পতন
সপ্তাহজুড়ে পতনে ডিএসই হারিয়েছে সবকটি সূচক
সপ্তাহ ভালো কাটেনি ঢাকার পুঁজিবাজারে, টানা পতনে কমেছে সবকটি সূচক। সূচকের পতনের পাশাপাশি সারা সপ্তাহে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল নিম্নমুখী।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক লেনদেন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, পাঁচ কার্যদিবসে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
৫২২৫ পয়েন্ট নিয়ে শুরু হওয়া লেনদেন সপ্তাহ শেষে এসে ঠেকেছে ৫২০১ পয়েন্টে।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে১৩ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৭ পয়েন্ট।
বেহাল দশা ছোট এবং মাঝারি আকারের কোম্পানিতেই। ডিএসই'র এসএমই সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। এক সপ্তাহের লেনদেনে এ খাত ১.৬৩% সূচক হারিয়েছে।
সপ্তাহজুড়ে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল নিম্নমুখী। সারা সপ্তাহে ১৪৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৭ কোম্পানির। দর অপরিবর্তিত ছিল ৩৮ কোম্পানির এবং ১৮ কোম্পানি অংশ নেয়নি লেনদেনে।
সপ্তাহের শুরু থেকে বেশিরভাগ কোম্পানির দাম কমতে থাকলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ার বিক্রির ধুম লেগে যায়। এতে করে আদতে লেনদেন বাড়লেও বাড়েনি শেয়ারের সামগ্রিক দাম।
আরও পড়ুন: ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচক বাড়লেও কমেছে লেনদেন
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে পাঁচ কার্যদিবসের গড় লেনদেন ছিল ৪৭৮ কোটি টাকা, যা গত সপ্তাহের তুলনায় প্রায় ২২ শতাংশ বেশি।
তবে গড় লেনদেন বাড়লেও বাজার থেকে কমেছে মোট মূলধনের পরিমাণ। ব্রোকারেজ হাউজগুলোর দেয়া তথ্য অনুসারে, অনেক বিনিয়োগকারীই তলি তল্পা গুটিয়ে বাজার ছেড়েছেন। বাজারে বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাস গিয়ে ঠেকেছে তলানিতে।
ডিএসই'র সাপ্তাহিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৩৩৩ মিলিয়ন ডলার।
সপ্তাহজুড়ে ব্যাংক, আইটি, লাইফ ইনস্যুরেন্স, টেক্সটাইল, সাধারণ বীমা, ট্যানারি, টেলিকম এবং পাটখাতে রিটার্ন কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে।
অন্যদিকে মিউচুয়াল ফান্ড, সিরামিক, রিয়েল স্টেট, কাগজশিল্প, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, করপোরেট বন্ড, প্রকৌশল, জ্বালানি এবং ঔষধশিল্পে ভালো রিটার্ন এসেছে। এদের মধ্যে মিউচুয়াল ফান্ডে সর্বোচ্চ ৫ দশমিক ১৪ শতাংশ রিটার্ন এসেছে।
সপ্তাহজুড়ে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে শাইনপুকুর সিরামিকসের। পাঁচ কার্যদিবসে কোম্পানিটির মোট ১৬ কোটি ১৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয়ে আছে স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালস পিএলসি। সাপ্তাহিক হিসাবে কোম্পানিটির মোট ১৪ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
পাঁচ কার্যদিবসে ব্লক মার্কেটে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে মারিকোর শেয়ার। মারিকোর পরেই শেয়ার বিক্রিতে এগিয়ে আছে এক্সপ্রেস ইনস্যুরেন্স লিমিটেড, ব্যাংক এশিয়া, বিচ হ্যাচারি এবং খান ব্রাদার্স।
সারা সপ্তাহে লেনদেনে দরবৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে আছে প্রোগ্রেসিভ লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড। জেড ক্যাটাগরির এ কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৩০ শতাংশের বেশি। ৪৭ টাকায় লেনদেন শুরু হওয়া কোম্পানিটির শেয়ারের দাম সপ্তাহ শেষে হয়েছে ৬২ টাকা।
অন্যদিকে সাপ্তাহিক লেনদেনে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমেছে ১৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ৬৫ টাকায় শেয়ারপ্রতি লেনদেনে সপ্তাহ শেষে কমে হয়েছে ৫৬ টাকা।
পুঁজিবাজারে বেহাল দশা কাটিয়ে উঠতে গত সপ্তাহে সোমবার (১৭ মার্চ) পুঁজিবাজার উন্নয়নে চার সদস্যের কমিটি গঠন করেছে সরকার। কমিটি গঠনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হয়, দেশের পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিকে অধিকতর শক্তিশালীকরণ এবং সর্বোপরি দেশের পুঁজিবাজার উন্নয়নের জন্য কমিটি কাজ করবে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টাস্কফোর্স এবং কমিটি উভয়কেই কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। আর নইলে সভা করে বাজারে চলমান সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) বজায় ছিল সূচকের পতনের ধারা। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১৭ পয়েন্ট। ১৪৫৭৬ পয়েন্ট নিয়ে লেনদেন শুরু হলেও সপ্তাহান্তে সূচক দাঁড়িয়েছে ১৪৫৫৯ পয়েন্টে।
সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ৩০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫৪, কমেছে ১২৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পাঁচ কার্যদিবসে সিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের শেয়ার। এছাড়া লেনদেনে শীর্ষ তালিকায় আছে উত্তরা ব্যাংক, ফাইন ফুডস, রবি, ফু-ওয়ান সিরামিক এবং শাইনপুকুরের শেয়ার।
আরও পড়ুন: আবারও সূচক কমলো ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, বেড়েছে লেনদেন
সিএসইতে দরবৃদ্ধিতে শীর্ষে উঠে এসেছে প্যারামাউন্ট ইনস্যুরেন্স কোম্পানি। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি দাম বেড়েছে ১০ টাকা করে।
এছাড়া ভালো অবস্থানে আছে শাইনপুকুর সিরামিকস, ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচুয়াল, সেমি লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট এবং এস আলম কোল্ড রোলড স্টিলস।
অন্যদিকে দরপতনে শীর্ষে উঠে এসেছে সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। সপ্তাহ ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমেছে ১৫ টাকা। ডিএসই'র মতো সিএসইতেও ধস নেমেছে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজে। পাঁচ কার্যদিবসের লেনদেনে আলিফের শেয়ারপ্রতি দাম কমেছে ১৪ টাকা।
৪ দিন আগে
প্রথম কার্যদিবসের লেনদেনে ঢাকায় সূচকের পতন, চট্টগ্রামে উত্থান
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসের লেনদেনে ঢাকার বাজারে সূচকের পতন হলেও বেড়েছে চট্টগ্রামে। একইভাবে ঢাকায় বেশিরভাগ কোম্পানির দাম কমলেও, দাম বেড়েছে চট্টগ্রামের বাজারে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) রোববার (১৬ মার্চ) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস ১ এবং ব্লু-চিপ ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৯৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪৩, কমেছে ১৯০ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে তিন ক্যাটাগরিতেই দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেন হওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল অপরিবর্তিত। দাম বেড়েছে ৬ এবং কমেছে ১২ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে মোট ৪০ কোম্পানির ১৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে উত্তরা ব্যাংক সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সারাদিনের লেনদেনে ডিএসইতে ৪৪৮ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট হাতবদল হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে শাইনপুকুর সিরামিকস লিমিটেড।
আরও পড়ুন: সাপ্তাহিক পুঁজিবাজার: ক্ষুদ্র কোম্পানির উত্থান ভালো, হোঁচট খেল ব্যাংক খাত
অন্যদিকে ৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেড।
চট্টগ্রামে উত্থান
ডিএসইতে পতন হলেও সূচকের উত্থান হয়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭ পয়েন্টে।
সূচকের উত্থানের পাশাপাশি দাম বেড়েছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। মোট ১৮১ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৬৬ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
রোববার সিএসইতে মোট ৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে।
সারাদিনের লেনদেনে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে বেঙ্গল উইন্ডসোর থার্মোপ্লাস্টিক এবং ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ দাম কমে তলানিতে সোনালি পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেড।
১০ দিন আগে
বড় পতনের পর অবশেষে উত্থান পুঁজিবাজারে
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসের গত এক মাসের সর্বোচ্চ পতনের পর দ্বিতীয় দিনে এসে অবশেষে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সোমবার (১০ মার্চ) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৫ এবং ব্লু-চিপ ডিএস-৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
