পতন
টানা চতুর্থ দিনেও পুঁজিবাজারের সূচকে পতন
বাংলাদেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবারও সূচকের পতন হয়েছে।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, লেনদেন শুরুর প্রথম দুই ঘণ্টায় ৬৩ হাজার ৩২৬টি লেনদেনের মাধ্যমে ১৭৭ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের কেনাবেচা হয়েছে। যা মঙ্গলবারের একই সময়ের তুলনায় ৪৭ কোটি টাকা কমেছে। গতকাল মোট লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২২৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: ৩ দিনে ডিএসই সূচক কমেছে ১১২.৬৫ পয়েন্ট
বুধবার (২০ নভেম্বর) সকালে মোট ৩৭৩টি কোম্পানি লেনদেন করেছে। এর মধ্যে ১৪০টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৫৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৮০টির শেয়ার। এটি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মিশ্র মনোভাবকেই তুলে ধরে।
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ২৮৩ দশমিক ০৭ পয়েন্টে স্থির হয়। এদিকে ডিএসইএস শরিয়াহ্ সূচক শূন্য দশমিক ৭৯ পয়েন্ট সামান্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৫৪ দশমিক ৭৩ পয়েন্টে। তবে ডিএস৩০ এর ব্লু-চিপ শেয়ারগুলোর সূচক ১১ দশমিক ০৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৩১ দশমিক ৮৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার প্রথম ঘণ্টায় ডিএসই সূচক ৬৪.৭৩ পয়েন্ট বেড়েছে
২ দিন আগে
আওয়ামী লীগের পতন অনিবার্য মনে করে বিএনপি: নজরুল ইসলাম খান
‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের’ দাবিতে বিরোধী দলের চলমান আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকারে পরিবর্তন আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিএনপির সিনিয়র নেতা নজরুল ইসলাম খান।
বিএনপির আন্দোলনের সফলতা-ব্যর্থতা নিয়ে আওয়ামী লীগ কথা বলতে পারে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের পর তাদের ক্ষমতায় আসতে ২১ বছর লেগেছিল।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা ক্ষমতার পরিবর্তন চাই এবং বিশ্বাস করি যে এটি অনিবার্যভাবে ঘটবে।’
গত বছর গ্রেপ্তারের ছয় দিন পর হাসপাতালে মারা যাওয়া বিএনপি নেতা ইমতিয়াজ আহমেদ বুলবুলের গোপীবাগের বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির নেতা বুলবুল গত ৩০ নভেম্বর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
বিএনপির অভিযোগ, নির্যাতনের ফলে হেফাজতে বাবুলের মৃত্যু হয়েছে।
গাজীপুর কারাগারে পাঠানোর ছয় দিন পর ৩০ নভেম্বর মারা যান ঢাকার সমাজকর্মী ইমতিয়াজ আহমেদ বুলবুল।
আরও পড়ুন: বিএনপি রোজা-রমজান, ঈদ কোনোটাই মানে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো সময়ের দাবি অনুযায়ী তাদের বিভিন্ন কর্মসূচি ও কৌশল প্রণয়ন করে।
তিনি বলেন, ‘১৯৯০ সালে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধেসহ অতীতে বিভিন্ন আন্দোলনে তাদের দল বিজয়ী হয়েছে। ২০০৭ সালে সরকার রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থার সময় নির্বাচন করতে চেয়েছিল কিন্তু আমাদের বাধার মুখে তা করতে ব্যর্থ হয়েছিল। আমরা এখন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছি।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ প্রবর্তিত একদলীয় শাসন বাকশাল বাতিল করে তাদের দল বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। বিএনপিও সামরিক স্বৈরাচারের অবসান ঘটিয়ে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। সেজন্য এই বিএনপি আগামীতে বাংলাদেশে আবারও গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী দল দীর্ঘদিন ধরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য যুগপৎ আন্দোলন করছে।
তিনি বলেন, ‘তারা (আওয়ামী লীগ) আমাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে পারছে না বলে অভিযোগ করছে। বিএনপি ১৭ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে। তারা ১০-১২ বছর আগে থেকেই বলে আসছে, আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার মতো শক্তি বিএনপির নেই। তারা (আওয়ামী লীগ) ২১ বছর ক্ষমতার বাইরে ছিল। এ সময় তাদের মেরুদণ্ড ভেঙে গিয়েছিল নাকি সোজা ছিল?’
