মার্কিন ডলার
দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ এলসি খোলা হয়েছে মে মাসে
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, চলমান বৈদেশিক মুদ্রা সংকটের মধ্যেই চলতি বছরের মে মাসে বিগত ২৩ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ঋণপত্র (এলসি) খোলা হয়েছে, যার পরিমাণ ৬.৮৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এর আগে ২০২২ সালের জুনে সর্বোচ্চ এলসি খোলার রেকর্ড হয়েছিল, যা ৭.০২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছিল। এরপর থেকে ডলারের বিনিময় হার ও টাকার মূল্যমানের ওঠানামায় এলসি খোলা কমতে থাকে।
আরও পড়ুন: ‘শুধু বাংলাদেশের ক্রেতাদের এলসির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ধারা সমর্থন করে না বিজিএমইএ’
২০২৪ সালের এপ্রিলে ৫.৬৮ বিলিয়ন ডলারের এলসি খোলা হয়। এপ্রিলের তুলনায় মে মাসের পরিসংখ্যানে ২০ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি দেখা যায়। ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় মে মাসে এলসি ওপেনিং বেড়েছে ১৯ দশমিক ৫ শতাংশ।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের শেষে কর সুবিধা এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে বিভিন্ন পণ্যের ওপর কর ছাড় প্রত্যাহারের প্রত্যাশাসহ বেশ কয়েকটি কারণে এই প্রবণতা তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদ ও বাজার বিশ্লেষকরা।
বিষয়টি ইউএনবিকে ব্যাখ্যা করে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, অর্থবছরের শেষের দিকে কিছু পণ্যের ওপর আরও নমনীয় আমদানি নীতি মে মাসে এলসি খোলার বাড়ার অন্যতম কারণ বলা যায়।
এছাড়া ২০২৪ সালের ৮ মে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের বিনিময় হার ৭ টাকা বাড়ানোর পর ব্যবসায়ীরা ডলারের বিনিময় হার আরও বাড়ার আশঙ্কায় এলসি খোলার দিকে ছুটে যান।
বাণিজ্য বিশ্লেষক ড. এম মাসরুর রিয়াজ বলেন, রেমিট্যান্স ও বৈদেশিক ঋণ বিতরণের কারণে ডলারের সরবরাহ বাড়ার কারণে দীর্ঘদিন পর এলসি খোলার পরিমাণ বেড়েছে।
বাংলাদেশে চলমান সামষ্টিক অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা সত্ত্বেও সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বাণিজ্যের পরিমাণ ও ব্যবসায়িক লেনদেন বেড়েছে। মূলধন আমদানিতে সরকারের নীতি সহায়তাও এলসি খোলার ওপর প্রভাব ফেলেছিল বলেও জানান ড. রিয়াজ।
এছাড়াও ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিতে নতুন করের ঘোষণার ফলে এলসি খোলা বাড়াতে অবদান রেখেছিল।
ড. রিয়াজ বলেন, মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি এতদিন করমুক্ত ছিল।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসির লাইসেন্স পেল নগদ
বিওয়াইএলসির সিগনেচার লিডারশিপ প্রোগ্রামের গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠান সম্পন্ন
৪ মাস আগে
ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডে প্রবাসী বাংলাদেশিরা যেভাবে বিনিয়োগ করবেন
রিয়েল এস্টেট, স্টক মার্কেট, স্টার্ট-আপ বা ক্ষুদ্র ব্যবসাগুলো বিনিয়োগের অনুকূল দিগন্ত উন্মোচন করে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য। মার্কিন ডলারের হার বেড়ে যাওয়ার ধারাবাহিকতায় ইতিবাচক প্রভাব পড়ে বিনিয়োগের বিনিময় হারে। অন্যদিকে, উচ্চ মূল্যের ডলার আয়ের সঙ্গে উন্নত হয় রেমিটেন্স ক্রয় ক্ষমতা। প্রবাসীদের এই অর্থ দেশে থাকা তাদের পরিবারের জন্য যেমন সহায়ক হয়, তেমনি সম্ভাবনা তৈরি হয় দেশের বাজারে আরও বিনিয়োগের। এই পরিপ্রেক্ষিতে তাদের নির্ভরযোগ্য বিনিয়োগের উপায় বাংলাদেশ সরকারের নন-রেসিডেন্স বাংলাদেশি (এনআরবি) বন্ডগুলো। এগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে ইউ.এস. ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড বা ইউএসডিআইবি।চলুন, এই বন্ডে বিনিয়োগের পদ্ধতি সম্বন্ধে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
