খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি এবং দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক পাঁচ হাজার কোটি টাকার একটি পুনঃঅর্থায়ন প্রকল্প গঠন করেছে।
এই তহবিল থেকে কৃষকরা ৪ শতাংশ সুদে ঋণ নিতে পারবেন। তারা এই তহবিল থেকে তিন মাসের অতিরিক্ত সময়সহ সর্বোচ্চ ১৮ মাসের জন্য ঋণ নিতে পারে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে সব ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে।
এতে বলা হয়, কৃষকরা এই তহবিল থেকে ফসল চাষ, মাছ, হাঁস-মুরগি, দুগ্ধ, শাকসবজি, ফলমূল এবং ফুলকে মজবুত করার জন্য ঋণ নিতে পারেন।
আরও পড়ুন: মাচায় ঝুলছে কৃষকের স্বপ্ন!
সরবরাহ ব্যবস্থাপনা বিঘ্নিত হওয়ায় বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকটের আশঙ্কা রয়েছে। এ কারণে খাদ্যশস্যের দাম বাড়ছে বলে মনে করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এমতাবস্থায় দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উৎপাদন বাড়াতে হবে।
এ লক্ষ্যে কৃষি খাতে স্বল্প সুদে ঋণের প্রবাহ বজায় রাখতে পাঁচ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই তহবিল থেকে শুধুমাত্র কৃষকরাই ঋণ পাবেন। ক্ষুদ্র প্রান্তিক কৃষকরা ধান, সবজি, ফল ও ফুলসহ ফসল চাষের জন্য সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা পর্যন্ত জামানতবিহীন ঋণ নিতে পারেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ও গ্রামীণ ঋণ নীতিমালা অনুযায়ী সর্বোচ্চ পাঁচ একর জমিতে চাষাবাদের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট ফসলের দায়বদ্ধতার বিপরীতে ঋণ বিতরণ করা যেতে পারে।
এছাড়া গ্রাহক-ব্যাংকার সম্পর্কের ভিত্তিতে ব্যাংক ইচ্ছা করলে জামানত নিয়ে ঋণ দিতে পারে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, এই তহবিল থেকে ঋণের অর্থ গ্রাহকের পুরনো ঋণ সমন্বয় করতে ব্যবহার করা যাবে না। ঋণখেলাপিরাও এই তহবিল থেকে ঋণ পাবেন না।
এই ঋণ বিতরণের সময়কাল নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। যা প্রয়োজন হলে বাড়ানো হবে।
আরও পড়ুন: ফুলবাড়ী: সবুজ রঙে সেজেছে কৃষকের মাঠ