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ২১ বছর পর যখন ক্ষমতায় আসতে সময় লেগেছিল, তখন বিএনপির গতিবিধি নিয়ে প্রশ্ন তোলার অধিকার আওয়ামী লীগের নেই।
সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষমতা দখলের অভিযোগ তুলে তিনি সুশাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠায় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান, যাতে কোনো ব্যক্তির স্বজনরা বিনা অপরাধে স্বজন হারানোর বেদনায় কান্নাকাটি করতে না পারে। কেউ অপরাধ করলে তাকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। কিন্তু এখন কী হচ্ছে?
বিএনপি নেতা বুলবুলের হেফাজতে মৃত্যুকে ‘হত্যার ঘটনা’ আখ্যায়িত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
বিএনপির হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে নজরুল বুলবুলের শোকসন্তপ্ত স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের সান্ত্বনা দেন।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ-জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা 'জনবিরোধী', নিষ্ঠুর: বিএনপি
সুসময় এলে সব গুম-হত্যার বিচার করবে বিএনপি: মিজানুর রহমান মিনু
৮ মাস আগে
আ. লীগ সরকারের পতন ঘটাতে মানুষ আবারও রাস্তায় নামবে: মান্না
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের পতন নিশ্চিত করতে রাজধানীতে আবারও রাস্তায় নামবে জনগণ।
তিনি বলেন, ‘এই সংসদ কাজ করতে পারে না। তারা (আওয়ামী লীগ নেতারা) হতাশ, আমরা নই। সাধারণ মানুষ ৭ জানুয়ারি ভোট দিতে না গিয়ে আমাদের সর্বাত্মক সমর্থন দিয়েছে।’
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য সচিব আবদুল মান্নান করোনায় আক্রান্ত
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মান্না সর্বস্তরের মানুষকে সাহসের সঙ্গে রাজপথে নামার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন দেখবেন এই ঢাকা শহর মিছিলে ভরে যাবে। আমরা সেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। ৭ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনো হতাশা নেই।’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ গ্রেপ্তার বিরোধী নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে বিএনপিপন্থী ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন’।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর নতুন রাষ্ট্রপতি মনোনয়ন প্রক্রিয়ার সমালোচনা মান্নার
মান্না বলেন, বিশ্বের প্রধান গণতান্ত্রিক দেশগুলো ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেয়নি। তাই বিরোধী দলগুলোর হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই।
তিনি বলেন, জনগণের সমর্থন পেতে ব্যর্থ হয়ে পুলিশ ও আমলাতন্ত্রের সহায়তায় নির্বাচন করে ক্ষমতাসীন নেতারা হতাশ হয়ে পড়েছেন।
আরও পড়ুন: এম এ মান্নানের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা বিএনপির
৯ মাস আগে
বিএনপির সরকার পতনের আন্দোলন ব্যর্থ হবেই: আনোয়ারায় জনসভায় প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার (২৮ অক্টোবর) সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, আন্দোলনের মাধ্যমে তার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার হুমকি দিয়ে বিএনপির কোনো লাভ হবে না।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি এখন সরকারকে উৎখাত করতে চায়। তারা আন্দোলন করার জন্য নানা ধরনের হুমকি দিচ্ছে। আমি এটা পরিষ্কার করে দিই, জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের জন্য উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে। কোনো হুমকিতে কাজ হবে না।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে দেশের প্রথম আন্ডারওয়াটার টানেল উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত আনোয়ারায় কেইপিজেড মাঠে এক মহাসমাবেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ জেলা শাখা এ সমাবেশের আয়োজন করে।
বিএনপির নিন্দা করে তিনি বলেন, তাদের দল শুধু মানুষ হত্যা করে, টাকা লুটপাট করে ও দুর্নীতি করে।
তিনি আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়া এতিমদের টাকা চুরি করেছেন এবং সে কারণে তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। তার ছেলে তারেক রহমান বিদেশে পলাতক।’
