মার্কিন ডলার
মার্কিন ডলারের বিপরীতে পাকিস্তানি রুপির দর রেকর্ড সর্বনিম্নে
পাকিস্তানি রুপি মার্কিন ডলারের বিপরীতে একটি বড় ধাক্কা খেয়েছে। বৃহস্পতিবার স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের মতে, আন্তঃব্যাংক বাজারে ২৮৫ দশমিক ০৯ টাকার ঐতিহাসিক সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছে।
এটি বুধবারের ২৬৬ দশমিক ১১ টাকার সর্বশেষ মূল্য থেকে ছয় দশমিক ৬৬ শতাংশ কমেছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে রুপা ও ভারতীয় রুপি উদ্ধার, আটক ২
সিনহুয়ার সঙ্গে আলাপকালে পাকিস্তানের আর্থিক উপদেষ্টা এবং বিনিয়োগ কৌশল সংস্থা আলফা বেটা কোরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খুররম শেহজাদ বলেছেন, এই নাটকীয় পতনের মূল কারণ হলো বাজারে আস্থাহীনতা।
অদূর ভবিষ্যতে ঋণ পরিশোধের কারণে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও সঙ্কুচিত হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন,পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল কর্মসূচি এখনও মুলতুবি থাকায় অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংক এখনও ভারতীয় রুপিকে বৈদেশিক বাণিজ্যে অনুমতি দেয়নি
‘রুপি বা টাকা ব্যবহার করুন’: বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসার ক্ষেত্রে ডলারে লেনদেন থেকে বিরত থাকার আহ্বান ভারতের
আপনি কি মার্কিন ডলার না কিনে বিদেশে ভ্রমণ করতে পারবেন?
মার্কিন ডলারের দাম আকাশচুম্বী হওয়ায় এবং বিনিময় হারের ওঠানামায় বাংলাদেশি যাত্রীরা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। মার্কিন ডলারের দাম স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত আপনার কি দেশের বাইরে বেড়ানোর পরিকল্পনা বাদ দেয়া উচিত? এই ডলার সংকট মোকাবিলা করার কি কোনো উপায় আছে? মার্কিন ডলার না কিনে বিদেশ ভ্রমণের কিছু বিকল্প উপায় দেখে নেয়া যাক।
কেন আপনার মার্কিন ডলার কেনার বিকল্প মাথায় রাখা উচিত
বিদেশ ভ্রমণ একদিকে যেমন উত্তেজনাপূর্ণ ও অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করে; তেমনি এটি ব্যয়বহুলও। আন্তর্জাতিক ভ্রমণের সবচেয়ে বড় খরচ হল বাংলাদেশি টাকাকে আপনি যে দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন, সেই দেশের মুদ্রায় রূপান্তর করার খরচ। তবে ভ্রমণকারীরা সাধারণত যে কোনো দেশে যাওয়ার সময় মার্কিন ডলার সঙ্গে রাখে।
মার্কিন ডলারের সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধির ফলে বেইজ কারেন্সির তোয়াক্কা না করে বিনিময় হারকে উচ্চ করে তুলেছে। তাই ভ্রমণকারীদের বিকল্প উপায়গুলো বিবেচনা করাই বুদ্ধিমানের কাজ ও সাশ্রয়ী হবে।
আরো পড়ুন: সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
মার্কিন ডলার না কিনে বিদেশে ভ্রমণের উপায়
• ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করুন
বাংলাদেশ ব্যাংক বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে একটি আন্তর্জাতিক কার্ডের (ডলার-সমর্থিত ভিসা/মাস্টারকার্ড) মাধ্যমে ডলার নেয়ার পরামর্শ দেয়। ক্রমবর্ধমান বিনিময় হার এবং ব্যাংক ও খোলা বাজারে সরবরাহ ঘাটতির কারণে তারা এই পরামর্শ দিয়েছে। খোলাবাজারে নগদ ডলারের দামের সঙ্গে বর্তমানে ব্যাংকের ব্যবধান ১০ টাকার বেশি।
আপনার ক্রেডিট কার্ডে ডলার অনুমোদন (এনডোর্স) করা সাশ্রয়ী। বর্তমান পরিস্থিতিতে এতে আপনার প্রতি মার্কিন ডলারে কমপক্ষে ৫ থেকে ১০ টাকা সাশ্রয় করতে পারে। তবে বর্তমানে নগদ ও কার্ড অনুমোদনের বিনিময় হার একই ১০৬ টাকা (১২ জানুয়ারি পর্যন্ত)।
২০২২ সালের আগস্ট মাসের একটি খবর অনুযায়ী, খোলা বাজারে তখন ১ ডলার কিনতে ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত খরচ হতো, অন্যদিকে ব্যাংক বা কার্ডের মাধ্যমে ডলার কিনতে ৯৫ টাকা লাগতো।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম সে সময় গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এ কারণেই আমরা ভ্রমণকারীদের পরামর্শ দিচ্ছি যে তারা তাদের ব্যাংক থেকে নগদ টাকার পরিবর্তে ট্রাভেল কার্ড দিতে অনুরোধ করুন। যাতে তাদের কম টাকা খরচ হয়।’