ইউ.এস. ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড কী
সরাসরি বাংলাদেশ সরকারের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এই এনআরবি বন্ড ইস্যু করা হয় মার্কিন ডলারে।
এটি মূলত রেমিটেন্সের বিপরীতে ফরেন কারেন্সি (এফসি) বা বৈদেশিক মুদ্রার অ্যাকাউন্টধারীদের জন্য নিবেদিত একটি সঞ্চয় প্রকল্প। অন্যান্য অধিকাংশ বন্ডের মতো এই বন্ডেও রয়েছে মুনাফা লাভ এবং সুদাসলের উপর কর-মুক্তির সুবিধা।
ইউ.এস. ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডের বৈশিষ্ট্য
- এই বিনিয়োগ সুবিধাটি অনিবাসী বাংলাদেশি বা বাংলাদেশে বংশোদ্ভূত বিদেশি নাগরিকদের জন্য
- বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের এই বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশে তাদের এফসি অ্যাকাউন্টের প্রয়োজন হয়
- বন্ডের মূল্য রেমিটেন্সের উপর মার্কিন ডলারে যে কোনো মূল্যের হয়ে থাকে
- বন্ডের মেয়াদ ৩ বছর
- বর্তমানে সাধারণত ৫০০, ১ হাজার, ৫ হাজার, ১০ হাজার, এবং ৫০ হাজার মার্কিন ডলার মূল্যমানের ইউএসডিআইবি ইস্যু করা হয়
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালে পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান ১০ মুদ্রা
ইউ.এস. ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড কেনার উপায়
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- বৈধ পাসপোর্টের অনুলিপি (বাংলাদেশে অবস্থান করলে দেশে আগমন ও প্রস্থানের সিলসহ পৃষ্ঠা প্রদর্শন করতে হবে)
- সম্প্রতি তোলা আবেদনকারি এবং নমিনি উভয়ের এক কপি করে পাসপোর্ট আকারের ছবি
- ওয়ার্ক পারমিট অথবা ভিসার অনুলিপি
- তহবিলের উৎস সম্পর্কিত কাগজপত্র (চাকরির পরিচয়পত্র বা বেতন প্রাপ্তির স্লিপ)
- অন্য কেউ স্পন্সর করে থাকলে তার পাসপোর্টের অনুলিপি এবং আয় সংক্রান্ত নথি
- সম্পূর্ণ পূরণকৃত এবং স্ব-হস্তে স্বাক্ষরকৃত আবেদনপত্র
বন্ড ক্রয় পদ্ধতি
বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর বা আভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের ওয়েব পোর্টাল থেকে বন্ড ক্রয়ের আবেদন ফর্ম ডাউনলোড করা যায়।
এছাড়া দেশে বা বিদেশে এই বন্ড ইস্যুকারী প্রতিষ্ঠানগুলোও বিনামূল্যেই এই ফর্ম বিতরণ করে থাকে।
ফর্ম পূরনের পর ফর্ম সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের স্ক্যান কপি যে কোনো ইস্যুকারী প্রতিষ্ঠানে ইমেল করতে হবে। উপরোক্ত নথিপত্র ছাড়াও বন্ড ইস্যুকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য আরও কিছু দরকারি কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। এ সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ফিরতি ইমেলে এনআরবি গ্রাহককে অবহিত করবেন।
এরপর স্ব-হস্তে স্বাক্ষরকৃত আবেদন ফর্মসহ যাবতীয় কাগজপত্র কুরিয়ারের মাধ্যমে সেই প্রতিষ্ঠানের ঠিকানায় পাঠাতে হবে। তারপর আবেদনকারির বন্ডের মূল্য পরিশোধের সাপেক্ষে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা বন্ড ইস্যু করবেন। পরিশেষে ক্রয়কৃত বন্ডের পরিচিতি স্বরূপ একটি অ্যাডভাইস কপি গ্রাহককে প্রেরণ করা হবে।
আরও পড়ুন: বন্ডে বিনিয়োগের আগে যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরি
যে প্রতিষ্ঠানগুলো এই বন্ড ইস্যু করে থাকে, সেগুলো হলো:
- বাংলাদেশ ব্যাংক
- দেশের ভেতর ও বাইরে অবস্থিত বাংলাদেশের তফসিলভুক্ত ব্যাংকগুলোর এডি (অনুমোদিত ডিলার) শাখা
- প্রতিনিধি অফিস, ফরেন করেসপন্ডেন্ট
- শরিয়াহ ভিত্তিক ব্যাংক ছাড়া বাংলাদেশের অন্যান্য তফসিলি ব্যাংকগুলোর এক্সচেঞ্জ হাউস
বন্ড ক্রয়ের জন্য আবেদন পদ্ধতি
নিম্নের লিঙ্ক থেকে বন্ডে বিনিয়োগের আবেদন ফর্মটি সরাসরি ডাউনলোড করে পূরণ করা যাবে। https://ird.gov.bd/sites/default/files/files/ird.portal.gov.bd/forms/6ef7c349_b2ef_4608_bd1d_3c7b80b2f3f6/Editable_Purchase_US_Dollar_Investment_Bond_converted.pdf
ফর্ম পূরণে যে তথ্যগুলো প্রয়োজন হয়, তা হলো:
- আবেদনকারী বা বন্ড ক্রেতা এবং তার নমিনির নাম ও ঠিকানা
- নমিনির সঙ্গে আবেদনকারীর সম্পর্ক
- বন্ড ক্রেতার পাসপোর্ট নম্বর
- বন্ডের মূল্য
- এফসি অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং যেই ব্যাংকের যে শাখাতে অ্যাকাউন্টটি রয়েছে, তার নাম ও ঠিকানা
- আবেদনকারীর পাসপোর্ট নম্বর, পাসপোর্ট ইস্যুর স্থান, এবং পাসপোর্ট অনুযায়ী জন্ম তারিখ
- বন্ড ক্রেতার চাকরির পদবি, কোম্পানির নাম
- বন্ড ক্রেতার বাংলাদেশ ও বিদেশের ঠিকানা
- সবশেষে আবেদনকারীর সই
আরও পড়ুন: সঞ্চয়পত্রে যেভাবে বিনিয়োগ করবেন
৫ মাস আগে
২০২৪ সালে পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান ১০ মুদ্রা
যে কোনো দেশের মুদ্রার মানের উল্লেখযোগ্য হ্রাস-বৃদ্ধি নির্ভর করে সুদের হার, মুদ্রাস্ফীতি, বাজারের চাহিদা এবং ব্যবসায়িক লেনদেনের ভারসাম্যের ওপর। এই সূচকগুলোর পেছনে প্রধান চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করে দেশটিতে সঞ্চিত সম্পদের পরিমাণ এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতি। এভাবে সার্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তনের সঙ্গে কখনও মুদ্রা দর পতন ঘটে কখনও বা তা বেড়ে যায়। অত্যধিক হারে বেড়ে যাওয়া মুদ্রামান বিশ্বজুড়ে ব্যবসায়িক লেনদেনে সেই মুদ্রার একটি শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করে। চলুন, ২০২৪ সালে এখন পর্যন্ত কোন ১০টি মুদ্রা সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে তা জেনে নেওয়া যাক।
বৈদেশিক মুদ্রার মূল্য যেভাবে নির্ধারণ হয়
এক দেশের মুদ্রা থেকে অন্য দেশের মুদ্রার বিনিময় হারের পরিবর্তন মূলত দুটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে।
ফ্লোটিং রেট
মুক্ত বাজারে মুদ্রার সরবরাহ ও চাহিদার বর্তমান অবস্থা ঠিক করে দেয় মুদ্রার ফ্লোটিং রেট। যখন একটি মুদ্রার চাহিদা বাড়লে এর দাম বাড়ে, একইভাবে চাহিদা কমলে দামটাও কমে। এই হ্রাস-বৃদ্ধির নেপথ্যে কাজ করে বিনিময় হার সম্পর্কে মানুষের সাধারণ ধারণা। বিনিময় হারের এই বদলে যাওয়ার ধারাবাহিকতায় পরিবর্তন হতে থাকে মানুষের চাহিদা এবং বাজারে মুদ্রার সরবরাহ।
যেমন ইউরোর তুলনায় মার্কিন ডলারের (ইউএস ডলার) চাহিদা বৃদ্ধি মানে ইউরোর দাম মার্কিন ডলারের দাম থেকে কমে যাওয়া। চাহিদা বৃদ্ধির মূলে থাকে বেকারত্বের হার, মুদ্রাস্ফীতি এবং সুদের হারের পরিবর্তনের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক ঘটনা।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে বিশ্বের শীর্ষ ১০ শক্তিশালী মুদ্রা
ফিক্স্ড রেট
একটি বিদেশি মুদ্রার সঙ্গে বিনিময়ের জন্য একটি দেশের সরকার সেই দেশের মুদ্রার একটি নির্দিষ্ট হার বেধে দেয়। মুদ্রার মূল্য নির্ধারণীটি করা হয়ে থাকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে। অতঃপর সেই বিদেশি মুদ্রার বিপরীতে সরকার কর্তৃক দেশীয় মুদ্রা লেনদেন করা হয়, যার মাধ্যমে নির্ধারিত হারটি বজায় থাকে।
বাজারে স্বল্পমেয়াদে ফ্লোটিং রেট যখন ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে, তখন এর নেতিবাচক প্রভাব করে দৈনন্দিন সরবরাহ ও চাহিদায়। এ সময় মুদ্রার দাম একদম পড়ে গেলে অথবা আকাশচুম্বী হয়ে যায়। এই অস্থিতিশীলতাটি দেশের বাণিজ্য, ঋণ পরিশোধসহ সামগ্রিক অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করতে পারে। তাই পরিস্থিতি সামলানোর জন্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো তাৎক্ষণিকভাবে ফিক্স্ড রেটের আশ্রয় নেয়।
বিশ্বের সবচেয়ে দামি ১০টি মুদ্রা
কুয়েতি দিনার (কেডব্লিউডি)
বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী মুদ্রা হলো কুয়েতি দিনার, যুক্তরাষ্ট্রের (ইউএসএ) মুদ্রায় যার বিনিময় হার ৩ দশমিক ২৬ মার্কিন ডলার। এর পেছনে প্রথম কারণ হচ্ছে তেল রপ্তানিতে বিশ্বে কুয়েতের অবস্থান। এই প্রেক্ষাপটটি দেশটিকে একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তি দিয়েছে।