আরও পড়ুন: কিছু পশ্চিমা শক্তি বাংলাদেশে পুতুল সরকার বসাতে চায়: এএলপিপি বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৭ সালে তারেক রহমান তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সঙ্গে বন্ডে সই করে রাজনীতি ছেড়ে চলে যান।
তিনি বলেন, ‘তিনি কোটি কোটি টাকা পাচার করেছেন। তিনি ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং সেজন্য তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে হত্যার লক্ষ্যে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায়ও দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তিনি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে খালেদা জিয়া ভোটে কারচুপি করেছিলেন এবং সে কারণে বাংলাদেশের মানুষ আন্দোলনের মাধ্যমে তাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘তাদের (বিএনপি) এটা মনে রাখা উচিত। তারা ভোট কারচুপিকারী, তারা জনগণের টাকা লুটেরা, তারা খুনি, বিএনপি-জামায়াত মানেই খুনি, খুনি ও সন্ত্রাসী এবং তারা জঙ্গিবাদে বিশ্বাস করে।’
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ শান্তি ও উন্নয়নে বিশ্বাস করে।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় আজ বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশকে কেউ দমাতে পারবে না। এটাই বাস্তবতা।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সবাই সমান ধর্মীয় অধিকার ভোগ করে: প্রধানমন্ত্রী
সমাবেশস্থল থেকে প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে দেশের প্রথম বহুল প্রত্যাশিত আন্ডারওয়াটার এক্সপ্রেসওয়ে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’ উদ্বোধন করেন।
দক্ষিণ এশিয়ায় এই ধরনের টানেল প্রথম। এটি বাংলাদেশের সড়ক যোগাযোগের উন্নয়ন করবে, অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে এবং পর্যটনকে উৎসাহিত করবে। এর দু’টি টিউব ও চারটি লেন রয়েছে।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এ উপলক্ষে এক শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বার্তাটি পড়ে শোনান এবং পরে তিনি তা প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সড়ক টানেলের উদ্বোধন উপলক্ষে একটি বিশেষ স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী দিনের খাম এবং নদীর তলদেশে প্রথম সড়ক উদ্বোধন উপলক্ষে বিশেষ সিলমোহর ব্যবহার করেন।
এ ছাড়াও তিনি অনুষ্ঠানটি উপলক্ষে ৫০ টাকার স্মারক নোটও উন্মোচন করেন।
শুরুতেই সুড়ঙ্গের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি দেখানো হয়। ১০ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত অ্যাপ্রোচ রোডসহ ৯ দশমিক ৩৯ কিলোমিটার দীর্ঘ টানেল সোমবার সকাল ৬টা থেকে যানবাহনের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
টানেলের দুটি টিউব প্রায় ১২ মিটার দূরে অবস্থিত। উভয় টিউব ট্রাফিকের জন্য দুটি লেন বিশিষ্ট এবং আনোয়ারা প্রান্তে অতিরিক্ত ৭২৭ মিটার দীর্ঘ ওভার-ব্রিজসহ টানেলের প্রতিটি প্রান্তে একটি ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক অবস্থিত।
সড়ক পরিবহন খাতে দেশের দুটি অঞ্চলকে সংযুক্ত করার ক্ষেত্রে পদ্মা সেতুর পর এই টানেল দ্বিতীয় ‘স্বপ্নের প্রকল্প’।
কর্ণফুলী নদীর দুই পাড়ে চীনের সাংহাইয়ের অনুরূপ ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ ধারণা তৈরির লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
আরও পড়ুন: আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াতকে নৈরাজ্য করতে দেওয়া হবে না: প্রধানমন্ত্রী
টানেলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সেতু বিভাগের সচিব মঞ্জুর হোসেন।
সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামে ১১টি সমাপ্ত প্রকল্পের উদ্বোধন ও ছয়টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, ভূমিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য ড. সমাবেশে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরী প্রমুখ।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখার সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী।
সমাবেশস্থলে একটি বড় নৌকা আকৃতির মঞ্চ তৈরি করা হয়। জনসমাবেশে বিপুল সংখ্যক লোকের সমাগম ঘটে।
১ বছর আগে
সরকার পতনে ছোট-বড় সব দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান ফখরুলের
আওয়ামী লীগ সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন করতে সব বিরোধী দলকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আজকে বড় দল-ছোট দল-মাঝারি দল …. এটা বড় কথা নয়। বিএনপি নাকি নাগরিক ঐক্য নাকি গণসংহতি আন্দোলন না গণতন্ত্র মঞ্চ… এটা বড় কথা নয়। আমাদের দেশ, আমাদের মানুষ আজকে বিপদগ্রস্ত ও বিপন্ন। এদের অস্তিত্বকে রক্ষা করার আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব নিয়ে আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।’
সরকারকে পদত্যাগের বার্তা দিতে সব বিরোধী রাজনৈতিক দলকে গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণভাবে রাজপথের আন্দোলনে যোগ দেওয়ার আহ্বান এই বিএনপি নেতার।
তিনি বলেন, ‘আসুন গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণভাবে আমরা আমাদের রাজপথে নেমে পড়ি। যেখান থেকে আমরা উচ্চারণ করব আর নয়…. এক দফা দাবি … তুমি যাও। এনাফ ইজ এনাফ। এখন দয়া করে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে জনগণের একটা রাষ্ট্র, জনগণের একটা পার্লামেন্ট, জনগণের সমাজ তৈরি করবার ব্যবস্থা করে দাও।’
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান সম্ভব: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব হুঁশিয়ারি দেন, ‘অন্যথায় পালাবার পথ খুঁজে পাবে না… এটা আমি বারবার বলেছি। অতীতে দেখবেন স্বৈরাচারী শাসকেরা কিন্তু পালাবার পথ খুঁজে পায় নাই।’
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) গণতন্ত্র মঞ্চের অংশীদার গণসংহতি আন্দোলনের ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল গণসংহতি আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে নেতা-কর্মীদের অভিনন্দন জানান এবং বলেন, আমি অন্তরের অন্তরস্থল থেকে চাই তারা আরও বিস্তৃত হোক, তাদের সংগঠন আরও বড় হোক। তারা গণমানুষের মধ্যে চলে যাক এবং মানুষকে তারা জাগিয়ে তুলক। সত্যিকার অর্থে একটা শোষণহীন সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলুক।
তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ছাড়া এটা সম্ভব নয়। এখন আর একমূহুর্ত দেরি না করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সময় এসেছে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, তাদের ভোট ও অন্যান্য সকল অধিকারের জন্য জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করাও এখন প্রয়োজন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আমি খুব আনন্দিত। প্রথমবারের মতো আজকে আমরা এখানে যা্রা আছি কিংবা তার বাইরেও যারা আছেন; আমরা সবাই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে এই একটি দাবিতে এক হয়েছি।
তিনি সংসদ ভেঙে দিয়ে এবং সংসদ পুনর্গঠন করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তাদের দলের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন।
ফখরুল আক্ষেপ করে বলেন, তাদের দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া জটিল রোগে ভুগলেও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে সরকার তাকে বিদেশে উন্নত কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে দিচ্ছে না।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী বলেন, লাখ রাখ মানুষের রক্তের মধ্যদিয়ে এই রাষ্ট্রটা নির্মাণ হয়েছে। সেই রাষ্ট্র আজকে টিকে থাকবে কিনা সেই ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে বর্তমান শাসকরা।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ অবৈধ ক্ষমতাকে কুক্ষিগত রাখতে গিয়ে বাংলাদেশকে তার স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের দিক থেকে আজকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে, হুমকির মধ্যে ফেলেছে।
সাকি বলেন, আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছরে আমাদের রাষ্ট্রটাকে একটা দলীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে এবং একটা নিপীড়নের হাতিয়ার হিসেবে তৈরি করেছে।
তিনি আরও বলেন, তারা শুধু জনগণের অধিকার হরণ করেছে তাই নয়, জনগণের সম্পদ লুট করে এদেশকে দেউলিয়ার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। জনগোষ্ঠির মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে পুরো রাষ্ট্রকে তার অস্তিত্বের দিক থেকে হুমকির মধ্যে ফেলেছে।
আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুর থেকে ফেরার সময় বিমানবন্দরে হয়রানির অভিযোগ ফখরুলের!
আওয়ামী লীগ এবার আর পার পাবে না: ফখরুল
১ বছর আগে
খাদের কিনারে বিএনপি, নির্বাচন বর্জন করলেই পতন: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ক্রমাগত নির্বাচনবিমুখতা এবং চাপিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্তের কারণে ব্যক্তির লাঠিয়াল বাহিনীতে পরিণত হতে যাওয়া বিএনপি আজ খাদের কিনারে এবং আগামী নির্বাচন বর্জন করলেই পতন হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি এমন একটা দল, যে দল করলে সংসদ নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন দূরে থাকুক, ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার বা সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর নির্বাচনও করা যায় না। তাদের নেতা-কর্মীদের আমি জিজ্ঞাসা করব- যেই দল করলে কোনো নির্বাচনই করা যায় না, আপনাদের কী ঠ্যাকা পড়েছে সেই দল করে তারেক রহমানের লাঠিয়াল বাহিনী হয়ে থাকার!’
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর ছায়াকেও ভয় পেতেন খুনিরা: তথ্যমন্ত্রী
শুক্রবার (১১ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত 'বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘তারেক রহমান যতদিন নির্বাচন করতে না পারবেন, ততদিন বিএনপির কেউ ইউনিয়ন মেম্বার নির্বাচনও করতে পারবেন না-এটিই এখন তাদের নীতি। বিএনপিকে বলব-গণতন্ত্রের পথে হাঁটলেই তাদের লাভ। তাদের সিনিয়র নেতাদের বলব, আর কতদিন আপনারা চাপিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত অনুসরণ করবেন?’
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এ সময় বলেন, 'বিএনপি দেখতে পেল, তাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রতি বিদেশিরা কোনো সমর্থন জানালো না এবং তারা যা চেয়েছিল তার কিছুই হচ্ছে না। এখন তারা ভিন্ন সুরে কথা বলা শুরু করেছে। এখন তারা বলছে, ভারত কী বলল তাতে কিছু আসে-যায় না, যুক্তরাষ্ট্র বা ইইউ কী বলল তাতেও কিছু যায়-আসে না।'
হাছান মাহমুদ বলেন, 'এই দেশ বাংলাদেশের মানুষের, অন্য কারও নয়। যদি যেতে হয়, জনগণের কাছে যেতে হবে।'
এর আগে বঙ্গবন্ধু, তার স্ত্রী বঙ্গমাতা ও তাদের পরিবারের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শেখ মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির পিতা হয়ে ওঠার পেছনে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের অবদান অসামান্য।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যখন কারাগারে থাকতেন, তখন বঙ্গমাতা দল এবং সংসার দুটোই সামলেছেন।’
আরও পড়ুন: পান্না কায়সারের প্রয়াণ বাঙালির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি: তথ্যমন্ত্রী
আ. লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে অসাধ্য সাধন করতে পারে: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
শেখ হাসিনার পতনের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শেখ হাসিনার পতনের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, এক দফা আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে নিতে গণতন্ত্রমনা সকল দল কর্মসূচি দিয়েছে। উনি আর ক্ষমতায় থাকতে পারছেন না।
শুক্রবার (১৪ জুলাই) খুলনা মহানগর বিএনপির কার্যালয়ে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ) আয়োজিত খুলনা বিভাগে বিএনপির গুম, খুন, নির্যাতিত অসহায় ও অসচ্ছল নেতাকর্মীদের সন্তানদের শিক্ষাউপবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত রিজভী হাসপাতালে ভর্তি
রিজভী বলেন, বাংলাদেশ সফরে আসা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের আন্ডার সেক্রেটারির কাছে শেখ হাসিনা বলেছেন তিনি নাকি ১৪ বছর ধরে বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করছেন।
তিনি বলেন, আসলে কাউকে যদি মিথ্যা শিখতে হয় কোথাও যাওয়ার দরকার নেই। প্রতিদিন শেখ হাসিনাকে অনুসরণ করলেই হবে।
রিজভী আরও বলেন, জনগণের সব ধরনের অধিকার কেড়ে নিয়ে উনি মিথ্যাচারের মডেলে পরিণত হয়েছেন।
তিনি বলেন, আইএমএফ’র চাপে সরকার স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে রিজার্ভ ২৩ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলার। এরা দুর্নীতির মাধ্যমে রিজার্ভ শেষ করেছে। অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে। গণতন্ত্র শেষ করেছে। ব্যাংকগুলো এলসি খোলা বন্ধ করে দিয়েছে।
ঢাকার সমাবেশ প্রসঙ্গে রুহুল কবির রিজভী বলেন, মাত্র তিনদিনের প্রস্তুতিতে নয়াপল্টনে জনগণের স্রোত দেখেছেন। সেখানে নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষ ছুটে এসেছিলেন। শত বাধা দিয়েও তাদেরকে আটকানো যায়নি।
তিনি বলেন, অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের শান্তি সমাবেশ করেছে। সেখানে হয়েছে চেয়ার ছোঁড়াছুড়ি। আবার নাম দিয়েছে শান্তি সমাবেশ। এ যেন একাত্তরের সেই পিস কমিটির কথাকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
তিনি আরও বলেন, আর ঢাকা দক্ষিণের মেয়র তাপস বলছেন তারা আগামী নির্বাচনে ঢাকা দখলে রাখবেন। মানে শেখ হাসিনার নির্বাচনের রোডম্যাপ তিনি বলে দিয়েছেন। তারা ঢাকা দখল করে সুষ্ঠু ভোট করবেন! এই হলো শেখ হাসিনার সুষ্ঠু নির্বাচনের নমুনা।
জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের জনকল্যাণমুখী কর্মকাণ্ড তুলে ধরে রিজভী বলেন, নির্যাতন নিপীড়নের শিকার রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও তার পরিবারের পাশে দাঁড়াচ্ছে ফাউন্ডেশন। তাদের চিকিৎসা, শিক্ষা ও পুনর্বাসনে সহায়তা করা হচ্ছে। জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকতে এ ধরনের গণমুখী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে রাজনীতিকে জনগণের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন।
দেশ আজ চরম সংকট ও সমাজে আতঙ্কের পরিবেশ বিরাজ করছে দাবি করে রিজভী বলেন, জনগণের কাছে দেশের মালিকানা থাকলে আজকের রাজনীতি অন্য রকম হতো। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে সার্বিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে, যার মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
আরও পড়ুন: রিজভী ও ইশরাকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
বিএনপি নেতা রিজভী ও দুলুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
১ বছর আগে
শিগগিরই ৩৬টি দল একসঙ্গে সরকার পতনের যৌথ কর্মসূচি ঘোষণা করবে: বুলু
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেছেন, শিগগিরই ৩৬টি রাজনৈতিক দল একসঙ্গে সরকার পতনের যৌথ কর্মসূচি ঘোষণা করবে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে হটাতে হলে সবাইকে রাজপথে থাকতে হবে। এখন বাংলাদেশের মানুষের একটাই দাবি যে শেখ হাসিনা কখন গদি ছাড়বে।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে তো সংলাপে ডাকা হয়নি: তথ্যমন্ত্রী
শনিবার (৮ জুলাই) বিকালে চট্টগ্রামের নাসিমন ভবনস্থ বিএনপি দলীয় কার্যালয়ের মাঠে আগামী ১৬ জুলাই কেন্দ্রীয় বিএনপি ঘোষিত চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিকদলের মহাসমাবেশ উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিকদলের প্রস্তূতিসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আজকে বিদেশি গণতান্ত্রিক দেশগুলো একটি কথাই বলছে, বাংলাদেশে কোনো গণতান্ত্রিক সরকার নেই। বাংলাদেশে অবৈধ সরকার জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে। একে সরাতে হবে। চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার বিদায়ের ঘন্টা বাজিয়ে বাংলাদেশে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করে সকল মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, তাই সে ঘোষণা আসার পর আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে শেখ হাসিনাকে বিদায় করবো। এছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দলের সভাপতি এ এম নাজিম উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহারের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।
এছাড়াও বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, কেন্দ্রীয় সহ শ্রমিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: গোপনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি: সালমান এফ রহমান
নাটোর জেলা বিএনপি কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ
১ বছর আগে
পতনের আশঙ্কায় সরকার দমন-পীড়নের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে: মির্জা আব্বাস
পতনের আশঙ্কায় সরকার দমন-পীড়নের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করে্ছেন মির্জা আব্বাস।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) ঈদের দিন সকালে জিয়াউর রহমানের কবরে পুস্পমাল্য অর্পণের পরে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘এই সরকার যে চলে যাবে, এই সরকারের যে পতন ঘটবে এটা আশঙ্কা করে তারা তাদের কার্য্ক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, অত্যাচার-জুলুম বাড়িয়ে দিয়েছে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘একইসঙ্গে বলতে চাই, তারা যতই জুলুম করুক, যতই অত্যাচার করুক, এই সরকারের টিকে থাকার আর কোনো সম্ভাবনা নাই।’
আরও পড়ুন: ছয় জেলায় সমাবেশ করবে বিএনপির ৪ সহযোগী সংগঠন
‘সেই ঈদ নেই’
জনগণ ঈদ কেমন কাটাচ্ছে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আপনারা আজকে বলতে পারেন গত ১৫ বছর আগে যেভাবে ঈদ করেছিলেন, দ্রব্যমূল্য যে অবস্থায় ছিলো আজকে কি সেই অবস্থায় আছে? আজকে সেই অবস্থায় নাই।’
বিএনপির জ্যেস।ঠ এই নেতা বলেন,‘তবে হ্যাঁ যদি আগের অবস্থানে ফিরে যেতে হয়, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে এবং দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। দেশের মালিকানা মালিকের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে। মালিক কারা? এদেশের জনগণ।’
দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে দেশবাসীকে ঈদ মোবারক জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আজকে আমরা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জিয়ারত করতে এসেছি। তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।’
‘গণতন্ত্র ফেরানোর আন্দোলন ফের শুরু হবে’
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলন, বিএনপির সংগ্রাম থেমে নেই, ঈদের জন্য কিছুটা স্তিমিত হতে পারে ঈদের পরে আমাদের জাতীয় যে দাবি, জনগণের যে দাবি তা আদায়ের জন্য আমাদের কার্য্ক্রম চালিয়ে যাবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘যে গণতন্ত্র হাইজ্যাক হয়ে গেছে, যে গণতন্ত্র ডাকাতি হয়ে গেছে সেই গণতন্ত্রকে ইনশাল্লাহ আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে পুনরুদ্ধার করব। জনগণ ইতোমধ্যে আমাদেরকে সমর্থন দিয়েছে। আমাদের আন্দোলনে-মিছিল-মিটিংয়ে জনগণ সমর্থন দিচ্ছে।’
কারাবন্দি হাজার হাজার নেতা-কর্মীর কথা স্মরণ করে তাদের পরিবার-পরিজনকে ঈদ শুভেচ্ছাও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন খন্দকার মোশাররফ
‘টাকা পাচারের প্রজেক্ট’
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘এদেশে উন্নয়ন শুরু করেছিলেন জিয়াউর রহমান এবং এই উন্নয়নের শেষ নাই। কিন্তু আজকে যে উন্নয়ন হচ্ছে এটাকে উন্নয়ন ঠিক বলা যাবে না, এটা হলো প্রজেক্ট, টাকা পাচারের প্রজেক্ট।’
তিনি বলেন,‘যে কারণে আজকে দেশে ডলার সংকট, অর্থের সংকট, খাদ্যপণ্যের সংকট… যত ক্রাসিস আছে সেগুলো হচ্ছে শুধুমাত্র সরকারের দুর্নীতি ও লুটপাটের জন্য। যেভাবে লুটপাট হয়েছে এটা জনগণ জানে, সোশ্যাল মিডিয়া খুললে দেখা যায় সব কিছু।’
মির্জা আব্বাস সকাল সাড়ে ১১টায় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, চেয়াপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলসহ নেতৃবৃন্দকে নিয়ে শেরে বাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতার কবরে পুস্পমাল্য অর্পন করেন। তারা প্র্রয়াত নেতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করেন।
এ সময়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতার কামরুজ্জামান রতন, রফিকুল ইসলাম, মহানগর উত্তর আমিনুল হক, যুব দলের সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজীব আহসান, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, উলামা দলের শাহ নেসারুল হক প্র্রমূখ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আগে প্রতি ঈদে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া তার স্বামী জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করতেন। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি মামলার রায়ে খালেদা কারাগারে যাওয়ার পর থেকে দলের মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা এ ধারাবাহিকতা অনুসরণ করছেন।
সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে খালেদা জিয়ার মুক্ত আছেন। বছরের দুটি ঈদে স্থায়ী কমিটির সদস্যরা তাদের নেত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। এবারও ঈদের দিন রাত সাড়ে ৮টায় তারা খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসায় গিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
পরে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য আমান, সমাজকল্যাণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন ও যুব দলের সভাপতি সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু বনানীতে প্রয়াত জিয়াউর রহমানের ছোট ছেলে আরাফার রহমান কোকোর কবর জিয়ারত করেন।
আরও পড়ুন: ‘শিগগিরই’ বিএনপি এক দফা আন্দোলন শুরু করবে: ফখরুল
১ বছর আগে
যেকোনো মূল্যে সরকার পতনের অঙ্গীকার চরমোনাই পীরের
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর সাহেব) শুক্রবার বর্তমান সরকারকে উৎখাত করে দেশকে বাঁচাতে প্রয়োজনে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, রেজাউল করীম বলেন, দেশ আজকে হুমকির মুখে। আজকে দেশ কিন্তু পরদেশের তাবেদারীতে চলে গেছে। ওখান থেকে যেভাবে সিদ্ধান্ত হয়, আমাদের বাংলাদেশে সেভাবে বাস্তবায়ন হয়। মুক্তিযুদ্ধে আমরা জীবন দিয়েছি। আমরাই দেশকে রক্ষা ও জালেমদের উৎখাত করতে আরেকবার মুক্তিযুদ্ধ করবো।
বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে হাতপাখার মেয়র প্রার্থী দলের নায়েবে আমীর ফয়জুল করীমসহ নেতাকর্মীদের ওপর হামলার বিচার ও ইসির পদত্যাগের দাবিতে শুক্রবার বিকালে বরিশালে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। এরপর নেতাকর্মীরা নগরীতে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
আরও পড়ুন: শায়েখে চরমোনাইয়ের ব্যাংক হিসাব তলব ষড়যন্ত্রমূলক: ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ
এসময় সিইসির পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে চরমোনাই পীর বলেন, ‘আমরা ব্যক্তি পর্যায়ে দলকে মজবুতের লক্ষ্যে স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম। কিন্তু বরিশাল সিটি নির্বাচনে বর্তমান সরকার, ইসি ও প্রশাসন যা করেছে তা বিশ্বে কলঙ্কের ইতিহাস হয়ে থাকবে। আমি এই সিইসির নিন্দা করি।’
তিনি আরও বলেন, তাদের কথা এবং কার্যক্রমে লক্ষ্য করেছি, পরিকল্পিতভাবে হত্যা করার জন্যই ফয়জুলের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। আমার পানির স্রোতে ভেসে আসিনি। এই জালেম সরকারকে বাংলার মানুষ উৎখাত করে বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ করবে। তাই আসুন আমরা সবাই একত্রে জালেম, ভোটচোর, ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হই।
সমাবেশ শুরুর আগে নেতাকর্মীরা নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে বিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে সভাস্থলে জড়ো হন। এসময় তারা সিইসি’র কুশপুত্তলিকা ও কফিন নিয়ে প্রতিকী প্রতিবাদ করেন। অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে সভাস্থলে মেট্রোপলিটন পুলিশের একাধিক দল মোতায়েন ছিল।
আরও পড়ুন: দেশের ‘স্বার্থবিরোধী’ চুক্তি জনগণ মেনে নিতে পারে না: পীর চরমোনাই
ভাস্কর্য নিয়ে বিরাজমান পরিস্থিতিকে চক্রান্ত বললেন চরমোনাই পীর
১ বছর আগে