পতন
পতন দিয়ে লেনদেন শুরু ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসেও পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, সূচক হারিয়েছে দুই বাজারই। সপ্তাহের শুরুতে পতন দিয়ে শুরু হওয়া পুঁজিবাজার এখনো সেই একই ধারা অব্যাহত রেখেছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৪ পয়েন্ট করে।
পুঁজিবাজারের প্রথমার্ধে লেনদেন হয়েছে ১৮০ কোটি টাকা। দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
আরও পড়ুন: পতনের ধারা যেন থামছেই না পুঁজিবাজারে
২০৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই), লেনদেনের শুরুতেই সার্বিক সূচক কমেছে ৭০ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৬৩ কোম্পানির মধ্যে ৪১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১০৪ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ২ কোটি ৭৫ লাখ টাকার ওপর লেনদেন হয়েছে।
১৩ দিন আগে
পতনের ধারা যেন থামছেই না পুঁজিবাজারে
টানা এক সপ্তাহ পতনের পর নতুন সপ্তাহও শুরু হয়েছে পতন দিয়ে, যার ধারাবাহিকতায় সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজার।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সোমবার (২১ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৮ এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
সূচক কমার পাশাপাশি ঢাকার বাজারে কমেছে সামগ্রিক লেনদেনও। চলতি সপ্তাহের শুরুতেই লেনদেন নেমে এসেছে ৩৫০ কোটি টাকার ঘরে। সোমবার ডিএসইতে মোট ৩৫৯ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।
সূচক এবং লেনদেন কমার পাশাপাশি দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭ কোম্পানির মধ্যে ১০৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২৩৪ কোম্পানির। ৬০ কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড প্রতিটি ক্যাটাগরিতে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল তলানিতে। বিশেষ করে এ ক্যাটাগরির ২১৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৯ কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৪১ কোম্পানির। অপরিবর্তিত ছিল ২৯ কোম্পানির দাম।
তালিকাভুক্ত ৩৬ মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগরই দাম ছিল নিম্নমুখী। ৪ কোম্পানির ইউনিটের দাম বাড়লেও কমেছে ২২ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
ডিএসই ব্লক মার্কেটে মোট ২৭ কোম্পানি ১৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে। এরমধ্যে মিডল্যান্ড ব্যাংক সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষে আছে শাহবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড। অন্যদিকে ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে বিচ হ্যাচারি।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজার: সপ্তাহজুড়ে চলল সূচক, লেনদেন ও শেয়ারের মূল্যপতন
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সমানতালে পতনের মুখোমুখি চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৬২ পয়েন্ট।
অন্যান্য সূচকের মধ্যে বেঞ্চমার্ক সূচক সিএসই-৫০ এবং শরিয়াভিত্তিক সিএসআই কমেছে ৬ পয়েন্ট করে।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৯৮ কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে ১১৪ কোম্পানির। ৪৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল ঊর্ধ্বমুখী এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামেও লেনদেনের শীর্ষে শাহবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড। অন্যদিকে ১০ শতাংশ দর হারিয়ে সিএসইতে তলানিতে আইসিবি এএমসিএল সোনালী ব্যাংক লিমিটেড ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড।
১৪ দিন আগে
পুঁজিবাজার: সপ্তাহজুড়ে চলল সূচক, লেনদেন ও শেয়ারের মূল্যপতন
সপ্তাহজুড়ে টানা পতনে সবদিক থেকে বড় রকমের হোঁচট খেয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজার। সূচক কমার পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে লেনদেন এবং বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, চার কার্যদিবসের লেনদেনে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০৮ পয়েন্ট। ৫ হাজার ২০৫ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তাহ শুরু করে পতনে শেষমেষ সূচক ঠেকেছে ৫ হাজার ৯৭ পয়েন্টে।
সারা সপ্তাহের লেনদেনে প্রধান সূচক ২ শতাংশের বেশি কমার পাশাপাশি বাকি সূচকের রীতিমতো ভরাডুবি হয়েছে। শরীয়াভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের সূচকও (ডিএসইএস) কমেছে ২৯ পয়েন্ট। এতে করে প্রায় আড়াই শতাংশ সূচক হারিয়েছে এই খাত।
গত সপ্তাহে ভালো কোম্পানির শেয়ারও ভালো করতে পারেনি। বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৫২ পয়েন্ট।