দ্বিতীয়ত, কুয়েতি দিনারে মার্কিন ডলার, ইউরো এবং জাপানি ইয়েনের মতো বিশ্বখ্যাত তিনটি মুদ্রার বিপরীতে ফিক্স্ড রেট আরোপ করা হয়েছে। তাই বৈশ্বিক মুদ্রা বাজার পরিবর্তন এই দিনারের মানকে তেমন প্রভাবিত করতে পারে না।
তৃতীয়ত, কুয়েত একটি রাজনৈতিকভাবে স্থিতিশীল দেশ। এতে করে কুয়েত বিপুল পরিমাণে বিদেশি বিনিয়োগ পায়।
তাছাড়া, দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে এই মুদ্রা সরবরাহের উপর। ফলে মুদ্রার দর একটি নির্দিষ্ট হার বজায় রাখতে পারে।
বাহরাইন দিনার (বিএইচডি)
বিশ্বের দ্বিতীয়-সর্বোচ্চ দামি মুদ্রা হলো বাহরাইন দিনার, যার একক মুদ্রার হার ২ দশমিক ৬৫ মার্কিন ডলারের সমান। এর পেছনে প্রধান কারণ তেলের পাশাপাশি বাহরাইন গ্যাস রপ্তানিতেও সেরা।
মার্কিন ডলারের বিপরীতে এই দিনারের বিনিময় হার সুনির্দিষ্ট করায় এর দামে খুব বেশি তারতাম্য থাকে না। এমনকি দেশটির নিম্ন মূল্যস্ফীতির হার মুদ্রার মান স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: স্বর্ণ বনাম হীরা: কোন বিনিয়োগটি বেশি লাভজনক?
ওমানি রিয়াল (ওএমআর)
বিশ্বের তৃতীয় দামি মুদ্রাটির নাম ওমানি রিয়াল, যার একক মুদ্রা দিয়ে ২ দশমিক ৬০ মার্কিন ডলার কেনা যায়। কারণ বাহরাইনের মতো ওমানও বিশ্বখ্যাত তেল ও গ্যাস রপ্তানিকারক। আরব উপদ্বীপের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলের এই দেশটির অর্থনীতির বেশিরভাগই নির্ভর করে তাদের কাছে থাকা তেলের মজুদের উপর।
এই রিয়ালের এক হাজার ভাগের এক ভাগকে ‘বাইসা’ বলা হয়, যা অন্যান্য মুদ্রার বিপরীতে ব্যবহার করা হয়। আর ইউএস ডলারের বিপরীতে ওমানের মুদ্রার রেট ফিক্স্ড করা আছে। এছাড়া দেশটির মূল্যস্ফীতির হার তুলনামূলকভাবে কম হওয়ার কারণে মুদ্রার মানের আকস্মিক পরিবর্তন হয় না।
জর্ডানিয়ান দিনার (জেওডি)
তালিকার চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে জর্ডানিয়ান দিনার, যার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রার বিনিময় হার ১ দশমিক ৪১ ডলার। বিশ্ব বাজারে তেল ও গ্যাসের প্রধান বিক্রেতা না হলেও এই অতীব দুটি মূল্যবান সম্পদ জর্ডানের অর্থনীতির মূল শক্তি।
দিনারের ঊর্ধ্বমানের নেপথ্যে রয়েছে আর্থিক এবং রাজস্ব নীতিতে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সতর্কতা। এর ফলে একদিকে আভ্যন্তরীণ বাজারে মুদ্রার মূল্য স্থিতিশীল থাকে। অন্যদিকে, বিশ্ব বাজারের উত্থান-পতনের ধাক্কা থেকে জর্ডানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সুরক্ষিত থাকে।
ব্রিটিশ পাউন্ড (জিবিপি)
পৃথিবীর সর্বোচ্চ দামি মুদ্রাগুলোর শীর্ষ ১০-এর ঠিক মাঝামাঝিতে রয়েছে ব্রিটিশ পাউন্ড। ১ ব্রিটিশ পাউন্ড ১ দশমিক ২৭ মার্কিন ডলারের সমতূল্য। সাম্প্রতিক নানা ধরনের রাজনৈতিক ঝামেলার পরেও পাউন্ড ২০২৪ সালের পঞ্চম শক্তিশালী মুদ্রা। এর পেছনে মূলত দুটি বিষয় দায়ী। এক জিবিপ’র জনপ্রিয়তা এবং দুই, সংগৃহীত মোট রাজস্ব আয়ের দিক থেকে এই দেশটি বিশ্বের বৃহত্তম দেশগুলোর অন্তর্ভূক্ত।
আরও পড়ুন: ডলার এনডোর্সমেন্ট কী, কীভাবে করবেন
৫ মাস আগে
৭ মাসে ইউরোপে ১৩.৯২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি
২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ৭ মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নে তৈরি পোশাক রপ্তানি ১৩.৯২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এ তথ্য জানিয়েছে।
আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১ দশমিক ৩২ শতাংশ বেড়েছে। এ সময় স্পেন, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস ও পোল্যান্ডে রপ্তানি যথাক্রমে ৬ দশমিক ০৫ শতাংশ, ৪ দশমিক ২৫ শতাংশ, ১১ দশমিক ৭৭ শতাংশ এবং ২০ দশমিক ৩০ শতাংশ রপ্তানি বেড়েছে। তবে, ইতালিতে স্থানীয় পোশাক রপ্তানি কমেছে ১ দশমিক ৮১ শতাংশ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে পোশাক শিল্প গুরুত্বপূর্ণ: সালমান এফ রহমান