আরো পড়ুন: ঘুরে আসুন মালদ্বীপ: অপরূপ এক দ্বীপদেশ ভ্রমণ গাইড
• আপনার ভ্রমণ গন্তব্যের স্থানীয় মুদ্রা কিনুন
আপনি যে দেশে ভ্রমণ করছেন সেখানকার স্থানীয় মুদ্রা কেনা আপনার বিনিময় খরচ কমাতে পারে। মার্কিন ডলারের বিপরীতে বিভিন্ন মুদ্রার বিনিময় হারও বেড়েছে।
তাই আপনি পরীক্ষা করতে পারেন যে আপনার গন্তব্য দেশের মুদ্রা কেনার খরচ কমছে কি না। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি ভারতে ভ্রমণ করেন, বাংলাদেশ থেকে রুপি কিনলে আপনি মার্কিন ডলারে রূপান্তরিত করার চেয়ে বেশি মুদ্রা পেতে পারেন।
• ডিজিটাল ওয়ালেট ব্যবহার করুন
অনেক দেশ এখন ডিজিটাল ওয়ালেট গ্রহণ করে। যেমন- অ্যাপল পে ও গুগল ওয়ালেট। আপনি যদি এই ধরনের লেনদেন চলে এমন কোনো দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন, তাহলে আপনার মুদ্রাকে সম্পূর্ণরূপে রূপান্তর করার প্রয়োজন পড়বে না। একটি তৃতীয় পক্ষের পরিষেবা ব্যবহার করে আপনি মুদ্রা লোড করতে পারবেন।
আরো পড়ুন: ইন্দোনেশিয়া ভ্রমণ গাইড: দর্শনীয় স্থান সমূহ, খরচ
• বিদেশি এটিএম এর সুবিধা নিন
আপনি যখন অন্য কোনো দেশে থাকেন, তখন এটিএম থেকে নগদ টাকা তোলা, ব্যাংক বা কারেন্সি এক্সচেঞ্জের দোকানে কারেন্সি কনভার্ট করার চেয়ে বেশি সাশ্রয়ী হতে পারে। আপনার যদি বাংলাদেশ থেকে ডলার-সমর্থিত কার্ড থাকে, তাহলে আপনি স্থানীয় এটিএম ব্যবহার করে যে দেশে ভ্রমণ করছেন সেখানে টাকা তুলতে পারবেন।
তবে, আপনি যে দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন সেখানে আপনার কার্ড কাজ করবে কিনা তা নিশ্চিত করতে আপনার ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন এবং বিদেশি এটিএম ব্যবহার করার জন্য ফি আছে কিনা তা জেনে নিন।
২০৩০ সালে লেদারপণ্যের রপ্তানি হবে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় রপ্তানি পণ্য লেদার। লেদার শিল্পের উন্নয়ন ও রপ্তানি বৃদ্ধির প্রচুর সুযোগ রয়েছে। বর্তমানে লেদার খাতের রপ্তানি এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি, আগামী ২০৩০ সালে এ রপ্তানি হতে পারে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
তিনি বলেন, লেদার পণ্যের মান রপ্তানি বাজারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের কাঁচামাল এবং দক্ষ জনশক্তি রয়েছে। নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা লেদার শিল্পকে অনেক দূর এগিয়ে নিতে পারি। আন্তর্জাতিক বাজারে লেদার পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলা হচ্ছে। অনেকগুলোর কাজ এখন শেষ পর্যায়ে এগুলোতে অতি সহজেই লেদার শিল্প গড়ে তোলা সম্ভব। ইতোমধ্যে বিনিয়োগের জন্য অনেক দেশ এগিয়ে এসেছে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আরও প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি
বিনিয়োগকারীরা এখানে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন। দেশের দক্ষ জনশক্তির কর্মসংস্থান হবে। এ শিল্পকে পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে নেয়ার জন্য সরকার ঢাকার হাজারিবাগ থেকে লেদার শিল্প কলকারখানা সাভার ট্যানারিতে স্থানান্তর করেছে। এখন সেখানে উন্নত পরিবেশে আধুনিক সুযোগ-সুবিধায় লেদার শিল্প এগিয়ে যাচ্ছে। ব্যবসায়ীদের বিশেষ সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বুধবার, ৭ ডিসেম্বর ঢাকায় ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধায় এক্সপো জোনে লেদারগুডস এন্ড ম্যান্যুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এলএফএমইএবি) আয়োজিত তিনদিনব্যাপী ‘লেদারটেক-২০২২’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানের সময় এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী ২০২৬ সালে বাংলাদেশ এলডিসি গ্রাজুয়েশন করে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে। তখন বাংলাদেশের জন্য এলডিসিভুক্ত দেশের সুযোগ-সুবিধা থাকবে না। বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতা করেই এগিয়ে যেতে হবে। চলমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে ভিয়েতনাম ও চায়নার মতো দেশগুলো থেকে লেদার শিল্প স্থানান্তর করা হচ্ছে। বাংলাদেশে জন্য এটা সুযোগ। এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। উন্নতমানের পণ্য উৎপাদন করে লেদার শিল্পকে এগিয়ে নিতে হবে। দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এ ধরনের শিল্প উন্নয়নে সহায়তা দিচ্ছে। সরকারও প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করছে।
লেদারগুডস এন্ড ম্যান্যুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এলএফএমইএবি) এর প্রেসিডেন্ট সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএ) এর চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ, ভারতের কমিটি অব এডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিল অব লেদার এক্সপোর্টস এর সদস্য ভিপেন কুমার সেথ, ভারতের ফুটওয়্যার কমপোনেন্টস ম্যান্যুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন এর ম্যানেজিং কমিটি মেম্বার ইরিক ইলিং, এএসকে ট্রেড এন্ড এক্সিবিশন প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক নন্দগোপাল কে। অনুষ্ঠানে ভোট অবে থ্যাংকস প্রদান করেন এএসকে ট্রেড এন্ড এক্সিবিশন প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক টিপু সুলতান ভূঁইয়া।
উল্লেখ্য, ৮ম বারের মতো আয়োজিত এ ‘লেদারটেক-২০২২’ এ ১০টি দেশের প্রায় ২০০টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে। আগামী ২০২২ সালের ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য সকাল ১১টা থেকে সন্ধা ৭টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে।
আরও পড়ুন: মিজোরামের মন্ত্রীর সঙ্গে সীমান্ত বাণিজ্য নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির বৈঠক
নেপালের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রীর বৈঠক
ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিম্নমুখী
গত এক বছরেরও বেশি সময় থেকে ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিম্নমুখী অবস্থায় রয়েছে। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (আরবিআই) এর তথ্যানুসারে চলতি মাসের ২১ অক্টোবর পর্যন্ত দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০২০ সালের জুলাই থেকে সর্বনিম্ন ৫২৪ দশমিক ৫২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক মাস ধরে কমে যাওয়া বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আগের সপ্তাহে ৫২৮ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নেমে এসেছে।
ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০২১ সালের অক্টোবরে সর্বকালের সর্বোচ্চ ৬৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছিল।
আরও পড়ুন: টুইটারের বহিষ্কৃত সিইও পরাগ আগরওয়াল পেতে পারেন ৪২ মিলিয়ন ডলার
এনডিটিভির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বেশিরভাগ বৈশ্বিক পরিস্থিতির চাপ মোকাবিলায় রুপিকে রক্ষা করতে তহবিল ব্যবহারের কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে গেছে।
শুক্রবার প্রকাশিত আরবিআই-এর সাপ্তাহিক পরিসংখ্যানগত সাপ্লিমেন্টের তথ্যানুসারে ২১ অক্টোবরে শেষ হওয়া সপ্তাহে বৈদেশিক মুদ্রা সম্পদ (এফসিএ) মোট রিজার্ভের একটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ তিন দশমিক ৫৯৩ বিলিয়ন কমে ৪৬৫ দশমিক ০৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে।
