২০১৭-১৮ অর্থবছরের একই সময়ে রপ্তানি আয় ছিল এক হাজার ৪৫৬ কোটি মার্কিন ডলার। অর্থাৎ গত অর্থবছরের তুলনায় এবারের আয় ১৭.২৪ শতাংশ বেশি।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বর মাসের আয় ছিল ৩৪২ কোটি মার্কিন ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ১১.৯৪ শতাংশ বেশি। গতবার একই সময়ে আয় হয়েছিল ৩০৫ কোটি মার্কিন ডলার।
গত পাঁচ মাসে স্বাভাবিকভাবেই তৈরি পোশাক খাত থেকে এসেছে সর্বোচ্চ আয়, এক হাজার ৪১৮ কোটি ৬২ লাখ মার্কিন ডলার। এ খাতে লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক হাজার ২৭৬ কোটি ৯৬ লাখ মার্কিন ডলার।
একই সময়ে কৃষিপণ্য রপ্তানিতে বিশাল অগ্রগতি হয়েছে। দেখা গেছে ৭৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি। এ খাত থেকে রপ্তানি আয় হয়েছে ৪৫ কোটি ৮৬ লাখ মার্কিন ডলার।
গত অর্থবছরের তুলনায় একই সময়ে প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩০ শতাংশ। আয় হয়েছে চার কোটি ৮৭ লাখ মার্কিন ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৪.৮১ শতাংশ বেশি।
তবে পাট ও পাটজাত পণ্য এবং চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হ্রাস পেয়েছে। গত পাঁচ মাসে এসবের রপ্তানি কমেছে যথাক্রমে ২২ ও ১৬ শতাংশ। পাট ও পাটজাত পণ্য থেকে আয় হয়েছে ৩৫ কোটি ১৫ লাখ এবং চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য থেকে আয় হয়েছে ৪৩ কোটি ৪৭ লাখ মার্কিন ডলার।
গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ আয় করে তিন হাজার ৬৬৬ কোটি ৮২ লাখ মার্কিন ডলার। যার মধ্যে তৈরি পোশাক খাত থেকে আসে তিন হাজার ৬১ কোটি মার্কিন ডলার।
চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মোট রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তিন হাজার ৯০০ কোটি মার্কিন ডলার, যা আগের বছরের চেয়ে চার শতাংশ বেশি। আর মোট লক্ষ্যমাত্রার ৮৩.৪৯ শতাংশ পোশাক খাত থেকে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এবিষয়ে ইউএনবির সাথে আলাপকালে ইপিবির একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, লক্ষ্যমাত্রা সহজেই অর্জিত হবে। কারণ, দেশের রপ্তানিকারণ বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাতের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সক্ষমতা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, উৎপাদকরা যাতে বাধা-বিঘ্নতা ছাড়াই ব্যবসা করতে পারেন সে জন্য সরকার দেশে ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করেছে।