এক ধাক্কায় সূচক ২.৭২ শতাংশ কমে যাওয়ায় যারা ভালো কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেছিলেন তারাও চোখে-মুখে অন্ধকার দেখছেন।
ছোট ও মাঝারি কোম্পানির এসএমই সূচক কমেছে ৪.১৫ শতাংশ। এক সপ্তাহে ডিএসএমইএক্স সূচক হারিয়েছে ৪০ পয়েন্ট। সব মিলিয়ে সূচকের হিসাবে ঢাকার পুঁজিবাজারের বেহাল দশা।
একই অবস্থা লেনদেনেও। আগের সপ্তাহে যেখানে গড় লেনদেন ছিল ৪৮৭ কোটি টাকা, এবার সেটি কমে নেমেছে ৩৯৯ কোটি টাকায়। এক ধাক্কায় লেনদেন কমেছে ১৮.১১ শতাংশ।
বিনিয়োগকারীরা বাজার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন, যার ছাপ পড়েছে শেয়ার হাতবদলের পরিমাণের ওপরে। এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে যেখানে ৯৮ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে, তৃতীয় সপ্তাহে এসে তা কমে হয়েছে ৫৭ কোটি।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে আবারও পতন, সূচক কমলো ১০৮ পয়েন্ট
সারা সপ্তাহে লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ৭৭টির। বিপরীতে ২৯৯টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট হারিয়েছে দর, ২০টির দর ছিল অপরিবর্তিত।
সপ্তাহজুড়ে মাত্র দুই খাতে রিটার্ন জমা বেড়েছে। করপোরেট বন্ড আর সাধারণ বীমা খাতে রিটার্ন জমা বাড়লেও বাকি খাতগুলো রীতিমতো ধুঁকছে। বিশেষ করে মিউচুয়াল ফান্ড ও সিরামিক খাতে রিটার্ন জমা কমেছে ৬ শতাংশের বেশি।
সামগ্রিক হিসাবে ব্যাংক খাতে শেয়ারের দাম বাড়লেও পৃথক প্রাতিষ্ঠানিক হিসাবে ভালো সময় যাচ্ছে না পুঁজিবাজারের গুরুত্বপূর্ণ এ খাতে। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬টি ব্যাংকের মধ্যে ২৪টিরই শেয়ারের দাম কমেছে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে শেয়ারের দাম কমেছে ৪১ শতাংশ এবং লেনদেন কমেছে ৩১ শতাংশ। ২৩টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পুরো সপ্তাহে দাম বেড়েছে মাত্র একটির, কমেছে ১৭টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সাধারণ বীমা খাতে ৮৫ শতাংশ দাম বাড়লেও জীবন বীমা খাতে দাম কমেছে ৫০ শতাংশের ওপরে। টেলিকম খাতে শেয়ারের দাম কমেছে ৩২ শতাংশ এবং আইটি খাতে কমেছে ৩৮ শতাংশ। ভালো করতে পারেনি প্রকৌশল খাতও, ১৬ শতাংশ দর হারিয়েছে এই খাত।
পতনের মধ্যেও ব্লক মার্কেটে সবচেয়ে বেশি শেয়ার বিক্রি করেছে ম্যারিকো, বিচ হ্যাচারি ও এসিআই লিমিটেড। ম্যারিকো ২৫ কোটি ২০ লাখ, বিচ হ্যাচারি ২৫ কোটি ১০ লাখ ও এসিআই ২০ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সপ্তাহের শীর্ষ শেয়ারে জায়গা করে নিয়েছে দেশ জেনারেল ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। ‘বি’ ক্যাটাগরির এই কোম্পানিটি চার কার্যদিবসে ২৪ শতাংশের ওপরে রিটার্ন দিয়েছে। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ২৫ টাকা যা এ সপ্তাহে বেড়ে হয়েছে ৩১ টাকা।
অন্যদিকে, ১৫ শতাংশের ওপর রিটার্ন হারিয়ে তলানিতে বাংলাদেশ ফাইন্যান্স। ‘এ’ ক্যাটাগরির এই কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ার ১২ টাকা থেকে কমে ১০ টাকায় নেমে এসেছে।
আরও পড়ুন: পতন যেন থামছেই না পুঁজিবাজারে
পর্যদুস্ত চট্টগ্রামও
ঢাকার মতো বেহাল দশা চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাপ্তাহিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এক সপ্তাহে সেখানকার সার্বিক সূচক কমেছে ২৫০ পয়েন্ট।
লভ্যাংশ না দেওয়া কোম্পানি ‘জেড’ ক্যাটাগরি বাদ দিয়ে চট্টগ্রামের সিলেক্টিভ ইনডেক্স সিএসসিএক্সেও পতন হয়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। সপ্তাহজুড়ে ‘এ’, ‘বি’, ‘জি’ ও ‘এন’ ক্যাটাগরির শেয়ারের সূচক কমেছে ১৪৯ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামের বেঞ্চমার্ক সূচক সিএসই-৫০ কমেছে ১৭ পয়েন্ট এবং শরীয়াভিত্তিক সূচক সিএসআই কমেছে ২১ পয়েন্ট। এছাড়া সিএসই তালিকাভুক্ত ক্ষুদ্র ও মাঝারি কোম্পানির এসএমই সূচক কমেছে ৪.৫৭ শতাংশ।
সারা সপ্তাহে ৩০১টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে, যার মধ্যে দাম বেড়েছে ৬৫টির, কমেছে ২১৮টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১৮টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে সাপ্তাহিক লেনদেনে শীর্ষে আছে আনোয়ার গ্যালভানাইজিং লিমিটেড। চার কার্যদিবসে ‘এ’ ক্যাটাগরির এই কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৮ টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের বাজার মূল্য ৮৭ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬৮ টাকা।
এদিকে, পুরো সপ্তাহে শেয়ারপ্রতি ২০ টাকা দর হারিয়ে তলানিতে আছে শমরিতা হাসপাতাল। সিএসইতে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার। চার দিনে কোম্পানিটির ৭ কোটি ৬০ লাখ টাকার শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
আরও পড়ুন: দোদুল্যমান সূচকে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে
হতাশ বিনিয়োগকারীরা
টানা দরপতনে বাজারের ওপর হতাশ হয়ে পড়েছেন বিনিয়োগকারীরা। অনেকেই তল্পিতল্পা গুটিয়ে বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) অ্যাকাউন্ট শূন্য করে বাজার ছাড়ছেন।
সেন্ট্রাল ডিপোজেটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) বিও অ্যাকাউন্টের হিসাব বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ঈদের ছুটির আগে শূন্য ব্যালেন্সের বিও অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২১০, যা সর্বশেষ কার্যদিবসে বেড়ে হয়েছে ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৩৬৭। অর্থাৎ এই কদিনে ৪ হাজার ১৫৭ জন বিনিয়োগকারী নিজেদের বিও অ্যাকাউন্ট থেকে সব টাকা তুলে নিয়েছেন।
পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারী তারেক হোসেন জানান, ‘বাজার সংস্কারে এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। যাদের জরিমানা করা হয়েছে এবং কারসাজির জন্য আটক করা হয়েছে, তাদের বিচারেরও কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। সব মিলিয়ে বাজার থেকে বিনিয়োগকারীরা ধীরে ধীরে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন।’
আরেক বিনিয়োগকারী হাবিবুর রহমান বলেন, ‘এখন পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের কোনো দাবি মেনে নেওয়া হয়নি। খারাপ কোম্পানি থেকে বেরিয়ে আসতে বাই-ব্যাক আইন চালু কথা বারবার বলা হলেও কমিশন সেদিকে ভ্রূক্ষেপ করছে না। আবার যারা মার্জিন ঋণ নিয়ে সর্বহারা হয়েছেন তাদের ব্যাপারেও কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।’
মার্জিন ঋণ প্রসঙ্গে বিনিয়োগকারী ফরিদুর রহমান বলেন, “এই ঋণের কারণে খারাপ কোম্পানির শেয়ারে ধস নামলে বাধ্য হয়ে ভালো কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করে দিতে হয়। এতে করে ‘জেড’ ক্যাটাগরির অনেক কোম্পানির জন্য ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির দাম কমে। সব মিলিয়ে বাজারে সৃষ্টি হয় পতনের ধারা।”
আরও পড়ুন: পতনে পর্যদুস্ত পুঁজিবাজার
আইপিও কেন আসছে না?
পুঁজিবাজারের মুখ থুবড়ে পড়ার বড় আরেকটি কারণ হিসাবে দেখা হচ্ছে ভালো কোম্পানির আগ্রহ না থাকা। চলতি বছর ভালো কিছু কোম্পানি বাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার কথা থাকলেও শেষপর্যন্ত ওই সিদ্ধান্ত আর আলোর মুখ দেখেনি।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নির্বাহী পরিচালক পদের এক কর্মকর্তা জানান, ‘চলতি বছর নতুন আর কোনো আইপিও আসার সম্ভাবনা নেই। ভালো ভালো কোম্পানিগুলো বাজারে বিনিয়োগে ভরসা পাচ্ছে না।’
তিনি বলেন, ‘সুপারিশ অনুযায়ী কোম্পানি তালিকাভুক্তির নিয়মনীতি ঢেলে সাজাচ্ছে বিএসইসি। গেজেট আকারে নতুন আইপিও আইন আসতে আসতে সেপ্টেম্বর মাস হয়ে যাবে। নতুন আইনের আওতায় নতুন কোম্পানি আসতে আরও পাঁচ-ছয় মাস। এতে করে ২০২৬ সালের মার্চ-এপ্রিলের আগে নতুন কোম্পানি তালিকাভুক্ত করা বড় চ্যালেঞ্জ।’
গত বছর আগস্টে দায়িত্ব নেওয়া নতুন কমিশন এতদিনে কেন ভালো কোনো কোম্পানি তালিকাভুক্ত করতে পারল না, এ প্রশ্নের জবাবে এই কর্মকর্তা জানান, ‘যেসব কোম্পানি ভালো মুনাফা করছিল, দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে তাদের প্রশাসনিক ও ব্যবস্থাপনা পর্ষদে পরিবর্তন এসেছে। নতুন পর্ষদের অধীনে অনেক কোম্পানি এখনও গুছিয়ে উঠতে পারেনি। এদিকে ব্যাংক ঋণের সুদহার আগের তুলনায় অনেক বেশি হওয়ায় এর প্রভাব সরাসরি পড়েছে কোম্পানির মুনাফার ওপরে। সব মিলিয়ে কোম্পানিগুলো ভালো করতে শুরু করলে তারা নিজ থেকেই পুঁজিবাজারের দিকে ঝুঁকবে।’
আরও পড়ুন: সপ্তাহের শুরুতেই সূচকের বড় পতন দেখল পুঁজিবাজার
ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্ত করতে চাইলে তাদের বড় অঙ্কের কর ছাড়ের ব্যবস্থা করা জরুরি বলে মনে করেন এ কর্মকর্তা। দেশের বড় বড় কোম্পানিকে নানা ধরনের সুবিধা দিয়ে বাজারে আনতে পারলে বাজার চাঙ্গা হবে বলে মত প্রকাশ করেন তিনি।
১৬ দিন আগে
পতন যেন থামছেই না পুঁজিবাজারে
টানা তিন কার্যদিবসেই পতনের সাক্ষী হলো ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজার। দুই বাজারেই কমেছে সূচক, পড়ে গেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২৬ পয়েন্ট। কমেছে বাকি দুই সূচকও; শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৭ এবং ব্লু-চিপ ডিএস-৩০ কমেছে ১৫ পয়েন্ট।
ক্ষুদ্র ও মধ্যম ধাচের কোম্পানিগুলোর এসএমই সূচকও মুখ থুবড়ে পড়েছে। ডিএসএমইএক্স সূচক হারিয়েছে ১৩ পয়েন্ট।
