২০১৯ সালের শেষদিকে উহান শহরে থেকে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে সন্দেহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞরা শহরটির বিভিন্ন স্থানে অনুসন্ধানে যাওয়ার পরেও দেশে ও বিদেশে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি।
একটি গণতান্ত্রিক দেশের রাজনৈতিক নেতাসহ অনেকেই করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মূল বিষয়গুলো গোপন করার চেষ্টা করে মহামারিতে ভুগতে থাকা বিভিন্ন দেশের ত্রাণকর্তা হিসেবে নেয়া পদক্ষেপের জন্য চীনের সমালোচনা করেছেন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে চীনের করোনা ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল শুরু
এক টিভি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ফুকুয়ামা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক জাপানি আইনজীবী ও রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ সুসেই তানাকা বলেন, সবাই মনে করছে মহামারি শুরুর পর থেকে প্রায় এক বছর পেরিয়ে যাওয়ায় এর কোনো প্রমাণই খুঁজে পাওয়া যাবে না।
সুসেই তানাকা বলেন, ‘ভ্যাকসিন কূটনীতি বাজে ধারণা নয়। তবে আমি মনে করি কোভিড-১৯ রোগের কারণ হিসেবে ভাইরাসটির উৎস এবং সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার বিষয়গুলো আরও খোলাসা করতে চীন বেশি অবদান রাখতে পারে।’
দুই সপ্তাহ কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরে, ডব্লিউএইচও থেকে চীনে যাওয়া দলটি জানুয়ারির শেষের দিকে উহানে পুরোদমে তদন্ত শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: ভারতে করোনার টিকা নেয়ার পর ৪৪৭ জন অসুস্থ
ভ্যাকসিন কূটনীতির লড়াইয়ে নেমেছে যেসব দেশ
ফেব্রুয়ারিতে তারা একটি গবেষণা ল্যাবরেটরি ঘুরে দেখে সেখান থেকে নতুন ভাইরাসটি দুর্ঘটনাক্রমে ছড়িয়ে পড়ার গুজব রটেছিল। স্থানীয় একটি বাজারে এক ঘণ্টার তদন্তে সেখানে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের প্রথম দিনগুলোতে অনেক লোক সংক্রমিত হয়েছিল বলে নিশ্চিত হয়েছিল।
ডব্লিউএইচও বিশেষজ্ঞ দলের সাথে থাকা রাশিয়ান ভ্লাদিমির দেদকভের বরাতে দেশটির রাষ্ট্র পরিচালিত একটি গণমাধ্যম জানায়, এটা বিশ্বাস করা খুবই কঠিন যে একটি ল্যাবরেটরি থেকে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে এবং বাজার থেকে ভাইরাসটির ছড়িয়ে পড়ার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: চীনের সিনোভ্যাক ভ্যাকসিন দিয়ে তুরস্কে শুরু গণ টিকাদান
চীনা বিশেষজ্ঞদের সাথে যৌথ তদন্ত চালানোর পরে ডব্লিউএইচও দলের প্রধান এবং খাদ্য নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ পিটার বেন এমবারেক মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ভাইরাসটি খুব সম্ভবত মধ্যস্থতাকারী কোনো প্রজাতির মাধ্যমে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন এক তত্ত্বে দেখিয়েছিল যে উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে ভাইরাসটির জন্ম হতে পারে। তবে বরাবরই এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছে চীন। আর এ নিয়ে বিশ্বের ক্ষমতাধর এই দুই রাষ্ট্রের মধ্যেকার সম্পর্ক আরও তীক্ততার দিকে মোড় নিয়েছে।