ইআরডি
বাংলাদেশে খাদ্য-পুষ্টি নিরাপত্তার উন্নয়নে এফএও ও ইআরডির ৪ প্রকল্প চুক্তি সই
বাংলাদেশের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তার উন্নয়নে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সঙ্গে চারটি চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) এই চুক্তিগুলো সই করা হয়।
চুক্তি চারটি হলো- টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স টু দ্যা ডাইভার্সিফাইড রেজিলিয়েন্ট এগ্রিকালচার ফর ইম্প্রোভড ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশন সিকিউরিটি প্রজেক্ট (রেইনস-টিএ), একসেলারেটিং ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল ইনক্লুশন অব স্মলহোল্ডার ফার্মার্স থ্রু স্ট্রং প্রোডিউসার্স’ অর্গানাইজেশন (অ্যাক্সেস), জলবায়ু সহনশীল ধানী জমির জন্য সরকারি-বেসরকারি আর্থিক সহায়তা এবং কক্সবাজার জেলার উখিয়া ও কুতুবদিয়া উপজেলায় ক্ষুদ্র কৃষকদের পুষ্টি ও আয়ের উন্নয়নে উন্নত কৃষি পদ্ধতি এবং বাজার সংযোগ স্থাপন করা।
আরও পড়ুন: কৃষ্ণ সাগর চুক্তি বাতিলের পর বিশ্বব্যাপী খাদ্যের দাম বেড়েছে: এফএও
চুক্তিতে সই করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং বাংলাদেশে এফএও-এর অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিনিধি আর্নউ হ্যামিলার্স।
৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেটের রেইনস প্রকল্পের মেয়াদ ৪ বছর।
সর্বমোট ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেটের রেইনস প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কাজ করছে কৃষি মন্ত্রণালয়। প্রকল্পটি বিশ্বব্যাংকের গ্লোবাল এগ্রিকালচার অ্যান্ড ফুড সিকিউরিটি প্রোগ্রাম (জিএএফএসপি) থেকে অর্থায়িত এবং এর তত্ত্বাবধানে আছে ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট (ইফাদ)।
রেইনস এর কারিগরি সহায়তার বাজেট ৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার যা জিএএফএসপি থেকে অর্থায়নকৃত একটি অনুদান। এর তত্ত্বাবধানে কাজ করছে ইফাদ এবং কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে এফএও।
বাহ্যিক প্রতিবন্ধকতা ও সংকট নিরসন
একসেলারেটিং ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল ইনক্লুশন অব স্মলহোল্ডার ফার্মার্স থ্রু স্ট্রং প্রোডিউসার্স’ অর্গানাইজেশন ( অ্যাক্সেস ) প্রকল্পটি জিএএফএসপি’র অধীনে ৩ দশমিক ২৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অনুদান পেয়েছে। প্রকল্পটি যৌথভাবে বাস্তবায়ন করবে এফএও এবং উৎপাদক সংস্থাগুলোর একটি জাতীয় নেটওয়ার্ক- সারা বাংলা কৃষক সোসাইটি (এসবিকেএস)।
প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষক পরিবারে সহায়তা প্রদান
কক্সবাজার জেলার উখিয়া ও কুতুবদিয়া উপজেলায় ক্ষুদ্র কৃষকদের পুষ্টি ও আয়ের উন্নয়নে উন্নত কৃষি পদ্ধতি এবং বাজার সংযোগ স্থাপন করা প্রকল্পটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার বাজেটে বাস্তবায়ন করা হবে। এই প্রকল্পের লক্ষ্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী ও তাদের পরিবারের মধ্যে জলবায়ু-স্মার্ট, পুষ্টি-সংবেদনশীল কৃষি সম্পর্কে প্রচার করা এবং এর মাধ্যমে কৃষকদের জীবিকার উন্নয়ন।
আরও পড়ুন: তথ্য সভায় এফএও বাংলাদেশের অগ্রগতি ও সাফল্য উপস্থাপন
প্রকল্পটি এফএও এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডাব্লিউএফপি) এর একটি যৌথ উদ্যোগ, যা অর্থায়ন করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের ম্যাকগভর্ন-ডোল ফুড ফর এডুকেশন প্রোগ্রাম এবং সমন্বিতভাবে বাস্তবায়ন করছে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ (ডিএই) ও বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বারটান)।
ধানী জমির জন্য আঞ্চলিক প্রকল্প
জলবায়ু সহনশীল ধানী জমির জন্য সরকারি-বেসরকারি আর্থিক সহায়তা একটি আঞ্চলিক প্রকল্প। এটি বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া এবং ভিয়েতনামে বাস্তবায়িত হবে; এবং এর অর্থায়ন করছে গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফ্যাসিলিটি (জিইএফ)।
১ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার বাজেটের এই প্রকল্প একটি নতুন মিশ্রিত অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে সহায়তা করবে। এটি জলবায়ু-সহনশীল ধানী জমি, মূল্য শৃঙ্খল এবং জীবিকার জন্য সরকারি ও বেসরকারি অর্থায়নে অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে। এশিয়া মহাদেশের ধানী জমির অভিযোজন এবং সহনশীলতা বৃদ্ধিতে এটি সরকারি ও বেসরকারি খাতের বিনিয়োগেও সহায়তা করবে।
এফএও’র সহকারী প্রতিনিধি (কর্মসূচি) নূর আহমেদ খন্দকার বলেন, ‘বিশেষ করে পরিবেশগত প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলায় খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় সহনশীলতা অর্জনের চাবিকাঠি হচ্ছে পারস্পরিক সহযোগিতা।’
আরও পড়ুন: ইআরডিএফবি আয়োজিত ‘উন্নয়ন ও গণতন্ত্র’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত
১ বছর আগে
ঢাকা-উত্তরপশ্চিমাঞ্চল আন্তর্জাতিক বাণিজ্য করিডোর উন্নয়ন: বাংলাদেশকে ৩০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে এডিবি
এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) এবং বাংলাদেশ সরকার মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) বাংলাদেশের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানী ঢাকার আন্তর্জাতিক বাণিজ্য করিডোর উন্নয়নে ২৭৭ দমমিক ৮৮ মিলিয়ন ইউরো (৩০০ মিলিয়ন ডলার) ঋণচুক্তি সই করেছে।
ঢাকায় ইআরডিতে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও এডিবির পক্ষে যথাক্রমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এবং এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং ঋণচুক্তিতে সই করেন।
আঞ্চলিক উন্নয়ন ব্যাংকটি বলেছে, সড়কপথে বাংলাদেশের ৭০ শতাংশ যাত্রী পরিবহন হয় এবং ৬০ শতাংশ পণ্য পরিবহন হয়।
এই সহায়তা এডিবি’র দ্বিতীয় সাউথ এশিয়া সাবরিজিয়নাল ইকোনোমিক কো-অপারেশন (সাসেক) ঢাকা-উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের করিডোর সড়ক প্রকল্পের জন্য ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের মাল্টিট্রাঞ্চ ঋণের তৃতীয় ধাপ।
এডিবি কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং বলেন, ‘এই প্রকল্প সড়ক পরিবহন ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ এবং উপআঞ্চলিক সংযোগ ও বাণিজ্যের উন্নয়নে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতিকে সমর্থন করে।’
তিনি বলেন, এটি ঢাকা ও দেশের উত্তরপশ্চিমাঞ্চল সড়ক করিডোরে যানবাহন পরিচালনার খরচ, ভ্রমণের সময়, যানবাহনের নির্গমন, দুর্ঘটনা ও যানজট কমাতে সাহায্য করবে।
গিনটিং আরও বলেন, ‘প্রকল্পটি করিডোর সংলগ্ন এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে এবং ভুটান, নেপাল ও ভারতের সঙ্গে উপ-আঞ্চলিক বাণিজ্য সহজতর করতে সহায়তা করবে।’
প্রকল্পটি এলেঙ্গা থেকে হাটিকুমরুল হয়ে রংপুর পর্যন্ত ১৯০ কিলোমিটার অংশকে চার লেন করে বাংলাদেশের একটি দক্ষ ও আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থার লক্ষ্য অর্জনে অবদান রাখবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জ্বালানি সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ২০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে এডিবি
এটি রাস্তার নিরাপত্তা বাড়াবে এবং নারীদের ভ্রমণকে নিরাপদ করতে ফুটব্রিজ, ফুটপাথ ও ধীরগতির ট্র্যাফিকের জন্য দুটি ডেডিকেটেড লেন অন্তর্ভুক্ত করবে।
কারণ গবেষণায় দেখা গেছে, নারীরা; বিশেষ করে পায়ে চলা বা ধীরগতির যানবাহন যেমন রিকশার মতো রুট বেশি ব্যবহার করে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের সড়ক পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনাও জোরদার করা হবে। রাস্তা নির্মাণের জন্য জলবায়ু-স্থিতিস্থাপক নকশা গ্রহণ করা হবে।
১৯৯৪ সালে যুগান্তকারী যমুনা সেতু প্রকল্প অনুমোদনের পর থেকে এডিবি ঢাকা-উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের সড়ক করিডোর উন্নয়নে বাংলাদেশকে সহায়তা করে আসছে।