ডিএসই'র প্রধান সূচক বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ৫ হাজার ২০৫ পয়েন্ট নিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। যা তিন দিনে দফায় দফায় কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১০৫ পয়েন্টে। অর্থাৎ, সপ্তাহ শেষ হওয়ার আগেই ঢাকার বাজারে সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
সূচকের পাশাপাশি দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭ কোম্পানির মধ্যে ১২০ কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়লেও বিপরীতে দাম কমেছে ২১২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৪ কোম্পানির শেয়ারমূল্য।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল নিম্নমুখী।
লেনদেন অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে ২ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২৭ কোম্পানির, ৭ কোম্পানির ইউনিটের দাম অপরিবর্তিত আছে।
ডিএসই'র ব্লক মার্কেটে ২২ কোম্পানির ২১ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এসিআই লিমিটেড সর্বোচ্চ ১১ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
আরও পড়ুন: দোদুল্যমান সূচকে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে
নিম্নমুখী সূচকের পাশাপাশি লেনদেনেও ভাটা পড়েছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনের লেনদেনে ৩৯৬ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৪৪৬ কোটি টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষে আছে দেশ জেনারেল ইনসুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এবং ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ দাম কমে তলানিতে এবি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) কমেছে সূচকের পরিমাণ। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৪৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০৪ কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে ১২১ কোম্পানির এবং বেড়েছে ৬২ কোম্পানির। ২১ কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত আছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেনেও কমেছে চট্টগ্রামের বাজারে। সারাদিন ৫ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে—যা গতদিন ছিল ৭ কোটি ১৩ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এবং ৯ শতাংশ দাম কমে তলানিতে ইস্টার্ন ইনসুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড।
১৯ দিন আগে
সূচকের পতনে চলছে পুঁজিবাজারের লেনদেন
গত কার্যদিবসে পতনের বড় ধাক্কার পর নববর্ষের ছুটি কাটিয়েও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি পুঁজিবাজার, লেনদেন চলছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় কমেছে সবকটি সূচক।
প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৯ পয়েন্ট, শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৬ এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম নিম্নমুখী। ১১৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২০৭ কোম্পানি, ৭৪ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
আরও পড়ুন: সপ্তাহের শুরুতেই সূচকের বড় পতন দেখল পুঁজিবাজার
দিনের প্রথমাংশে ডিএসইতে শেয়ার এবং ইউনিটের মোট লেনদেন ২৪০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) লেনদেন চলছে বড় পতনের মধ্যে দিয়ে। প্রথম দুই ঘন্টায় সার্বিক সূচক কমেছে ৫৪ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেন অংশ নেয়া ১৩৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৫, কমেছে ৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ২২ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
২০ দিন আগে
সপ্তাহের শুরুতেই সূচকের বড় পতন দেখল পুঁজিবাজার
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসেই বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজার। সূচকের বড় পতন এবং বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমায় নাজেহাল অবস্থা বিনিয়োগকারীদের।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) রবিবার (১৩ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৫ পয়েন্ট, যা চলতি মাসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস-৬ এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০-ও কমেছে ১৫ পয়েন্ট।