অন্যদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বৃহত্তম রপ্তানি বাজার জার্মানিতে রপ্তানি দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ের তুলনায় চলতি বছরের একই সময়ে রপ্তানি কমেছে ১৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাক রপ্তানি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে ৩ দশমিক ৯০ শতাংশ কমেছে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
একই সময়ে, যুক্তরাজ্য ও কানাডায় রপ্তানি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৩.৩১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ৮৭১ দশমিক ২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় যথাক্রমে ১২ দশমিক ৯৮ শতাংশ এবং শূন্য দশমিক ৬৮ শতাংশ বেড়েছে।
আরও পড়ুন: বস্ত্র ও পোশাক শিল্পের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উদ্ভাবন নীতি উন্মোচন
২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি মাসে, অপ্রচলিত বাজারে পোশাক রপ্তানি ১১ দশমিক ৬৯ শতাংশ বেড়ে ৫ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে যা আগের বছরের একই সময়ে ৪ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছিল।
প্রধান অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়াতে রপ্তানি যথাক্রমে ৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ, ২৩ শতাংশ এবং ১৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ বেড়েছে। তবে, ভারতে পোশাক রপ্তানি ২১ দশমিক ৮৬ শতাংশ কমেছে।
আরও পড়ুন: রপ্তানিতে নতুন পণ্য বাছাইয়ে কাজ করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
৮ মাস আগে
চলতি অর্থবছর ফেব্রুয়ারিতে সর্বোচ্চ ২১৬ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে বাংলাদেশে
ফেব্রুয়ারিতে ২ দশমিক ১৬ বিলিয়ন (২১৬ কোটি) মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে বাংলাদেশে; যা চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ৮ মাসের (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) মধ্যে সর্বোচ্চ।
রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বৈধ চ্যানেলে ২১৬ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এর আগের মাস জানুয়ারি মাসে ২১০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।
বৈধ চ্যানেলে চলতি বছরের প্রথম আট মাসে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ১৩ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক ইউএনবিকে বলেন, সরকার ও ব্যাংকগুলো প্রণোদনা দেওয়ায় বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে।
তিনি বলেন, ব্যাংকগুলোকে তাদের আর্থিক উৎস থেকে অতিরিক্ত প্রণোদনা দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, যা বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।
প্রবাসী আয়ের ওপর সরকারের আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দিয়ে ব্যাংকগুলো অতিরিক্ত আড়াই শতাংশ বেশি দামে ডলার কিনতে পারছে। মোট প্রণোদনা পাচ্ছে ৫ শতাংশ। ফলে বৈধ চ্যানেলে দেশে রেমিট্যান্স আসছে।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. সেলিম রায়হান বলেন, রেমিট্যান্সের ওপর ৫ শতাংশ প্রণোদনা সাময়িকভাবে রেমিট্যান্স বাড়াতে সহায়তা করবে। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি কোনো সমাধান হবে না।
ড. রায়হান বলেন, ‘রেমিট্যান্স বাড়াতে হলে হুন্ডি বন্ধ করতে হবে। হুন্ডি বন্ধ করতে হলে মানি লন্ডারিং বন্ধ করতে হবে। এখন প্রচুর টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে। যেকোনো উপায়ে এটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।’
৮ মাস আগে
বেনাপোলে বিপুল পরিমাণ মার্কিন ডলারসহ নারী আটক
যশোরের বেনাপোল চেকপোস্টে ৭৬ হাজার ৪০০ মার্কিন ডলারসহ এক নারী যাত্রীকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে তাকে আটক করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত সার্কেলের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ৪টি স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ২