সূচক বাড়ার পাশাপাশি ডিএসইতে শেয়ার ক্রয়বিক্রয়ও বেড়েছে খানিকটা। সারাদিনের লেনদেনে মোট ৩৩৮ কোটি টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩৩৬ কোটি টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৯৪ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৭৪, কমেছে ১৩৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
‘এ’ এবং ‘বি’ ক্যাটাগরির বেশিরভাগ কোম্পানির দাম বাড়লেও দর কমেছে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে। জেড ক্যাটাগরির ৯৮ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৫, কমেছে ৪২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।আরও পড়ুন: প্রথম কার্যদিবসেই পতনে পর্যুদস্ত পুঁজিবাজার
ঢাকার ব্লক মার্কেটে ১৬ কোম্পানির মোট ১৩ কোটি ৬২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে বিচ হ্যাচারি সর্বোচ্চ ৬ কোটি ২৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
লেনদেন হওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগই দাম ছিল অপরিবর্তিত। দাম বেড়েছে ৭ এবং কমেছে ৫ কোম্পানির।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষে আছে বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড। অন্যদিকে ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তুং হাই নাইটিং লিমিটেড।
চট্টগ্রামেও উত্থানের ছোঁয়া
ঢাকার মতো সূচক বেড়েছে চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও। সারাদিনের লেনদেনে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭ পয়েন্ট। লেনদেনে অংশ নেয়া ২২১ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৯১, কমেছে ৯৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সূচক বাড়লেও কমেছে লেনদেন। সিএসইতে মোট ৪ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে যা গতদিনের চেয়ে ৪০ কোটি টাকা কম।
১৬ দিন আগে
পুঁজিবাজার: সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকায় উত্থান, চট্টগ্রামে পতন
উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে চলা পুঁজিবাজারে সপ্তাহের শেষদিনে ঢাকায় সূচক বাড়লেও কমেছে চট্টগ্রামের বাজারে। দুই বাজারেই লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানিরই দাম কমেছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ২ পয়েন্ট বাড়লেও ব্লু-চিপ ডিএস-৩০ ছিল শূন্যের ঘরে।
সারাদিনে ডিএসইতে মোট ৩৫৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩১৮ কোটি।
সূচক বাড়লেও লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানিরই দাম কমেছে। ডিএসইতে ৩৯৪ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৩৯, কমেছে ১৬৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
আরও পড়ুন: টানা পতন কাটিয়ে পুঁজিবাজারে সূচকের সামান্য উত্থান
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিরই বেশিরভাগ কোম্পানির দরপতন হয়েছে। অন্যদিকে ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগরই দাম ছিল অপরিবর্তিত; দাম বেড়েছে ৭ এবং কমেছে ৭ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে মোট ২৩ কোম্পানির দেড় কোটি শেয়ার ৪৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে প্রাইম ব্যাংক সর্বোচ্চ ২৬ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার বাজারে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে ডাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি ডেসকো। অন্যদিকে ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ দাম কমে তলানিতে আলহ্বাজ টেক্সটাইল লিমিটেড।
চট্টগ্রামে পতন
ঢাকায় উত্থান হলেও সপ্তাহের শেষদিনে এসে পতনের মুখে পড়েছে চট্টগ্রামের পুঁজিবাজার। সারাদিনের লেনদেনে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেয়া ২২৮ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৭৩, কমেছে ১১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সূচক কমার পাশাপাশি লেনদেনও কমেছে সিএসইতে। মোট ৩ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল সাড়ে ৩ কোটি টাকার ওপরে।
শেষ কার্যদিবসে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসই'র শীর্ষ শেয়ারে জায়গা করে নিয়েছে সি&এ টেক্সটাইলস লিমিটেড। অন্যদিকে ১০ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে হামিদ ফেব্রিকস পিএলসি।
২০ দিন আগে
টানা পতন কাটিয়ে পুঁজিবাজারে সূচকের সামান্য উত্থান