আজ লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল নিম্নমুখী। লেনদেন অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে ৭৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দরপতন হয়েছে ২৭০টি কোম্পানির। ৪৮টি কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত আছে।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারমূল্য কমেছে। সবচেয়ে বেহাল দশা ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে। তালিকাভুক্ত ৯৫টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ৯টির, ৬৯টিরই দাম কমেছে, আর অপরিবর্তিত আছে ১৭টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৩টি কোম্পানির দরবৃদ্ধি এবং ৭টি কোম্পানির দর পরিবর্তন না হওয়ার বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫টি কোম্পানি।
আরও পড়ুন: সাপ্তাহিক পুঁজিবাজার: লেনদেনে সুবাতাস বইলেও সূচকে মন্দা
ব্লক মার্কেটে ৩০টি কোম্পানির মোট ৩৩ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে। এর মধ্যে সানলাইফ ইনস্যুরেন্স সর্বোচ্চ ৯ কোটি ৮৯ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচক কমার পাশাপাশি লেনদেনেও ভাটা পড়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে। সারা দিনে মোট ৪১৪ কোটি টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যা ছিল ৫৪০ কোটি টাকা।
খাতভিত্তিক দর
ঢাকার পুঁজিবাজারে করুণ দশা ব্যাংক খাতের শেয়ারে। তালিকাভুক্ত ২৬টি ব্যাংকের মধ্যে ৫টির শেয়ারের দরবৃদ্ধি এবং আর পাঁচটির দর অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দর কমেছে ১৬টি ব্যাংকের। এক দিনের লেনদেনে এই খাতে শেয়ারের দাম কমেছে ১ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
একইভাবে পতনের ছোঁয়া লেগেছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও। এই খাতে মাত্র একটি কোম্পানির দাম বেড়েছে, অপরিবর্তিত আছে ৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম এবং দাম কমেছে ১৮টি কোম্পানির।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ইনস্যুরেন্স খাতেও পতনের ধারা বজায় আছে। ১১টি কোম্পানির দরবৃদ্ধি এবং ৫টির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে তালিকাভুক্ত ৪২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে।
টেলিযোগাযোগ খাতে ৩টি কোম্পানির সবগুলোরই দাম কমেছে। টেক্সটাইল খাতে ৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪১টি কোম্পানির। ওষুধশিল্প খাতে ২৪টি কোম্পানির দাম কমেছে, বেড়েছে ৭টির এবং আইটি খাতে ৮টি কোম্পানির দর কমার বিপরীতে দর বেড়েছে মাত্র একটি কোম্পানির।
সামগ্রিকভাবে পাট, প্রকৌশল, খাদ্য ও সিমেন্ট খাতের প্রবৃদ্ধি হলেও এসব খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির দাম ছিল নিম্নমুখী। বিশেষ করে সিমেন্ট খাতে পতনের দিনেও প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২.৪৭ শতাংশ, কিন্তু তালিকাভুক্ত ৭টি কোম্পানির মধ্যে দর কমেছে ৪টি কোম্পানিরই।
মূল্যবৃদ্ধিতে শীর্ষে যারা
ঢাকার পুঁজিবাজারে ৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। দিনের শুরুতে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ১২৫ টাকা, যা দিন শেষে শেষে বেড়ে হয়েছে ১৩১.৬০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯০ শতাংশ দর বেড়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ওয়াটা কেমিক্যালস লিমিটেড। দিনের শুরুতে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ছিল ১২৪ টাকা, যা লেনদেন শেষে বেড়ে হয়েছে ১৩৪.৩০ টাকা।
এছাড়া ৮.৭৪ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছে হাইডেলবার্গ মেটারিয়ালস। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস ১০ এপ্রিল কোম্পানিটির সর্বশেষ শেয়ারপ্রতি দাম ছিল ২৭৩.৬০ টাকা, যা একদিনের ব্যবধানে বেড়ে ২৯৭.৫০ টাকা হয়েছে।
ওষুধ খাতের আরেক কোম্পানি অ্যাম্বি ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ারের দাম এক দিনে ৭.৪৩ শতাংশ বেড়েছে। ৮৫০.৯০ টাকা প্রতিটি শেয়ারের দাম দিন শেষে বেড়ে হয়েছে ৯১৪.১০ টাকা।
শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় পঞ্চমে থাকা মুন্নু অ্যাগ্রোর দাম বেড়েছে ৬.৯১ শতাংশ। এক দিনের ব্যবধানে ৩২০ টাকার শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ৩৪২.১০ টাকা।
পতনে শীর্ষে যেসব প্রতিষ্ঠান
ডিএসইতে পতনে শীর্ষে থাকা কোম্পানির মধ্যে ৯.৯৪ শতাংশ দাম হারিয়ে প্রথমে উঠে এসেছে আল-হ্বাজ টেক্সটাইল মিলস। ১৪১.৪০ টাকার লেনদেন হওয়া শেয়ারের দাম দিন শেষে কমে হয়েছে ১২৮.৬০ টাকা।
ব্যাংক খাতের মধ্যে ৯.৫৮ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে আছে প্রাইম ব্যাংক। এছাড়া সিরামিক খাতে শাইনপুকুর সিরামিকসের শেয়ারের দাম কমেছে ৮.১৪ শতাংশ।
আর্থিক খাতে ফিনিক্স ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের দাম কমেছে ৭.৫০ শতাংশ এবং ৫.৯১ শতাংশ দর হারিয়ে পতনের পঞ্চমে আছে এস আলম কোল্ড রোলড স্টিলস।
পতন চট্টগ্রামেও