ভারত থেকে আসা ওই নারীর নাম নাসরিন আক্তার। তিনি কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা থানার সাতবাড়িয়া গ্রামের জামাল উদ্দিন এর মেয়ে।
বেনাপোল শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত সার্কেলের পরিদর্শক কামাল হোসেন জানান, শুল্ক গোয়েন্দার একটি দল ইমিগ্রেশন কাস্টমসে ভারত থেকে আসা ওই নারীকে আটক করে। এ সময় তার ব্যাগ থেকে ৭৬ হাজার ৪০০ মার্কিন ডলার উদ্ধার করা হয়। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৮৫ লাখ টাকা।
আটক যাত্রীর বিরুদ্ধে আইনগত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান কামাল হোসেন।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে স্বামীর ছুরিকাঘাতে স্ত্রী নিহত, স্বামী আটক
বেনাপোলে ২টি স্বর্ণের বার জব্দ, যুবক আটক
৯ মাস আগে
মেহেরপুর সীমান্তে ৩৩,২০০ মার্কিন ডলার উদ্ধার করেছে বিজিবি
মেহেরপুর জেলার সদর থানার অন্তর্গত বুড়িপোতা সীমান্ত এলাকা থেকে ৩২ হাজার ২০০ মার্কিন ডলার (প্রায় ৩৯ লাখ ৮৪ হাজার টাকা) উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বিজিবি-৬ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সৈয়দ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা থেকে বিজিবি-৬ ব্যাটালিয়নের একটি দল সকাল (শনিবার) সাড়ে ১০টার দিকে ১১৬/৪-এস নম্বর পিলারের কাছে অভিযান চালিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় কালো পলিথিনে মোড়ানো মার্কিন ডলার উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
এ ঘটনায় মেহেরপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
উদ্ধার অর্থ মেহেরপুর জেলার কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ে জমা দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: টেকনাফে বিজিবি'র অভিযান: ২ লাখ ১০ হাজার ইয়াবা জব্দ
সাতক্ষীরায় ২০টি স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ২: বিজিবি
১ বছর আগে
এক মার্কিন ডলার ১২০ টাকা: মানিচেঞ্জাররা বলছেন হাত খালি, নেটওয়ার্কে বিক্রি হচ্ছে ডলার
মার্কিন ডলারের জন্য খোলা বাজারে জনসাধারণের নির্ভরতা বাড়ায় প্রতি ডলার বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২১ টাকায়।
সম্প্রতি খোলা বাজারে বেশি দামে ডলার বিক্রির অভিযোগে বাংলাদেশ ব্যাংক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মানি চেঞ্জারদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর পর খোলা বাজারে ডলারের সংকট আরও তীব্র হয়।
এ অবস্থায় অনেকেই তাদের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রতি ডলার ১২০-১২১ টাকায় ডলার বিক্রি করছেন। সূত্র জানিয়েছে, যারা চিকিৎসা, শিক্ষা ও অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনে বিদেশে ভ্রমণ করছেন তাদের জন্য তারা ডলারের একমাত্র উৎস হয়ে উঠছে।
আরও পড়ুন: বৈদেশিক মুদ্রার পরিসংখ্যান মিলছে না: অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন
জানতে চাইলে ঢাকার মতিঝিল এলাকার একটি মানি এক্সচেঞ্জ হাউসের মালিক জামাল (ছদ্মনাম) আজ ইউএনবিকে বলেন, আমরা ১১৫ টাকায়ও ডলার কিনতেও পারি না। ‘আমরা কীভাবে প্রতি ডলার ১১৩ দশমিক ৩০ টাকায় বিক্রি করতে পারি।’
অন্যান্য অনেক মানি চেঞ্জার ও মার্কিন ডলারের স্বতন্ত্র ভাসমান ব্যবসায়ীরা মুদ্রার সরবরাহ সংকটের কারণে নিষ্ক্রিয় রয়েছেন।
এক মাসের ব্যবধানে খোলা বাজারে মার্কিন ডলারের বিনিময় হার ১১২ টাকা থেকে ১২০-১২১ টাকায় পৌঁছেছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মানি চেঞ্জারদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে প্রতি ডলার ১১৩ টাকা ৩০ পয়সা দরে বিক্রি করতে বলে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রিজার্ভ-সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা পর্যালোচনা করছে আইএমএফ
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশে মার্কিন ডলারের তীব্র ঘাটতি রয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার দাম অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়ছে এবং টাকার মান কমছে। ফলে খোলা বাজারে ডলারের দাম ১২০ টাকা ছাড়িয়েছে।
বিভিন্ন এক্সচেঞ্জ হাউস এবং ডলার ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের সঙ্গে কথা বলে ইউএনবি জানতে পেরেছে যে বেশিরভাগ মানি চেঞ্জারের কাছে ডলার নেই।
মানি চেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের মহাসচিব শেখ হেলাল সিকদার বলেন, মানি চেঞ্জারদের জন্য ডলারের ক্রয়মূল্য ১১১ দশমিক ৮০ টাকা এবং ১১৩ দশমিক ৩০ টাকা বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
তিনি বলেন, ‘এই দামে কেউ ডলার পাচ্ছে না, তাই মানি চেঞ্জাররা এখন খালি হাতে বসে আছে।’
খোলা বাজারে ডলারের ঘাটতি সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেসবাউল হক ইউএনবিকে বলেন, ডলার লেনদেন হচ্ছে, কিন্তু সবাই তা বিক্রি করছে না।
আরও পড়ুন: মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলায় ঋণের সুদের হার বাড়াল বিবি
১ বছর আগে
নভেম্বরে আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি পেতে পারে বাংলাদেশ
চলতি বছরের নভেম্বরের মধ্যে আইএমএফ থেকে ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি হিসেবে ৪ দশামিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ।
সোমবার (২৮ আগস্ট) অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কর্মকর্তারা বেশ কয়েকবার ঢাকা সফর করেছেন এবং বিভিন্ন খাতে সন্তোষজনক অর্জন পেয়েছেন। ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি যথাসময়ে ছেড়ে দেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: আইএমএফ’র হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের রিজার্ভ ২৩.৫৭ বিলিয়ন ডলার
ইতোমধ্যে, বাংলাদেশ কিছু খাতে সংস্কার করেছে এবং আইএমএফের প্রয়োজনীয় শর্তের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সর্বশেষ তথ্য হালনাগাদ করেছে। তাই ঋণের পরবর্তী কিস্তি সময়মতো পাওয়ার বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আইএমএফের নির্ধারিত মানদণ্ডের নিচে নেমে এসেছে। এ কারণে ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইএমএফের সাবেক অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর।
তবে ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি যথাসময়ে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে মনে করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সম্প্রতি আইএমএফের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল একাধিক বৈঠক করেছে। ঋণের দ্বিতীয় ধাপ যথাসময়ে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে ওই বৈঠকে আশ্বস্ত করেছে আইএমএফ প্রতিনিধি দল।
গত ফেব্রুয়ারিতে আইএমএফের ঋণের প্রথম কিস্তি হিসেবে বাংলাদেশ পেয়েছে ৪৭০.৬২ মিলিয়ন ডলার।
২০২৬ সাল পর্যন্ত সাড়ে তিন বছরে সাত কিস্তিতে আইএমএফের পুরো ঋণ পাওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশের।
আরও পড়ুন: আইএমএফের শর্তের ভিত্তিতে বাজেট করা হয়নি: অর্থমন্ত্রী
১ বছর আগে
২০২৩ সালে বিশ্বের শীর্ষ ১০ শক্তিশালী মুদ্রা
বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড এবং অর্থনৈতিক লেনদেনে সাবলীলতার দরুণ মুদ্রা বিশ্ব অর্থনীতির একটি অপরিহার্য উপাদান। স্বভাবতই সবগুলো মুদ্রা মূল্যমান এক পাল্লায় পরিমাপ করা হয় না। এমনকি কিছু কিছু মুদ্রা অন্যগুলোকে ছাড়িয়ে আশ্চর্যজনক উচ্চতায় উঠে আসে। এই আকাশচুম্বী তারতম্যের কারণ কী! বর্তমান বিশ্বের সব থেকে দামি ১০টি মুদ্রার সঙ্গে পরিচিত হওয়ার পাশাপাশি চলুন পটভূমিটাও জেনে নেওয়া যাক।
বৈদেশিক মুদ্রার মান নির্ধারণ হয় কীভাবে?