সপ্তাহের লেনদেন শুরুর প্রথম তিনদিন টানা পতনের পর অবশেষে চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের সামান্য উত্থান দেখলো ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজার।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বুধবার (৫ মার্চ) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ ডিএস-৩০ এর উত্থান ছিল দশমিকের ঘরে।
সূচক সামান্য বাড়লেও ডিএসইতে দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির। পাশাপাশি কমেছে প্রতিদিনকার শেয়ার এবং ইউনিটের লেনদেনের পরিমাণও। ডিএসইতে মোট ৩১৮ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩৩৮ কোটি টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৯৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১২৩, কমেছে ১৮৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৯০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে ‘এ’, ‘বি’ এবং ‘জেড’- তিন ক্যাটাগরিতেই দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেন হওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে অপরিবর্তিত ছিল বেশিরভাগের দাম। অন্যদিকে দাম বেড়েছে ৬ এবং কমেছে ১০ কোম্পানির।
লেনদেনে অংশ নেয়া তিন করপোরেট বন্ডের তিনটিরই দাম কমেছে। বুধবার সরকারি কোনো সিকিউরিটিজে বাজারে লেনদেন হয়নি।
ব্লক মার্কেটে ৩০ কোম্পানি ৬০ লাখ শেয়ার ১৭ কোটি টাকায় বিক্রি করেছে। এরমধ্যে বিচ হ্যাচারি সর্বোচ্চ ৭ লাখ ৬০ হাজার শেয়ার ৮ কোটি ১২ লাখ টাকায় বিক্রি করেছে।
আরও পড়ুন: লাগাতার পতনের মুখে পুঁজিবাজার, কমেছে সবকটি সূচক
ডিএসইতে ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ দরবৃদ্ধি পেয়ে শীর্ষে আছে হাক্কানি পাল্প অ্যান্ড পেপার মিলস লিমিটেড। অন্যদিকে ৯ দশমিক ২৮ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে সোনারগাঁও টেক্সটাইল লিমিটেড।
চট্টগ্রামেও সামান্য উত্থান
ঢাকার মতো চট্টগ্রামেও সূচকের সামান্য উত্থান হয়েছে। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক সূচক বেড়েছে ৪ পয়েন্ট। লেনদেনে অংশ নেয়া ২০৮ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৮৬ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সূচক বাড়লেও গতদিনের তুলনায় লেনদেন কমেছে সিএসইতে। সারাদিনের লেনদেনে মোট ৩ কোটি ৬১ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।
সিএসইতে ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে লিগ্যাসি ফুটওয়্যার লিমিটেড। অন্যদিকে ৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে ইস্টার্ন ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড।
২১ দিন আগে
লাগাতার পতনের মুখে পুঁজিবাজার, কমেছে সবকটি সূচক
চলতি সপ্তাহের লেনদেনের শুরু থেকেই পতনের মুখে পড়ে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজার, যার ধারা বজায় আছে সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে এসেও।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২৬ পয়েন্ট। এতে করে তিন দিনে ডিএসই সূচক হারিয়েছে ৫৩ পয়েন্ট।
গত সপ্তাহে শেষ কার্যদিবস ২৭ ফেব্রুয়ারি ডিএসই'র প্রধান সূচক ছিল ৫২৪৭ পয়েন্ট যা মঙ্গলবার এসে নেমেছে ৫১৯৪ পয়েন্টে।
ঢাকার বাজারে অন্য দুই সূচক শরীয়া ভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ৪ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৮ পয়েন্ট।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে পতন দিয়ে শুরু রমজানের লেনদেন
সূচক কমার পাশাপাশি কমেছে লেনদেনও। দিনের শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় শেষে মোট লেনদেন দাঁড়িয়েছে ৩৩৮ কোটি টাকায়, যা গতদিন ছিল ৩৮১ কোটি টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৯৬ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ৬৫ কোম্পানির। বাকি ২৬৭ কোম্পানির দাম কমেছে এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে ‘এ’, ‘বি’ এবং ‘জেড’- তিন ক্যাটাগরিরই বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল নিম্নমুখী। অন্যদিকে লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৭ মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে ২, কমেছে ১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ২০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মূল ইনডেক্স বাদে ডিএসই'র এসএমই সূচকেও রীতিমতো ধস নেমেছে। লেনদেন শেষে ডিএসএমইএক্স কমেছে ২৩ পয়েন্ট, যা গতদিনের থেকে ২ দশমিক ৩৩ শতাংশ কম।