ঢাকার মতো পতনের মুখে পড়েছে চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৩৮ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ১৯৫টি কোম্পানির মধ্যে ৫৬ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ১১৯টি কোম্পানি। এছাড়া ২০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসইতে। সারা দিনে সিএসইতে মোট ১৫ কোটি টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা এ মাসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
আরও পড়ুন: পতনের ধাক্কা দিয়ে শুরু পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবস
ঢাকার মতো চট্টগ্রামেও শীর্ষে আছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। এক দিনে সিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৯.৯৭ শতাংশ।
অন্যদিকে, ১১.১৬ শতাংশ দর হারিয়ে সিএসইতে তলানিতে রয়েছে প্রাইম ব্যাংক। গত কার্যদিবসে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ২৪.২০ টাকা, যা সারা দিনের লেনদেন শেষে কমে ২১.৫০ টাকায় নেমেছে।
২২ দিন আগে
পতনের ধাক্কা দিয়ে শুরু পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবস
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে লেনদেনের শুরুতেই পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজার, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) রোববার (১৩ এপ্রিল) লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির শেয়ার ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৮ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১০৬ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২০৯ কোম্পানি এবং দর অপরিবর্তিত আছে ৭৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
আরও পড়ুন: সাপ্তাহিক পুঁজিবাজার: লেনদেনে সুবাতাস বইলেও সূচকে মন্দা
প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকার বাজারে মোট শেয়ার এবং ইউনিটের লেনদেন ছাড়িয়েছে ২০০ কোটি টাকা।
একইভাবে সূচকের পতন হয়েছে চট্টগ্রামের বাজারেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১২৭ কোম্পানির মধ্যে ৩৮ কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ৬৭ কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত আছে ২২ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে শেয়ার এবং ইউনিটের লেনদেন ৪ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
২২ দিন আগে
কোনোভাবেই পতন থামছে না পুঁজিবাজারে
ঈদের ছুটির পর নতুন উদ্যোমে লেনদেন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ঘটেছে ঠিক বিপরীত। টানা তিন কার্যদিবসে সূচকের পতন হয়েছে দেশের পুঁজিবাজারে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসইএস ১ পয়েন্ট বাড়লেও ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৫ পয়েন্ট।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩৯৭ কোম্পানির বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ১৪৯ কোম্পানির শেয়ারের দরবৃদ্ধির বিপরীত দর কমেছে ১৯৪ কোম্পানির, অপরিবর্তিত আছে ৫৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে বি এবং জেড ক্যাটাগরিতে বেশিরভাগ কোম্পানির দাম কমলেও, দরবৃদ্ধির তালিকায় এগিয়ে আছে এ ক্যাটাগরি। এই ক্যাটাগরিভুক্ত ২১৯ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১০০ কোম্পানির, কমেছে ৯৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনে গতদিন মুখ থুবড়ে পড়লেও ভালো অবস্থানে উঠে এসেছে মিউচুয়াল ফান্ড। ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ২৯ কোম্পানির দাম বেড়েছে। দাম কমেছে ৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে ২৭ কোম্পানির ১৯ কোটি ৪৬ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে, যার মধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচক কমলেও টানা তিনদিনই লেনদেন বেড়েছে ডিএসইতে। সারাদিনে মোট ৪৮৩ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৪৬৯ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: উত্থানে শুরু হলেও পতনে শেষ পুঁজিবাজারের লেনদেন
৯.৯৩ শতাংশ দাম বেড়ে দিনের শীর্ষ কোম্পানিতে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ ল্যাম্পস পিএলসি। ১১৯.৩০ টাকায় লেনদেন শুরু করে দিন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম দাঁড়ায় ১৩০.৬০ টাকা। অন্যদিকে ৭.৯৪ শতাংশ দাম হারিয়ে ঢাকার বাজারে তলানিতে পদ্মা ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স। ২৫.২০ টাকা শেয়ারপ্রতি লেনদেন শুরু করে দিন শেষে দর নেমেছে ২৩.২০ টাকায়।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো চট্টগ্রামেও পতন হয়েছে সূচকের। সারাদিনের লেনদেনে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ২৮ পয়েন্ট।