বৈদেশিক মুদ্রার মূল্যমান মূলত নির্ধারিত হয় দু’টি প্রধান উপায়ে: ফ্লোটিং রেট ও ফিক্সড রেট।
ফ্লোটিং রেট
এই রেটটি নির্ধারিত হয় মুক্ত বাজারে সরবরাহ ও চাহিদার বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে। যখন একটি মুদ্রার চাহিদা বেশি হয়, তখন এর মূল্য বাড়ে। আর চাহিদা কমার সঙ্গে সঙ্গে তার দামটা পড়তে থাকে। বিভিন্ন প্রযুক্তিগত এবং মৌলিক কারণ একটি ন্যায্য বিনিময় হার সম্পর্কে মানুষের ধারণাকে প্রভাবিত করে। আর সেই অনুযায়ী পরিবর্তন হতে থাকে চাহিদা ও সরবরাহ।
উদাহরণস্বরূপ, ইউরোপীয়দের মধ্যে মার্কিন ডলারের চাহিদা বৃদ্ধির ফলে ইউরোর তুলনায় মার্কিন ডলারের দাম বেড়ে যায়। এর পেছনে নটবর হিসেবে কাজ করে সুদের হারের পরিবর্তন, বেকারত্বের হার, মুদ্রাস্ফীতি ও ভূ-রাজনৈতিক ঘটনাগুলো।
ফিক্সড রেট
বিদেশি মুদ্রার বিনিময় হিসেবে একটি দেশের সরকার নিজেদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট হার নির্ধারণ করে দেয়। এই হার বজায় রাখার জন্য সরকার সেই বিদেশি মুদ্রার বিপরীতে নিজস্ব মুদ্রা ক্রয় ও বিক্রয় করে।
আরও পড়ুন: আমদানিতে কড়াকড়ি সত্ত্বেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৮ বিলিয়ন ডলারের নিচে
স্বল্পমেয়াদে ফ্লোটিং রেটের গতিবিধিকে ঘিরে দানা বাধতে থাকে অনুমান ও গুজব। কখনো সত্যিকার অর্থেই রেটের বিপর্যয় ঘটে, যার সূত্র ধরে পরিবর্তিত হতে থাকে দৈনন্দিন সরবরাহ ও চাহিদা। স্বল্পমেয়াদের এই অস্থিরতার চরম অবস্থায় সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো হস্তক্ষেপ করে।
অর্থাৎ একটি মুদ্রার দাম অত্যধিক বেশি বা কম হয়ে গেলে সরকার এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর এই হস্তক্ষেপ ঘটে। অন্যথায় এই অস্থিতিশীলতাটি দেশের অর্থনীতি, বাণিজ্য এবং ঋণ পরিশোধের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। সর্বপরি, মুদ্রার ফ্লোটিং রেটকে তুলনামূলকভাবে অনুকূল অবস্থায় নিয়ে আসার জন্য ফিক্সড রেটের ব্যবস্থাগুলো প্রয়োগ করা হয়।
২০২৩ সালে পৃথিবীর শীর্ষ ১০ মূল্যবান মুদ্রা
কুয়েতি দিনার
বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে দামি মুদ্রা হলো কুয়েতি দিনার (কেডব্লিউডি), যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রায় যার বিনিময় হার ৩ দশমিক ২৭ মার্কিন ডলার। কুয়েতের ভৌগলিক অবস্থান সৌদি আরব এবং ইরাকের মাঝে হওয়ায় দেশটিকে তেল রপ্তানিকারক হিসেবে বিশ্বব্যাপী শীর্ষস্থানীয় পদমর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছে। ১৯৬০-এর দশকে প্রবর্তিত মুদ্রা দিনার সর্বপ্রথম ব্রিটিশ পাউন্ডের বিপরীতে ফিক্সড রেট করা হয়েছিল। এই কৌশলগত পদক্ষেপটি কুয়েতকে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং একক মুদ্রামুখী ঝুঁকিগুলো হ্রাস করতে সাহায্য করে। বর্তমানে বাংলাদেশে ১ কুয়েতি দিনারের দাম ৩৫৩ দশমিক ৭০ টাকা।
আরও পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রতিকৃতি বিশিষ্ট বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুদ্রার এখন কি করা হবে?
১ বছর আগে