সূচকে কমার পাশাপাশি ক্ষুদ্র এবং মধ্যম আকারের তালিকাভুক্ত এসব কোম্পানির শেয়ার লেনদেনও ঠেকেছে তলানিতে; মোট ১ কোটি ৮১ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড। অন্যদিকে ৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে সোনারগাঁও টেক্সটাইল লিমিটেড।
এদিন ব্লক মার্কেটে মোট ২০ কোম্পানি ৮ কোটি টাকায় ১৭ লাখ শেয়ার বিক্রি করেছে। এরমধ্যে এসিআই লিমিটেড সর্বোচ্চ ১ লাখ ৫০ হাজার শেয়ার ২ কোটি ৪৭ লাখ টাকায় বিক্রি করেছে।
বড় পতনে চট্টগ্রামও
ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জও (সিএসই) বড় পতনের মুখে পড়েছে। সারাদিনের লেনদেনে সিএসই'র সার্বিক সূচক কমেছে ৮২ পয়েন্ট।
আরও পড়ুন: আবারও পতনে পুঁজিবাজার, কমেছে সূচক ঢাকা-চট্টগ্রামে
লেনদেনে অংশ নেয়া ২২৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫১, কমেছে ১৪৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
তবে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় লেনদেন কিছুটা বেড়েছে সিএসইতে। মঙ্গলবার সিএসইতে মোট ৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা।
৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসই'র শীর্ষ শেয়ারে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ ল্যাম্পস পিএলসি। অন্যদিকে ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে প্যারামাউন্ট ইনস্যুরেন্স পিএলসি।
২২ দিন আগে
পুঁজিবাজারে পতন দিয়ে শুরু রমজানের লেনদেন
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস এবং রমজানের প্রথম দিনে ঢাকা এবং চট্টগ্রাম দুই পুঁজিবাজারেই সূচকের পতন হয়েছে, পাশাপাশি কমেছে লেনদেনও।
রমজানের প্রথমদিনে নতুন সময়সূচি অনুযায়ী লেনদেন শুরু হয় ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। এতদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত লেনদেন চললেও রোজায় লেনদনের সময় কমিয়ে দুপুর দেড়টায় নিয়ে আসা হয়।
প্রথম দিনের পরিবর্তিত সময়সূচিতে রবিবার (২ মার্চ) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমে ১০ পয়েন্ট। এর বাইরে শরিয়াভিত্তিক এবং ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচকও ছিল নেতিবাচকের ঘরে।
রোজার প্রথম দিন সূচক কমা অনেকটা স্বাভাবিক বলে জানিয়েছে ব্রোকারেজ হাউসগুলো। তাদের দেয়া তথ্য অনুসারে, হঠাৎ করে নতুন সময়সূচিতে বাজারের খাপ খেতে সময় লাগে। এতে করে রমজানের প্রথম দিন সূচক কমার সম্ভাবনা থাকে বেশি।
ডিএসইতে সূচক কমার পাশাপাশি কমেছে লেনদেনের পরিমাণও। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ৪৮৭ কোটি টাকার লেনদেন কমে নেমে আসে ৪২১ কোটি টাকায়।
লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪৪, কমেছে ১৮৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে ‘এ’ এবং ‘বি’ ক্যাটাগরির বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমলেও, দাম বেড়েছে জেড ক্যাটাগরিতে। ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৯৯ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪১, কমেছে ৩৬ এবং অপরিবর্তিত আছে ২২ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৭ মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বদলায়নি বেশিরভাগের। দাম কমেছে ১৪ এবং বেড়েছে ৫ ফান্ড কোম্পানির শেয়ারের।
রোববার ব্লক মার্কেটে মোট ৪২ কোম্পানি তাদের ৭২ লাখ শেয়ার ২৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকায় বিক্রি করেছে। এরমধ্যে ইস্টার্ন ব্যাংক সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে একদিনের লেনদেনে ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে এইচ আর টেক্সটাইল লিমিটেড। অন্যদিকে ৯ শতাংশ দাম কমে তলানিতে শাইনপুকুর সিরামিকস লিমিটেড।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজার: সূচকের পতন দিয়েই শেষ হলো সপ্তাহ
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রামের বাজারেও। রোববার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ২৫ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ২০৪ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৭৬, কমেছে ৯৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সারাদিনে সিএসইতে মোট ৫ কোটি ১৬ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট ক্রয় বিক্রয় হয়েছে।
