অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্রে জানা গেছে, বাজেট বাস্তবায়নে বাংলাদেশের ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করতে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ভাইস-প্রেসিডেন্ট অশোক লাভাসা মঙ্গলবার রাতে ঢাকায় আসবেন।
প্রাইভেট সেক্টর অপারেশনস এবং পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের ইনচার্জ লাভাসা, তার সপ্তাহব্যাপী সফরে পরিকল্পনামন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন।
এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে ঋণ ব্যবস্থাপনা, সরকারি ব্যয়সহ অন্যান্য বিষয়েও আলোচনা করবেন।
আরও পড়ুন: ঋণ পেতে আইএমএফের শর্ত মেনে কাজ করছে সরকার
এর আগে বাজেট সহায়তার জন্য ইআরডি এডিবিকে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ প্রস্তাব পাঠিয়েছিল।
এডিবি’র ঢাকা কার্যালয় লাভাসার সফরের বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে।
ঋণ প্রস্তাব ছাড়াও এডিবির সহায়তায় দেশে চলমান প্রকল্পগুলোর অগ্রগতিও আলোচনায় থাকবে।
এডিবি’র ভাইস-প্রেসিডেন্ট বেসরকারি উদ্যোক্তা এবং সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করবেন।
এছাড়াও তিনি এডিবি-এর অর্থায়নে তৈরি পোশাক কারখানা এবং একটি বেসরকারি খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ কারখানা পরিদর্শন করবেন।
এর আগে আইএমএফ এবং বাংলাদেশ সাড়ে চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণের প্রাথমিক চুক্তিতে পৌঁছেছে। চূড়ান্ত হলে, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৪৪৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রথম কিস্তি পাওয়া যাবে। এছাড়া বাজেট সহায়তা ঋণ হিসাবে বিশ্বব্যাংক থেকে ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাওয়া যাবে। সম্প্রতি এ দুই সংস্থার প্রতিনিধি দল ঢাকা সফরে এ বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন।
জানতে চাইলে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ইউএনবিকে বলেন, ‘অন্যান্য দাতা সংস্থার তুলনায় এডিবি আমাদের ঋণের বড় অংশ দিয়েছে। আমি তাদের কাছে বাজেট সহায়তা হিসেবে ঋণ চেয়েছি এবং প্রক্রিয়া চলছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘ঋণ দেয়ার আগে এডিবি দেশের অর্থনৈতিক সূচকগুলো পরীক্ষা করবে। কিছু শর্তও দেবে। এই ঋণের বিষয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া এখন পর্যন্ত ইতিবাচক।’
এডিবি’র ঋণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত ইআরডির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, সংস্থাটি কখনোই বাজেট সহায়তা হিসেবে ঋণ সহায়তা দেয়নি। কিন্তু কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের পর থেকে এডিবি এ খাতে ঋণ সহায়তা দেয়া শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: ৩ ব্যাংকের কয়েক হাজার কোটি টাকার ঋণ ‘কেলেঙ্কারি’: জড়িতদের তালিকা চান হাইকোর্ট
বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির তদন্ত তিন মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