ঈদুল আজহার পর গত ১০ আগস্ট থেকে সীমিত আকারে নাকুগাঁও স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হলেও বন্দরে আগের মতো সেই প্রাণচাঞ্চল্য নেই।
নাকুগাঁও স্থলবন্দরের কাস্টমস ইন্সপেক্টর সঞ্জয় সরকার জানান, করোনার কারণে গত ১৯ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল। পরে সরকারি নির্দেশনায় জুন মাস থেকে কার্যক্রম শুরু হলেও এখন তা চলছে স্বল্প পরিসরে।
তিনি আরও জানান, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে এ স্থলবন্দর দিয়ে ৪৮ হাজার ৬৮৫ মেট্রিক টন পাথর, ৯৯ মেট্রিক টন কয়লা ও ১২ মেট্রিক টন আদা আমদানিকরা হয়। এসব পণ্য আমদানি করা থেকে রাজস্ব আয় ও গবাদি পশু নিলামে বিক্রি বাবদ জমা হওয়া ২ লাখ ৮৯ হাজার টাকাসহ সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ১ কোটি ৯৬ লাখ ৭ হাজার টাকা। এছাড়া একই সময়ে এ বন্দর দিয়ে ভারতে রপ্তানি করা হয়েছে ২৮০ মেট্রিক টন ক্রাউন সিমেন্ট ও ১৬৮ মেট্রিক টন পারটেক্স বোর্ড।
স্থলবন্দর ব্যবহারকারী আমাদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সদস্য আক্তার হোসেন জানান, এখন স্বাস্থ্যবিধি মেনে অল্প পরিমাণে ভারত থেকে পাথর আমদানি শুরু হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে পুরোদমে ব্যবসা শুরু হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘শুরুর দিকে এ স্থলবন্দর দিয়ে কয়লা আমদানি করা হত। কিন্তু বিশেষ কারণে তা বন্ধ ছিল। তবে করোনার আগে আবারও পাথরের পাশাপাশি কয়লা আমদানির প্রক্রিয়া চলছিল। পাথরের সাথে যদি কয়লা আমদানি করা যেত তাহলে ব্যবসায়ীরা আরও বেশি লাভবান হত। রাষ্ট্রীয় কোষাগারেও বিপুল পরিমাণে রাজস্ব জমা হত।’
স্থলবন্দরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা একরামুল হক বলেন, করোনাভাইরাসজনিত পরিস্থিতিতে বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম প্রায় তিন মাসের মতো বন্ধ ছিল। ওই সময়ে ব্যবসায়ীরা পাথর আমদানি করতে পারেননি। যে কারণে রাজস্ব আয় অনেকটা কমে গেছে।
‘করোনার প্রভাব না থাকলে আরও অন্তত ৬০ লাখ টাকা রাজস্ব আয় বাড়ত। এছাড়া কয়লা আমদানি বন্ধ থাকার কারণেও বন্দরের রাজস্ব আয় অনেকটা কমেছে,’ যোগ করেন একরামুল হক।