এফসিএ’র ডলারের পরিভাষায় প্রকাশিত, ইউরো, পাউন্ড এবং ইয়েনের মতো অ-মার্কিন মুদ্রার মূল্যায়ন বা অবমূল্যায়নের প্রভাবকে অন্তর্ভুক্ত করে যা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে রাখা হয়।
এটি আরও বলছে, স্বর্ণের রিজার্ভ ২৪৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মূল্য হ্রাস পেয়ে ৩৭ দশমিক ২০৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
শীর্ষ ব্যাংক জানিয়েছে, ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার স্পেশাল ড্রয়িং রাইটস (এসডিআর) বেড়ে ১৭ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাপ্তাহিক প্রতিবেদনের তথ্যমতে, আইএমএফের কাছে দেশের রিজার্ভের অবস্থান ১৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার কমে চার দশমিক ৭৯৯ বিলিয়ন হয়েছে।
আরও পড়ুন: কপ-২৭: উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য প্রতিশ্রুত ১০ হাজার কোটি ডলার বাস্তবায়ন করতে বলবে বাংলাদেশ
অক্টোবরের দুই সপ্তাহে দেশে ৭৬৯.৮৮ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছে
বেনাপোল চেকপোস্টে ১ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলারসহ আটক ২
বেনাপোল কাস্টমস চেকপোস্ট এলাকা থেকে এক লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলারসহ দুই জন ভারত ফেরত যাত্রীকে আটক করা হয়েছে বলে শুক্রবার কাস্টমস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
আটক ব্যক্তিরা হলেন, মুন্সীগঞ্জের কমলঘাট এলাকার শাহ আলমের ছেলে সাগর হোসেন (৪০) ও একই জেলার টঙ্গীবিদ গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে জসিম ঢালী (৩৫)।
আরও পড়ুন: বিশ্বকর্মা পূজা: বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বেনাপোল কাস্টম শুল্ক গোয়েন্দা দপ্তরের সহকারী পরিচালক মনিরুজ্জামান চৌধুরী জানান, খবর পেয়ে সন্ধ্যা ৭টার দিকে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া শেষ করে বন্দর টার্মিনাল এলাকায় অপেক্ষা করার সময় কাস্টমসের একটি দল তাদের আটক করে।
তাদের লাগেজ চেক করে এক লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার জব্দ করে এবং তাদের আটক করেন কাস্টমস কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: বেনাপোল প্রেসক্লাবের সভাপতিকে প্রাণনাশের হুমকি
আটকদের বিরুদ্ধে বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা হয়েছে এবং তাদেরকেও পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয় বলে জানান এই কর্মকর্তা।
১০ মাস পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু
দীর্ঘ ১০ মাস পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে রবিবার বিকাল থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। সন্ধ্যায় ৫১২ টন চালের চালান প্রবেশ করে বেনাপোল বন্দরে। আজ সোমবার সকালে চালের চালানগুলো বন্দর থেকে খালাস দেয়া হয়।
প্রতি মেট্রিক টন চাল ৩৪০ মার্কিন ডলার মূল্যে আমদানি হচ্ছে। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স বেলাল হোসাইন ও মেসার্স লিপু এন্টারপ্রাইজ চিকন চাল আমদানি করে।
বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ মোটা চাল প্রতি টন ৩৮০ মার্কিন ডলারে ও চিকন চাল প্রতি টন ৪৫০ মার্কিন ডলারে শুল্কায়ন করে খালাস প্রদান করছেন। আমদানি মূল্যের ওপর ২৭ দশমিক ৫০ শতাংশ শুল্ককর হিসাবে প্রতি কেজিতে ৯ টাকা ৯০ পয়সা আমদানি শুল্ককর পরিশোধ করতে হচ্ছে।
ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের ডাইরেক্টর মো. মতিয়ার রহমান জানান, দেশে উৎপাদিত চালের বাজার মূল্য নিশ্চিত করতে গত বছরের ৩১ আগস্ট ভারতীয় চাল আমদানি বন্ধ করে দেয় সরকার। বর্তমানে দেশে বিভিন্ন স্থানে বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতিতে বেড়ে যায় চালের মূল্য। চালের বাজার স্বাভাবিক রাখতে খাদ্য মন্ত্রণালয় শর্ত সাপেক্ষে গত ৩০ জুন দেশের ৯৫ জন আমদানিকারককে ভারত থেকে ৪ লাখ ৯ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমতি দেয়।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি শামছুর রহমান জানান, চাল আমদানির অনুমতির মধ্যে ৩ লাখ ৭৯ হাজার মেট্রিক টন সেদ্ধ চাল ও ৩০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল রয়েছে। ২১ জুলাইয়ের মধ্যে চালের এলসি খোলা সম্পন্ন ও ১১ আগস্টের মধ্যে আমদানিকৃত চাল দেশে বাজারজাত শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী জারিন এন্টারপ্রাইজের মালিক আজিম উদ্দিন জানান, বেনাপোল বন্দরের ওপারে ভারতের বঁনগা কালিতলা পার্কিংয়ে ১৭ দিন সিরিয়ালে আটকা ছিল চালের চালানগুলো। সরাসরি চালের ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করলে চাল দ্রুত খালাস করা সম্ভব হবে। ফলে দেশের বাজারে দাম অনেকটা কমে আসবে।
পড়ুন: ঈদের ছুটি শেষে ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু
বৈদশিক মুদ্রার রিজার্ভের ক্ষেত্রে কঠোর বাংলাদেশ ব্যাংক, বিলাসবহুল পণ্যে আমদানি ঋণ নিষিদ্ধ
বাজেট সাপোর্টে ১৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সংগ্রহের চেষ্টা চলছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট ভবিষ্যতের জরুরি পরিস্থিতি এবং অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় বাজেট সাপোর্ট হিসেবে অতিরিক্ত এক হাজার মিলিয়ন মার্কিন ডলার সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলছে।
বুধবার প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্বে ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য এম মোজাফফর হোসেনের (জামালপুর-৫) এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাপী দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে সকলকে মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
শাহজালাল বিমানবন্দরে ২ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলারসহ গ্রেপ্তার ২
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দুই লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার পাচারের চেষ্টার অভিযোগে একজন তুর্কি নাগরিকসহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার কাস্টমস কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন- বাংলাদেশি নাগরিক মাহমুদা ফিরোজ (৭০) ও তুর্কি নাগরিক মেহমেত রেমজি (৪২ )।
কর্মকর্তারা জানান, বুধবার রাত সাড়ে দশটার দিকে বিমানবন্দরের ১০ নং বোর্ডিং ব্রিজ দিয়ে যাওয়ার সময় কাস্টমসের একটি দল বছর তুর্কি নাগরিককে মেহমেত রেমজি কালিককে আটক করে।
আরও পড়ুন: সিলেট বিমানবন্দরে স্বর্ণের বারসহ আটক ১
ঢাকা কাস্টমস হাউসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা হারুন-অর-রশিদ বলেছেন,আটকের পর তার ব্যাগ চেক করে ২ লাখ মার্কিন ডলার জব্দ করা হয়েছে।
অপরদিকে, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে যাত্রা করার সময় কাস্টমস কর্মকর্তারা মাহমুদা ফিরোজকে আটক করে এবং তার কাছ থেকে ৩০ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার জব্দ করে।
একজন কর্মকর্তা জানান, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মামলা করা হয়েছে। তাদেরকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেট বিমানবন্দরে ৮০ লাখ টাকার স্বর্ণ জব্দ, আটক ১
বিমানবন্দরে ৫৯ স্বর্ণের বারসহ মার্কিন পাসপোর্টধারী যাত্রী আটক
রেমিট্যান্স প্রবাহকে উৎসাহিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ বিধান
বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ানোর জন্য নেয়া পদক্ষেপ হিসেবে,পাঁচ হাজার থেকে পাঁচ লাখ মার্কিন ডলার বা তার বেশি রেমিট্যান্স দেশে পাঠালে প্রণোদনা পাওয়ার জন্য বাধ্যতামূলক নথি জমা দেয়ার বিধান প্রত্যাহার করেছে।