সূচক কমার পাশাপাশি সিএসইতে দর নেমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ২৩৮ কোম্পানির মধ্যে ৯২ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ১১২ কোম্পানি। ৩২ কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
পতনের ধারায় লেনদেনও কমেছে সিএসইতে। সারাদিনে ৬ কোটি ৫১ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে যা গতদিন ছিল ১০ কোটি ১১ লাখ টাকা।
সিএসইতে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে আইসিবি এএমসিএল সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ১০ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে এইচ.আর. টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড।
২৭ দিন আগে
উত্থানে শুরু হলেও পতনে শেষ পুঁজিবাজারের লেনদেন
ঈদের পর খুব একটা সুবিধা করতে পারছে না দেশের পুঁজিবাজার। দ্বিতীয় কার্যদিবসে উত্থান দিয়ে লেনদেন শুরু হলেও শেষমেশ পতন ঠেকাতে পারলো না ঢাকার বাজার। চট্টগ্রামে সূচকের উত্থান হয়েছে যৎসামান্য।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সোমবার (৭ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৮ পয়েন্ট। শরীয়া ভিত্তিক সূচক ডিএসইএস কমেছে ১ পয়েন্ট।
অন্যদিকে বাছাইকৃত ভালো কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নিয়েছে ৩৯৮ কোম্পানি, যার মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৯১ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই বেশিরভাগ কোম্পানির দাম ছিল নিম্নমুখী।
প্রথম কার্যদিবসে মিউচুয়াল ফান্ডে ভালো অবস্থানে থাকলেও দ্বিতীয়দিনে এসে মুখ থুবড়ে পড়েছে এ খাত। লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৫ কোম্পানির দাম বাড়লেও কমেছে ২২ কোম্পানির শেয়ারের দাম। অপরিবর্তিত আছে ৯ কোম্পানির দাম।
ব্লক মার্কেটে মোট ২৩ কোম্পানির ১৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে রেনেটা পিএলসি সর্বোচ্চ ৭ কোটি ৫২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচক হারালেও গতদিনের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ডিএসইতে; মোট ৪৬৯ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে, যা রোববার (৬ এপ্রিল) ছিল ৪১৫ কোটি টাকা।
ডিএসইতে ৮.১৬ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষ তালিকায় উঠে এসেছে মিডাস ফাইন্যান্সিং পিএলসি। অন্যদিকে ৭.৫১ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে এস আলম কোল্ড রোলড স্টিলস লিমিটেড।
আরও পড়ুন: উত্থান দিয়ে শুরু ঢাকা-চট্টগ্রাম পুঁজিবাজারের লেনদেন
চট্টগ্রামে সামান্য উত্থান
ঢাকার বাজারে সূচকের পতন হলেও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ২ পয়েন্ট। সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ২১০ কোম্পানির মধ্যে দর কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের।
৮৭ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দরপতন হয়েছে ৯৭ কোম্পানির এবং দাম অপরিবর্তিত আছে ২৬ কোম্পানির শেয়ারের।
গত দিনের তুলনায় লেনদেন কমেছে চট্টগ্রামের বিপরীতে। সারাদিনে মোট ১০ কোটি ১৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে যা রোববার ছিল ১০ কোটি ৬২ লাখ টাকা।
৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ কোম্পানির তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে শমরিতা হাসপাতাল লিমিটেড। অন্যদিকে ১০ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে মোজাফফর হোসেন স্পিনিং মিলস লিমিটেড।
২৮ দিন আগে
সপ্তাহজুড়ে পতনে ডিএসই হারিয়েছে সবকটি সূচক
সপ্তাহ ভালো কাটেনি ঢাকার পুঁজিবাজারে, টানা পতনে কমেছে সবকটি সূচক। সূচকের পতনের পাশাপাশি সারা সপ্তাহে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল নিম্নমুখী।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক লেনদেন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, পাঁচ কার্যদিবসে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
৫২২৫ পয়েন্ট নিয়ে শুরু হওয়া লেনদেন সপ্তাহ শেষে এসে ঠেকেছে ৫২০১ পয়েন্টে।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে১৩ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৭ পয়েন্ট।
বেহাল দশা ছোট এবং মাঝারি আকারের কোম্পানিতেই। ডিএসই'র এসএমই সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। এক সপ্তাহের লেনদেনে এ খাত ১.৬৩% সূচক হারিয়েছে।
সপ্তাহজুড়ে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল নিম্নমুখী। সারা সপ্তাহে ১৪৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৭ কোম্পানির। দর অপরিবর্তিত ছিল ৩৮ কোম্পানির এবং ১৮ কোম্পানি অংশ নেয়নি লেনদেনে।
সপ্তাহের শুরু থেকে বেশিরভাগ কোম্পানির দাম কমতে থাকলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ার বিক্রির ধুম লেগে যায়। এতে করে আদতে লেনদেন বাড়লেও বাড়েনি শেয়ারের সামগ্রিক দাম।