২০১২ সালে অনুমোদিত সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্পের অধীনে সড়কটির ৭০ কিলোমিটার জয়দেপুর-এলেঙ্গা অংশটি নির্মাণ করা হয়েছিল।
এটি বুড়িমারী ও বেনাপোল স্থলবন্দরগুলোর কার্যকারিতাও উন্নত করেছে, যা যথাক্রমে ভুটান ও ভারতে প্রবেশদ্বার।
পরিবহন অবকাঠামো এডিবির সাসেক প্রকল্পের কেন্দ্রবিন্দু, যা আঞ্চলিক উন্নয়নে সহায়তা করে।
এডিবির অর্থায়নে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সাসেক সদস্য দেশগুলো পরিবহন খাতে ১৩ দশমিক ১৭ বিলিয়ন মূল্যের ৪৬টি প্রকল্পসহ ১৮ দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের ৭৯টি প্রকল্প সই ও বাস্তবায়ন করেছে।
আরও পড়ুন: দেশের গ্রামাঞ্চলে কমিউনিটি স্থিতিস্থাপকতা ও জীবিকা নির্বাহের জন্য ১২০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি
এশিয়া প্যাসিফিককে সহায়তা করতে আগামী দশকে ১০০ বিলিয়ন ডলারের নতুন তহবিল উন্মোচন এডিবির
১ বছর আগে
এডিবি’র ১ বিলিয়ন: আলোচনার জন্য রাতে ঢাকায় আসছেন লাভাসা
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্রে জানা গেছে, বাজেট বাস্তবায়নে বাংলাদেশের ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করতে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ভাইস-প্রেসিডেন্ট অশোক লাভাসা মঙ্গলবার রাতে ঢাকায় আসবেন।
প্রাইভেট সেক্টর অপারেশনস এবং পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের ইনচার্জ লাভাসা, তার সপ্তাহব্যাপী সফরে পরিকল্পনামন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন।
এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে ঋণ ব্যবস্থাপনা, সরকারি ব্যয়সহ অন্যান্য বিষয়েও আলোচনা করবেন।
আরও পড়ুন: ঋণ পেতে আইএমএফের শর্ত মেনে কাজ করছে সরকার
এর আগে বাজেট সহায়তার জন্য ইআরডি এডিবিকে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ প্রস্তাব পাঠিয়েছিল।
এডিবি’র ঢাকা কার্যালয় লাভাসার সফরের বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে।
ঋণ প্রস্তাব ছাড়াও এডিবির সহায়তায় দেশে চলমান প্রকল্পগুলোর অগ্রগতিও আলোচনায় থাকবে।
এডিবি’র ভাইস-প্রেসিডেন্ট বেসরকারি উদ্যোক্তা এবং সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করবেন।
এছাড়াও তিনি এডিবি-এর অর্থায়নে তৈরি পোশাক কারখানা এবং একটি বেসরকারি খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ কারখানা পরিদর্শন করবেন।
এর আগে আইএমএফ এবং বাংলাদেশ সাড়ে চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণের প্রাথমিক চুক্তিতে পৌঁছেছে। চূড়ান্ত হলে, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৪৪৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রথম কিস্তি পাওয়া যাবে। এছাড়া বাজেট সহায়তা ঋণ হিসাবে বিশ্বব্যাংক থেকে ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাওয়া যাবে। সম্প্রতি এ দুই সংস্থার প্রতিনিধি দল ঢাকা সফরে এ বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন।
জানতে চাইলে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ইউএনবিকে বলেন, ‘অন্যান্য দাতা সংস্থার তুলনায় এডিবি আমাদের ঋণের বড় অংশ দিয়েছে। আমি তাদের কাছে বাজেট সহায়তা হিসেবে ঋণ চেয়েছি এবং প্রক্রিয়া চলছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘ঋণ দেয়ার আগে এডিবি দেশের অর্থনৈতিক সূচকগুলো পরীক্ষা করবে। কিছু শর্তও দেবে। এই ঋণের বিষয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া এখন পর্যন্ত ইতিবাচক।’
এডিবি’র ঋণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত ইআরডির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, সংস্থাটি কখনোই বাজেট সহায়তা হিসেবে ঋণ সহায়তা দেয়নি। কিন্তু কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের পর থেকে এডিবি এ খাতে ঋণ সহায়তা দেয়া শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: ৩ ব্যাংকের কয়েক হাজার কোটি টাকার ঋণ ‘কেলেঙ্কারি’: জড়িতদের তালিকা চান হাইকোর্ট
বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির তদন্ত তিন মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ
২ বছর আগে
ইআরডির সাবেক সচিব মনোয়ারের মৃত্যুতে অর্থমন্ত্রীর শোক
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সাবেক সচিব মনোয়ার আহমেদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
শুক্রবার পিআইডির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শোক বার্তায় অর্থমন্ত্রী বলেন, মনোয়ার আহমেদ একজন মেধাবী কর্মকর্তা ছিলেন, যিনি সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে তার দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি আরও বলেন, মনোয়ার আহমেদের সফল কর্মজীবন সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে।
কামাল মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মনোয়ার আহমেদের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর শোক
আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরীর মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
২ বছর আগে
দেশের প্রথম নারী অর্থসচিব ফাতিমা ইয়াসমিন
দেশের প্রথম নারী অর্থসচিব হিসেবে জ্যৈষ্ঠ আমলা ফাতিমা ইয়াসমিনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার এক সরকারি আদেশে তাকে এ দায়িত্ব দেয়া হয়।
১১ জুলাই থেকে তিনি নতুন দায়িত্ব পালন করবেন। ফাতিমা ২০২০ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে নিয়োগ পাওয়া অর্থসচিব আব্দুর রউফ তালুকদারের স্থলাভিষিক্ত হবেন ফাতিমা।
এদিকে জনপ্রশাসনের আরেক প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সচিব) শরিফা খান ১১ জুলাই থেকে ইআরডিতে সচিব হিসেবে যোগদান করছেন।
আরও পড়ুন: মন্ত্রণালয়ে প্রায় ৪ লাখ পদ শূন্য: ফরহাদ
ফাতিমা বাংলাদেশের প্রথম নারী ইআরডি সচিবও। তিনি ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে যোগদান করেন।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) থেকে এমবিএ ডিগ্রি এবং অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে উন্নয়ন অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
ইআরডির নতুন সচিব শরিফাও বিসিএসের ১৯৯১ ব্যাচের একজন কর্মকর্তা।
২ বছর আগে
বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর
করোনা মহামারির বিরূপ প্রভাব থেকে অর্থনীতির পুনরুদ্ধার ও সহনশীলতার জন্য ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
সোমবার ‘বাংলাদেশ-ফার্স্ট রিকভারি অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স ডেভেলপমেন্ট পলিসি ক্রেডিট (ডিপিসিআই)’ এর অধীনে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
ইআরডি সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ও বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর মোহাম্মদ আনিস নিজ নিজ পক্ষে ঋণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
আরও পড়ুন: বেশ কয়েকটি প্রকল্পে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে বিশ্বব্যাংক
বিশ্বব্যাংক ‘বাংলাদেশ-ফার্স্ট রিকভারি অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স ডেভেলপমেন্ট পলিসি ক্রেডিট (ডিপিসি ওয়ান)’ শিরোনামে ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেট সহায়তা প্রদান করতে সম্মত হয়েছে যা কোভিড-১৯ পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ও উন্নয়ন গতি বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
ডিপিসি সিরিজ পরপর দুই অর্থবছর ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ এ ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদান করবে। ডিপিসির বাকি উদ্দেশ্যগুলো হলো-কোভিড-১৯ পরবর্তী পুনরুদ্ধারের জন্য বাজেট প্রণোদনা বাস্তবায়নের প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে সহায়তা করা এবং ভবিষ্যতের ধাক্কা প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জন্য ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুমোদন বিশ্বব্যাংকের
এ ঋণের সুদের হার এক দশমিক ২৫ শতাংশ এবং সার্ভিস চার্জ শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ। এই ঋণ পাঁচ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।
২ বছর আগে
বাংলাদেশকে ২৫ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দেবে এআইআইবি
করোনা মহামারি জনিত মন্দা থেকে টেকসই অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য সরকারি এক কর্মসূচি বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে ২৫ কোটি (২৫০ মিলিয়ন) মার্কিন ডলার ঋণ দেবে এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক (এআইআইবি)।
ভার্চুয়াল মাধ্যমে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ও এআইআইবি ভাইস প্রেসিডেন্ট (অঞ্চল-১) ডিজে পান্ডিয়ান এ বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
বাংলাদেশের অর্থনীতিকে মহামারির ধাক্কা থেকে পুনরুদ্ধার করার লক্ষ্যে নীতি সংস্কার করতে অর্থ বিভাগ এ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
ফাতিমা বলেন, এই কর্মসূচির আওতায় সরকারি অর্থ ব্যবস্থাপনা (পিএফএম) পদ্ধতি সংস্কার ও জোরদার এবং অর্থনৈতিক সম্পদ সম্প্রসারণ করে ব্যয় হ্রাস ও যৌক্তিক করতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এছাড়া এ কর্মসূচির মাধ্যমে ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্প এবং উদ্যোক্তাদের জন্য অর্থায়নের সুযোগ সৃষ্টি করার লক্ষ্যও রয়েছে বলে জানান তিনি।
তিন বছর অতিরিক্তসহ এ ঋণ পরিশোধের সময় ২০ বছর।
আরও পড়ুন: করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত খাতে ২০ কোটি ডলার ঋণ দিবে আইডিএ
ঋণের ফাঁদে পড়বে না বাংলাদেশ: পরিকল্পমন্ত্রী
দেশে মাথাপিছু বৈদেশিক ঋণ ২৪,৮৯০ টাকা
৩ বছর আগে
জীবিকার উন্নয়নে বাংলাদেশকে ৩০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক
গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবিকার উন্নয়নে পাঁচ বছর মেয়াদি একটি প্রকল্পে বাংলাদেশ সরকারকে ৩০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। ‘রেসিলিয়েন্স, এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ অ্যান্ড লাইভলিহুড ইমপ্রুভমেন্ট (আরইএলআই) প্রকল্পের’আওতায় সরকারকে এ ঋণ দেবে সংস্থাটি।
গত ২৭ জুন বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ এবং প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের (এসডিএফ) মধ্যে দুটি পৃথক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
আরও পড়ুন: আরও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংকের ২৫ কোটি ডলারের চুক্তি
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন ও এসডিএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. জেড. এম. সাখাওয়াত হোসেন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন। অনুষ্ঠানে এসডিএফের চেয়ারপার্সন ও সাবেক সচিব মো. আবদুস সামাদ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: টিকা কিনতে বাংলাদেশকে ৫০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক
প্রকল্পটির লক্ষ্য হলো দরিদ্র ও দুর্বল গ্রামীণ মানুষের জীবন-জীবিকা উন্নয়নে সহায়তা করা। কোভিড-১৯ এর বিরূপ প্রভাব প্রশমণ, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগ মোকাবিলার সক্ষমতা তৈরি এবং করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে গ্রামাঞ্চলে উদ্যোক্তা তৈরিতে এ প্রকল্প নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে ঝরে পড়া তরুণ ও বস্তির শিশুদের শিক্ষায় বিশ্বব্যাংকের সহায়তা
প্রকল্পটি বাংলাদেশ সরকারের ডেল্টা পরিকল্পনা (বিডিপি) ২১০০ এবং সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে।
৩ বছর আগে
গ্রামীণ অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহের সক্ষমতা বাড়াতে এডিবির সাথে চুক্তি
গ্রামীণ অঞ্চলে সঞ্চালন ও বিতরণ নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করে বিদ্যুৎ সরবরাহ উন্নয়নের জন্য এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সাথে মঙ্গলবার ১৩ কোটি ডলারের ছাড় ঋণসহ অতিরিক্ত ২০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ।
৩ বছর আগে