুন করে ১৬ হাজারের বেশি কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। যার ফলে এ সংখ্যা পৌঁছেছে ৭ লাখ ৫ হাজার ৪২৮ জনে।
দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ৪৩ হাজারের বেশি মানুষ।
এদিকে বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নিশ্চিত রোগীর সংখ্যা ৪ কোটির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সকাল পর্যন্ত সারা বিশ্বে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৯৮ লাখ ৮৪ হাজার ৬১৬ জন।
তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১১ লাখ ১২ হাজার ৫৩৫ জন এবং ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে ইতোমধ্যে সেরে উঠেছেন ২ কোটি ৭৪ লাখ ১৮ হাজার ৯২১ ব্যক্তি।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রায় ৪ কোটি
সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বে প্রথমে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত ৮১ লাখ ছাড়িয়ে গেলে এবং ২ লাখ ১৯ হাজার ৬৭২ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
ভারতে মোট আক্রান্ত প্রায় ৭৫ লাখ এবং মারা গেছেন ১ লাখ ১৪ হাজার ৩১ রোগী। তৃতীয় সর্বোচ্চ ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ব্রাজিলে মোট শনাক্ত রোগী ৫২ লাখের অধিক এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৬৭৫ জনের।