গত ৪ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে দক্ষিণ সিটির ৪১ নং ওয়ার্ড ওয়ারীতে ২১ দিনের লকডাউন। যা আগামী ২৪ জুলাই শেষ হবে। এরমধ্যে লকডাউন এলাকায় জনগনের চলাচল ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও জরুরি পণ্যসেবা দিচ্ছে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) ২৩টি প্রতিষ্ঠান। পুরো ঢাকা শহরের জন্য ৭০টি প্রতিষ্ঠানকে লকডাউন এলাকার জন্য প্রস্তুত রাখলেও জনসংখ্যার বিবেচনায় ওয়ারীতে ২৩টি প্রতিষ্ঠান সেবা দিয়ে আসছে।
গত ১৬ জুলাই নগর ভবনে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় ই-কমার্স কোম্পানীসমূহের সেবা, পণ্যের মান, দাম ও বিধি মানার ব্যাপারে সন্তোষ প্রকাশ করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।]
তিনি ওই সময় বলেন, শুরু থেকে ন্যায্যমূল্যে সেবা দিয়ে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের দায়িত্বশীলতা ফুটিয়ে তুলেছেন।
ওয়ারীতে মানসম্পন্ন সেবা সময়মত পৌঁছে দিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছে চালডাল ডট কম। এখানকার বাসিন্দাদের জন্য ফ্যাক্টরিমূল্যে তেল, লবণ, আটা, ময়দা সুজি ইত্যাদি পণ্য বিক্রি করছে টিকে গ্রুপ। প্রতিদিন গাড়ি নিয়ে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মানুষের ঘরের সামনে হাজির হচ্ছে অথবা ডট কম। মাছ মাংসের চাহিদা পূরণ করতে প্রতিদিন ফ্রিজার ভ্যান নিয়ে টহল দিচ্ছে ডাউরেক্ট ফ্রেস ও বেঙ্গল মিট মিট। কম দামে মানসম্পন্ন সবজি বিক্রি করছে সবজিবাজার ডট কম।
ফল নিয়ে মানুষের পাশে রয়েছে এরিয়া সেভেনটিওয়ান, প্রতিদিন শিশুদের জন্য দুধ নিয়ে আসে মিল্কভিটা ও ফার্মফ্রেশ। মেডিসিন সেবা নিয়ে ডায়বেটিক স্টোর, রেডিফুড নিয়ে ফুডপান্ডা, হাংরিনাকি, সহজ, উবার তাদের তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে।
এ প্রসঙ্গে ই-ক্যাবের প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার বলেন, আসলে এখানে ব্যবসা করার কোনো সুযোগ নেই। মানুষের পাশে থাকার জন্যই আমাদের সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলো ওয়ারীতে ভূর্তুকি দিয়ে পণ্যসেবা অব্যাহত রেখেছে।
এটুআইএর ই-কমার্স প্রধান রেজওয়ানুল হক জামি বলেন, প্রতিদিন কী পরিমাণ পণ্য সেবা ওয়ারীতে যাচ্ছে। আমাদের কাছে তার সম্পূর্ণ রিপোর্ট রয়েছে। আমরা এর ওপর ভিত্তি করে বৃহত্তর এলাকায় লকডাউন পরিস্থিতি তৈরি হলে কেমন চাহিদা হবে বা আমাদের করনীয় কী হবে তা ঠিক করতে পারব।
এছাড়া ইতোমধ্যে ই-ক্যাবের মানবসেবা প্রকল্পের উদ্যোগে ৫০টি পরিবারকে ১৪ দিনের খাবার সামগ্রী উপহার হিসেবে দেয়া হয়েছে। সিন্দাবাদ ডট কম ও ডায়বেটিক স্টোর ২০০ স্বেচ্চাসেবকের জন্য মাস্ক ও হ্যান্ডস্যানিজার দিয়েছে। এছাড়া এটুআই ও ই-ক্যাবের যৌথ উদ্যোগে বসানো হয়েছে ডিসইনফেক্ট ফটক।