আরও পড়ুন: ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচক বাড়লেও কমেছে লেনদেন
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে পাঁচ কার্যদিবসের গড় লেনদেন ছিল ৪৭৮ কোটি টাকা, যা গত সপ্তাহের তুলনায় প্রায় ২২ শতাংশ বেশি।
তবে গড় লেনদেন বাড়লেও বাজার থেকে কমেছে মোট মূলধনের পরিমাণ। ব্রোকারেজ হাউজগুলোর দেয়া তথ্য অনুসারে, অনেক বিনিয়োগকারীই তলি তল্পা গুটিয়ে বাজার ছেড়েছেন। বাজারে বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাস গিয়ে ঠেকেছে তলানিতে।
ডিএসই'র সাপ্তাহিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৩৩৩ মিলিয়ন ডলার।
সপ্তাহজুড়ে ব্যাংক, আইটি, লাইফ ইনস্যুরেন্স, টেক্সটাইল, সাধারণ বীমা, ট্যানারি, টেলিকম এবং পাটখাতে রিটার্ন কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে।
অন্যদিকে মিউচুয়াল ফান্ড, সিরামিক, রিয়েল স্টেট, কাগজশিল্প, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, করপোরেট বন্ড, প্রকৌশল, জ্বালানি এবং ঔষধশিল্পে ভালো রিটার্ন এসেছে। এদের মধ্যে মিউচুয়াল ফান্ডে সর্বোচ্চ ৫ দশমিক ১৪ শতাংশ রিটার্ন এসেছে।
সপ্তাহজুড়ে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে শাইনপুকুর সিরামিকসের। পাঁচ কার্যদিবসে কোম্পানিটির মোট ১৬ কোটি ১৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয়ে আছে স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালস পিএলসি। সাপ্তাহিক হিসাবে কোম্পানিটির মোট ১৪ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
পাঁচ কার্যদিবসে ব্লক মার্কেটে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে মারিকোর শেয়ার। মারিকোর পরেই শেয়ার বিক্রিতে এগিয়ে আছে এক্সপ্রেস ইনস্যুরেন্স লিমিটেড, ব্যাংক এশিয়া, বিচ হ্যাচারি এবং খান ব্রাদার্স।
সারা সপ্তাহে লেনদেনে দরবৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে আছে প্রোগ্রেসিভ লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড। জেড ক্যাটাগরির এ কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৩০ শতাংশের বেশি। ৪৭ টাকায় লেনদেন শুরু হওয়া কোম্পানিটির শেয়ারের দাম সপ্তাহ শেষে হয়েছে ৬২ টাকা।
অন্যদিকে সাপ্তাহিক লেনদেনে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমেছে ১৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ৬৫ টাকায় শেয়ারপ্রতি লেনদেনে সপ্তাহ শেষে কমে হয়েছে ৫৬ টাকা।
পুঁজিবাজারে বেহাল দশা কাটিয়ে উঠতে গত সপ্তাহে সোমবার (১৭ মার্চ) পুঁজিবাজার উন্নয়নে চার সদস্যের কমিটি গঠন করেছে সরকার। কমিটি গঠনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হয়, দেশের পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিকে অধিকতর শক্তিশালীকরণ এবং সর্বোপরি দেশের পুঁজিবাজার উন্নয়নের জন্য কমিটি কাজ করবে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টাস্কফোর্স এবং কমিটি উভয়কেই কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। আর নইলে সভা করে বাজারে চলমান সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) বজায় ছিল সূচকের পতনের ধারা। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১৭ পয়েন্ট। ১৪৫৭৬ পয়েন্ট নিয়ে লেনদেন শুরু হলেও সপ্তাহান্তে সূচক দাঁড়িয়েছে ১৪৫৫৯ পয়েন্টে।
সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ৩০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫৪, কমেছে ১২৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পাঁচ কার্যদিবসে সিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের শেয়ার। এছাড়া লেনদেনে শীর্ষ তালিকায় আছে উত্তরা ব্যাংক, ফাইন ফুডস, রবি, ফু-ওয়ান সিরামিক এবং শাইনপুকুরের শেয়ার।
আরও পড়ুন: আবারও সূচক কমলো ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, বেড়েছে লেনদেন
সিএসইতে দরবৃদ্ধিতে শীর্ষে উঠে এসেছে প্যারামাউন্ট ইনস্যুরেন্স কোম্পানি। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি দাম বেড়েছে ১০ টাকা করে।
এছাড়া ভালো অবস্থানে আছে শাইনপুকুর সিরামিকস, ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচুয়াল, সেমি লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট এবং এস আলম কোল্ড রোলড স্টিলস।
অন্যদিকে দরপতনে শীর্ষে উঠে এসেছে সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। সপ্তাহ ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমেছে ১৫ টাকা। ডিএসই'র মতো সিএসইতেও ধস নেমেছে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজে। পাঁচ কার্যদিবসের লেনদেনে আলিফের শেয়ারপ্রতি দাম কমেছে ১৪ টাকা।
৪৪ দিন আগে