বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক এ ঘোষণা দেন।
এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে দৈনিক ১০০ কোটি টাকা লেনদেনের মাইলফলক অতিক্রম করে নগদ।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এগিয়ে নিতে নগদ-গ্রামীণফোন জোট
প্রতিষ্ঠানটির সহকারী ব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) লিংকন মো. লুৎফরজামান সরকার স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নগদের দ্রুতগতির অগ্রযাত্রাকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং গ্রাহকবান্ধব সেবা চালু করার ফল বলে মনে করেন দেশের দ্বিতীয় গ্রাহক সেরা ডিজিটাল আর্থিক সেবার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক।
আরও পড়ুন: মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থাপনার উপর গুরুত্বারোপ বিএফআইইউ ও নগদের
তিনি বলেন, ‘প্রচলিত সব পরিষেবা যাতে নগদে পাওয়া যায় তার জন্য আমরা ‘সব হবে নগদে’- এ লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি। আর সে জন্য প্রতিদিনিই আমরা অসাধ্য সাধনের আশায় কাজ করছি। মোবাইল ফোন থেকে *১৬৭# নম্বরে ডায়াল করে অ্যাকাউন্ট খোলা পৃথিবীর আর কোথাও সম্ভব না হলেও নগদ সেটি সম্ভব করেছে। অথচ এক সময় একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে কত কিছুই না করতে হতো। উদ্ভাবনী প্রচেষ্টার এ গতিধারায় প্রতিষ্ঠার মাত্র দেড় বছরের মধ্যে নগদ ২০০ কোটির মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেছে। এটি আমাদের জন্য অনেক আনন্দের।’
আরও পড়ুন: দেশে ব্যবসার সক্ষমতা উন্নয়নে এডিবির অনুদান
তানভীর এ মিশুক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছিলেন ২০২১ সালের জানুয়ারির আগে ২০০ কোটির মাইলফলক স্পর্শ করার কথা, যেটি আমরা আগেই করে ফেলেছি। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাই, আমাদের জনগণের সেবা করার সুযোগ দেয়ার জন্য। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টাকেও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই।’
আরও পড়ুন: দেশের ব্যবসা উদ্যোগের ৯৯.৮৪ শতাংশই সিএমএসএমই
আনুষ্ঠানিক পথচলা শুরুর পর থেকে নগদ দেশের ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস খাতসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। মাত্র দুই বছরেরও কম সময়ে ১২ হাজার মার্চেন্ট নগদ নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়েছে, আছে প্রায় সাড়ে ৩০০ ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে লেনদেনের সুবিধা।
কোনো রকম বাড়তি খরচ ছাড়া বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, টেলিফোনসহ সব রকম বিল প্রদান শুধুমাত্র নগদে করা যাচ্ছে। নগদ থেকে প্রায় ২০০-এরও বেশি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কোম্পানির বিল প্রদান, মোবাইল ফোন অপারেটরে রিচার্জ ও বিভিন্ন প্যাকেজ কেনা এখন নিমিষের ব্যাপার।
আরও পড়ুন: অনলাইন ব্যবসায় সাফল্য পেতে জেনে নিন ১০ ধাপ
বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন রকমের আর্থিক কর্মকণ্ড বিশেষ করে প্রাথমিকের উপবৃত্তির টাকা নগদের মাধ্যমে বিতরণ, সরকারি বিভিন্ন অনুদান ও ভাতার টাকাও যাবে নগদের মাধ্যমে। ফলে উপকারভোগীরা সুফল পাবেন। কারণ তাদের টাকায় অন্য কেউ ভাগ বসাতে পারবে না। এছাড়া টাকা তুলতে বাড়তি ঝক্কি পোহাতে হচ্ছে না।
টানা লকডাউনের কারণে কাজ হারানো ৫০ লাখ পরিবারকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে আর্থিক সহায়তা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যার মধ্যে ১৭ লাখই বিতরণ করা হয় নগদের মাধ্যমে। বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নিসা মুজিবের ৯০তম জন্মদিনে দুস্থ নারীদের মাঝে ভাতা বিতরণেও প্রধানমন্ত্রী কেবল নগদকে বেছে নেন।
আরও পড়ুন: ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অল্প সুদে ঋণ দেয়ার আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী
অতিমারির সময়ে মানুষ যাতে ঘরে বসেই ভিসা ও মাস্টারকার্ড থেকে নগদ ওয়ালেটে টাকা আনতে পারে তার ব্যবস্থা করে নগদ। করোনা টেস্টের ফি প্রদান প্রক্রিয়া ডিজিটাল করতে একমাত্র নগদ এ সেবাটি চালু করে। ফলে ঘরে বসে করোনা পরীক্ষার ফি প্রদান, কিংবা কোনো বুথে গিয়েও ঝামেলামুক্ত করোনা পরীক্ষার ফি প্রদান হয়ে যায়। পাশাপাশি কোভিডের সময় দুই লাখের বেশি গার্মেন্টস কর্মীর বেতন-ভাতা নগদের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে।