বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে আকাশ ও সমুদ্রপথে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেছে। আকাশপথে আমদানি করা হচ্ছে ৫০ হাজার মেট্রিক টন।
‘মিসর থেকে আমদানি করা পেঁয়াজবাহী সৌদি এয়ারলাইন্সের প্রথম উড়োজাহাজটি ঢাকার পথে রয়েছে। এটি মিসরের কায়রো থেকে জেদ্দা হয়ে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবে ২০ নভেম্বর গভীর রাতে,’ বলেন মন্ত্রী।
এরপর প্রতিদিন অব্যাহতভাবে উড়োজাহাজে ঢাকায় পেঁয়াজ আসবে উল্লেখ করে টিপু মুনশি জানান, এসব পেঁয়াজ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ট্রাক সেল ও ডিলারদের মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে সারাদেশে বিক্রয় করা হবে।
পেঁয়াজের মূল্য দ্রুত গতিতে কমছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সমুদ্রপথে ১২ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ দেশে পৌঁছাতে শুরু করেছে। দেশীয় পেঁয়াজ বাজারে উঠেছে।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার শুরু থেকেই আমদানিকারকদের মাধ্যমে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ আমদানির প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে। ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ এবং মিয়ানমার মূল্য কয়েক গুণ বৃদ্ধি করলে বিকল্প হিসেবে মিসর ও তুরস্ক থেকে আমদানি শুরু করা হয়। সমুদ্রপথে সময় বেশি লাগার কারণে এখন তা আকাশ পথে আমদানি করা হচ্ছে।
‘দেশে দৈনিক প্রায় ৬ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজের প্রয়োজন হয়। দেশের মজুত এবং আমদানি করা পেয়াঁজ মিলে তা পর্যাপ্ত হবে। এরই মধ্যে দেশীয় পেঁয়াজ পর্যাপ্ত পরিমাণে বাজারে আসবে। সামনে কোনো সমস্যা হবে না,’ যোগ করেন তিনি।
দেশে প্রতি বছর আট থেকে দশ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করতে হয় জানিয়ে টিপু মুনশি বলেন, ‘এর বেশির ভাগই প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত থেকে আমদানি করা হয়। এখন আমদানি নির্ভর না থেকে চাহিদার পুরো পেঁয়াজ দেশে উৎপাদনের বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ জন্য কৃষকদের ভর্তুকি ও উৎসাহ দেয়া হবে। এছাড়া, পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য বিশেষ প্রকল্প নেয়া হয়েছে, যাতে পেঁয়াজ সারা বছর সংরক্ষণ করা যায়। সেই সাথে মৌসুমের সময় পেঁয়াজ আমদানির কারণে যাতে দেশের কোনো কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত না হন সে জন্য ওই সময় পেঁয়াজ আমদানির ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হবে। কৃষকরা যাতে পেঁয়াজের উপযুক্ত মূল্য পান তা নিশ্চিত করা হবে।’