ফলে রবি ও সোমবার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। এতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আসা বিভিন্ন পণ্যবাহী ভারতীয় ট্রাকের চালকেরা বলেন, সীমান্তের ওপারে ভারতের হিলির বালুপাড়া পার্কিংয়ে পেঁয়াজ বোঝাই শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছেন তারা। গত এক সপ্তাহ ধরে লোড অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকার কারণে প্রতি ট্রাকে ৩-৪ টন করে পেঁয়াজ পচে গেছে। এসব পচা পেঁয়াজ আবার সেখানকার ছোট যমুনা নদীতে ফেলে দেয়া হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ জানান, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এরপর ১৮ সেপ্টেম্বর এক সিদ্ধান্তে তারা জানায় শুধুমাত্র ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এলসি করা পেঁয়াজ হিলি স্থলবন্দর দিয়ে রপ্তানি করা হবে। এই প্রেক্ষিতে গত শনিবার এই বন্দর দিয়ে ২৪৬ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। যার মধ্যে অধিকাংশই পেঁয়াজ পচে নষ্ট হয়েছে। তবে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এলসি করা ১০ হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি না দেয়ায় এসব পেঁয়াজের চালান সীমান্তে আটকে আছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা ভারতের ব্যবসায়ীদের বলেছি আপনারা আপনাদের সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করুন। আজ-কালের মধ্যে আমাদের পেঁয়াজ দেয়া না হলে আমরা এই পচা পেঁয়াজ নেব না বলে জানিয়েছে। এই পেঁয়াজ নিয়ে ইতোমধ্যে আমরা অর্ধকোটি টাকার লোকসানে পড়েছি।’