সোমবার ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিপার্টমেন্টের জেনারেল ম্যানেজার কাজী রফিকুল হাসান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে অনির্দিষ্টকালের জন্য নথি জমা দেয়ার বাধ্যবাধকতা প্রত্যাহার করেছে।
ফলে রেমিট্যান্স প্রেরকরা বিদেশের বৈদেশিক মুদ্রা সংস্থাগুলোতে নথি জমা না দিয়ে আনুষ্ঠানিক চ্যানেলে প্রেরিত যে কোনও পরিমাণ রেমিট্যান্সের জন্য দুই দশমিক পাঁচ শতাংশ তাৎক্ষণিক প্রণোদনা পাবেন।
আগামী ২৩ মে (সোমবার) থেকে সব তফসিলি ব্যাংককে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
আরও পড়ুন: বিদেশি মুদ্রা পাঠানো ও অ্যাকাউন্ট খোলার ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাখ্যা
চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশ এ পর্যন্ত ১৮ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে।
গত ২০২১ অর্থবছরে, বাংলাদেশ ২৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে, যা এখন পর্যন্ত এক অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেকর্ড।
এই খাতের অভ্যন্তরীণ ব্যক্তিরা বলেছেন, মহামারির পর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পরে হুন্ডি এবং অন্যান্য অবৈধ চ্যানেলগুলো সক্রিয় হওয়ায় অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স প্রবাহ হ্রাস পেয়েছে।
সরকার বৈধ উপায়ে রেমিট্যান্সের প্রবাহ বৃদ্ধিতে উৎসাহিত করছে। কারণ আমদানির অর্থ পরিশোধের জন্য বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা বেড়েছে।
বাংলাদেশে যন্ত্রপাতি, শিল্পের কাঁচামাল, এলপিজি-জ্বালানি তেল এবং অন্যান্য পণ্যের আমদানি ক্রমবর্ধমানহারে বাড়ছে।
এছাড়াও, মহামারির অবস্থা খুব খারাপ থাকার সময় করা এলসিগুলোর বিলম্বিত পেমেন্ট এখন পরিশোধ করতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মতে চলতি অর্থবছর ২০২১-২২ এর প্রথম ৯ মাসে ৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের এলসি খোলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিদেশি মুদ্রা আদায়ে এলসি মার্জিন বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক
চলতি মূলধনের ঋণসীমা বাড়াল বাংলাদেশ ব্যাংক
দেশের মাথাপিছু আয় বেড়ে ২৮২৪ মার্কিন ডলার
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) অস্থায়ী হিসাব অনুযায়ী দেশের মাথাপিছু আয় দুই হাজার ৫৯১ মার্কিন ডলার থেকে দুই হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এ তথ্য জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এতে যোগ দেন।
মান্নান বলেন, ‘আমাদের মাথাপিছু আয় ২০২১-২২ অর্থবছরে দুই হাজার ৮২৪ বা দুই লাখ ৪১ হাজার ৪৭০ টাকায় পৌঁছেছে, যা গত অর্থবছরে (২০২১-২২) ছিল দুই হাজার ৫৯১।’
আরও পড়ুন: চলতি অর্থবছরে জিডিপি ৬ দশমিক ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে: এডিবি
২০২১-২২ সালের চলতি অর্থবছরের ৬-৭ মাসের তথ্য ও পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে জিডিপির এ অস্থায়ী অনুমান করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, অনুমান অনুযায়ী ২০২১-২২ বিদায়ী অর্থবছরে জিডিপি বৃদ্ধির হার সাত দশমিক ২৫ শতাংশ, যা গত অর্থবছরে ছিল ছয় দশমিক ৯৪ শতাংশ।
দেশের জিডিপি ২০২০-২১ অর্থবছরে ৪১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (৩৫,৩০,২০০ কোটি টাকা) থেকে বেড়ে ২০২১-২২ অর্থবছরে ৪৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (৩৯,৭৬,৫০০ কোটি টাকা) হয়েছে।
তিনটি প্রধান খাতের মধ্যে কৃষি খাতে দুই দশমিক ২০ শতাংশ, শিল্প খাতে ১০ দশমিক ৪৪ শতাংশ এবং সেবা খাতে ছয় দশমিক ৩১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: ২০২০-২১ অর্থবছরে ৬.৯৪ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে: পরিকল্পনামন্ত্রী