পাটের সোনালি অতীত ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তা, সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করবে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় এফবিসিসিআইয়ের গুলশান কার্যালয়ে পাট শিল্পে বিরাজমান সমস্যা সমাধানে করণীয় নির্ধারণ বিষয়ক এই মতবিনিময় সভায় এ কথা জানিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি মাহবুবুল আলম।
তিনি বলেন, পাট আমাদের সোনালি ঐতিহ্য। এই শিল্পের সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমাদের নিজস্বতা ও গৌরবের ইতিহাস। এ শিল্পের সমস্যাগুলোর সমাধান করে সোনালি অতীত ফিরিয়ে আনতে এই খাতের উদ্যোক্তা, সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করবে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, এই শিল্পের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ গ্রহণের কোনো বিকল্প নেই। কীভাবে পাটজাত পণ্য রপ্তানি ও উৎপাদন বাড়ানো যায় সেটি নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। পাটজাত পণ্যের বৈচিত্র্যকরণের মাধ্যমে বিশ্বে নতুন বাজার সৃষ্টি ও রপ্তানি বৃদ্ধি করতে প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা দেবে এফবিসিসিআই।
আরও পড়ুন: চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বরে ইইউতে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১১.৪৭%
মতবিনিময় সভায় পাটজাত শিল্পের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন সংগঠন ও এই খাতের ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় তারা পাট শিল্পের বিরাজমান সমস্যা সমাধানে কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: কাঁচাপাটের উপর ২ শতাংশ উৎসে কর রহিত করতে হবে। পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০ শতভাগ বাস্তবায়ন ও পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। পাটজাত পণ্যকে কৃষিজাতপণ্য হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়ন করতে হবে। এ ছাড়া পাটশিল্পকে রক্ষার জন্য ইডিএফের মতো পাট খাতের উন্নয়ন তহবিল (জেএসডিএফ) গঠনসহ বেশ কিছু সুপারিশ তুলেন ধরেন তারা।
বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ও এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক মো. আবুল হোসেন বলেন, পাট শিল্পকে রক্ষায় জেএসডিএফ গঠন করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাটশিল্পে স্বল্পসুদে ঋণ দেওয়া হলে মিল মালিকরা চিরাচরিত পাটপণ্যের সঙ্গে বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদনে উদ্বুদ্ধ হবে এবং স্বল্প মূল্যে দেশে ও বিদেশের বাজারে পাটপণ্য ও বহুমুখী পাটপণ্য রপ্তানি বাড়াতে সচেষ্ট হবে ।
অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআইয়ের বর্তমান পরিচালক মো. হাবিব উল্লাহ ডন, পরিচালক আজিজুল হক, মো. নিয়াজ আলী চিশতি, ফখরুস সালেহীন নাহিয়ানসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জানুয়ারি-আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি কমেছে ২১ দশমিক ৭৭ শতাংশ: ওটেক্সা
আরএমজি শিল্পে ন্যূনতম ১৭ হাজার ৫৬৮ টাকা মজুরির সুপারিশ সিপিডির