সিএসইতে সারাদিনের লেনদেনে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে উঠে এসেছে আজিজ পাইপস লিমিটেড। অন্যদিকে ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড।
২৪ দিন আগে
পুঁজিবাজার: সূচকের পতন দিয়েই শেষ হলো সপ্তাহ
উত্থান দিয়ে শুরু হলেও ঢাকা ও চট্টগ্রাম পুঁজিবাজারে পতনের মধ্য দিয়েই শেষ হয়েছে সপ্তাহ। সপ্তাহের শেষ দিনে এসে দুই পুঁজিবাজারের সবকটি সূচক কমেছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) লেনদেন শেষে কমেছে ৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৬ এবং বাছাইকৃত ব্লু-চিপ কোম্পানির ডিএস-৩০ কমেছে ২০ পয়েন্ট।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। গতকালের (বুধবার) ৪৬৩ কোটি টাকার বিপরীতে আজ লেনদেন বেড়ে হয়েছে ৪৮৭ কোটি টাকা।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৯ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৯৩টির, কমেছে ১৩৩টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’ প্রতিটি ক্যাটাগরিতেই বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া ৩৭ মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে ১২টির, কমেছে ১১টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিন পাঁচটি করপোরেট বন্ডের মধ্যে একটিরও দাম বাড়েনি, তবে কমেছে ৩টির এবং দুটির দাম অপরিবর্তিত আছে।
ব্লক মার্কেটে আজ মোট ৩০টি কোম্পানির ৫৪ লাখ শেয়ার ১৪ কোটি ৭০ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে বিচ হ্যাচারি একাই ৫ কোটি ৭৯ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকায় উত্থান, চট্টগ্রামে পতন
ডিএসইতে ৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে বাংলাদেশ ল্যাম্পস পিএলসি। অন্যদিকে, ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
পতনের মুখে চট্টগ্রামও
সারা দিনের লেনদেনে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫০ পয়েন্ট। লেনদেন হওয়া ২১৯ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৯৭টির, কমেছে ৯১টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৩১টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সূচক কমলেও ঢাকার মতো সিএসইতেও বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট লেনদেন হয়েছে ১০৩ কোটি টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে চট্টগ্রামের বাজারে শীর্ষে আছে হামিদ ফেব্রিক্স পিএলসি। অন্যদিকে, ৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ দাম কমে তলানিতে মীর আখতার হোসাইন লিমিটেড কোম্পানি।
২৬ দিন আগে
টানা তিন দিন উত্থানের পর পুঁজিবাজারে ফের পতন
টানা তিন কার্যদিবস উত্থানের পর আবারও পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা, চট্টগ্রামের পুঁজিবাজার। এতে করে একদিকে কমেছে সূচক, অন্যদিকে দর নেমে গেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৪ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ২ এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির ডিএস-৩০ কমেছে ৪ পয়েন্ট।
গত কার্যদিবসের বছরের সর্বোচ্চ ৬০০ কোটি টাকার ওপর লেনদেন একদিনের মাথায় আজ তা কমে দাঁড়িয়েছে ৪৬৩ কোটি টাকায়।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১২৭টি কোম্পানির। বিপরীতে দাম কমেছে ২০৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—সবকটিতেই ছিল কোম্পানিগুলোর দরপতনের প্রাধান্য। বিশেষ করে, ভালো কোম্পানির শেয়ার নামে খ্যাত ‘এ’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ২১৬টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৬১টির, কমেছে ২১৬টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দরবৃদ্ধি এবং অপরিবর্তিতের তালিকায় ছিল সিংহভাগ কোম্পানি। বিপরীতে দাম কমেছে ১০টি কোম্পানির।
এদিন সরকারি ৪ করপোরেট বন্ডের সবকটির দাম বেড়েছে। দাম বেড়েছে লেনদেন হওয়া একটি সরকারি সিকিউরিটিজেরও।
আরও পড়ুন: রমজানে পুঁজিবাজারে লেনদেনের নতুন সময়সূচি প্রকাশ
ব্লক মার্কেটে আজ মোট ২৭টি কোম্পানির ২৬ লাখ শেয়ার ১১ কোটি ৯০ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে বিকন ফার্মাসিটিক্যালস সর্বোচ্চ ৩ কোটি ১৫ লাখ টাকার শেয়ার বাজারে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে সারা দিনের লেনদেনে ৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড। অন্যদিকে, ৯ দশমিক ৪২ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে মিডল্যান্ড ব্যাংক পিএলসি।
চট্টগ্রামেও পতন
ডিএসইর মতো পতনের মুখে পড়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জও (সিএসই)। সকালে উত্থান দিয়ে শুরু করলেও দিনের শেষে সিএসইর সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ২১২টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৭৮টির, কমেছে ৯৯টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে আজ মোট ১০ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকার মতো চট্টগ্রামেও ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড।
অন্যদিকে, ১০ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে ভ্যানগার্ড এএমএল রুপালি ব্যাংক ব্যালেন্সড ফান্ড।
২৭ দিন আগে
সূচকের পতন হলেও বছরের সর্বোচ্চ লেনদেন পুঁজিবাজারে
ঢাকা-চট্টগ্রামে সূচকের উত্থান দিয়ে দিন শুরু হলেও শেষটা ভালো হয়নি পুঁজিবাজারে। সারাদিনের লেনদেন শেষে সূচক কমেছে দুই বাজারেই। তবে সূচকের পতন হলেও রাজধানীর পুঁজিবাজারের লেনদেন ছাড়িয়ে গেছে এ বছর সব রেকর্ড।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক কমেছে ৮ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএসের সূচক নেমেছে দশমিকের নিচে এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৫ পয়েন্ট।
সূচক কমেছে ক্ষুদ্র এবং মাঝারি কোম্পানির এসএমই শেয়ারেও। ডিএসএমইর সূচক কমেছে তিনি পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে বেশিরভাগেরই। ১৩৬ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দরপতন হয়েছে ২০৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে ‘এ’, ‘বি’ এবং ‘জেড’ তিন ক্যাটাগরিতেই বেশিরভাগ কোম্পানির দাম ছিল নিম্নমুখী। তবে বেড়েছে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারের দাম। ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৮, কমেছে ৬ এবং অপরিবর্তিত আছে ১২ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ব্লক মার্কেটে ৩৩ কোম্পানির ৬৭ লাখ শেয়ার ৩৫ কোটি টাকায় বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে বিচ হ্যাচারি সর্বোচ্চ ৮ লাখ ৭০ হাজার শেয়ার ৯ কোটি টাকায় বিক্রি করেছে।
আরও পড়ুন: উত্থানে চলছে পুঁজিবাজারের লেনদেন
শীর্ষ কোম্পানির তালিকায় ৯ দশমিক ৪০ শতাংশ দাম বেড়ে জায়গা করে নিয়েছে এস আলম কোল্ড রোলড স্টিলস লিমিটেড। অন্যদিকে ৫ শতাংশের ওপর দাম হারিয়ে তলানিতে হাক্কানি পাল্প অ্যান্ড পেপার মিলস।
সর্বোচ্চ লেনদেন
চলতি বছরের সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে ডিএসইর বাজারে। মঙ্গলবার ডিএসইর লেনদেন বেড়ে হয়েছে ৫৯৯ কোটি টাকা, যা গতদিন ছিল ৪৪৩ কোটি টাকা।
এর আগে ১১ ফেব্রুয়ারি ৫১৯ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিল, যা ছিল এ বছরে সর্বোচ্চ। এ নিয়ে ফেব্রুয়ারি মাসে দুইবার লেনদেন ৫০০ কোটি ছাড়িয়ে গেল।
ব্রোকারেজ হাউজগুলো বলছে, সূচক কমতে থাকায় অনেকেই হাতে থাকা শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন। এজন্যই লেনদেন এতটা বেড়েছে।
লভ্যাংশ ঘোষণা
দুই কোম্পানি মঙ্গলবার শেয়ারবাজারে ২০২৪ সালের লভ্যাংশ ঘোষণা দিয়েছে। টেলিকম কোম্পানি রবি গত বছরের আয়ের ওপর প্রতি শেয়ারের ফেস ভ্যালুর ভিত্তিতে বিনিয়োগকারীদের ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
অন্যদিকে সামিট পাওয়ার বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। লভ্যাংশ ঘোষণা করায় নিয়মানুযায়ী কোম্পানি দুটির শেয়ারের দামের সার্কিট ব্রেকার তুলে দিয়ে প্রাইস লিমিট ওপেন করে দিয়েছে ডিএসই।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান, বেড়েছে লেনদেন
চট্টগ্রামেও পতন
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) একদিনের লেনদেনে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট। লেনদেন হওয়া ২১১ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৯০, কমেছে ৮১ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সূচক কমলেও ঢাকার মতো লেনদেন বেড়েছে চট্টগ্রামেও। একদিনে সিএসইতে ৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ২ কোটি ৯১ লাখ টাকা।
সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে স্কয়ার নিট কোম্পোজাইট পিএলসি এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে আইসিবি প্রভিডেন্ট মিউচুয়াল ফান্ড।
৩৬ দিন আগে