বুধবার ভারতীয় উচ্চ আদালত ও সেখানকার রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের বরাতে সিলেট ও সুনামগঞ্জের তাহিরপুর কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের দায়িত্বশীল সূত্র আগামী ১০ ডিসেম্বর সোমবার থেকে ফের কয়লা আমদানি শুরু হবে বলে নিশ্চিত করেছেন।
এতে করে দীর্ঘ কয়েক মাস বন্ধ থাকার পর সিলেটের তামাবিল, সুনামগঞ্জের সীমান্তবর্তী তাহিরপুরের বড়ছড়া, চারাগাঁও, বাগলীসহ দেশের ছয় শুল্ক স্টেশন দিয়ে আবারও ভারতের মেঘালয় থেকে কয়লা আমদানির সুযোগ সৃষ্টি হল।
ভারতীয় আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত শুধুমাত্র মেঘালয় রাজ্যের সীমান্ত ঘেষা সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের তিন শুল্ক স্টেশই নয় সিলেটের তামাবিল, ময়নসিংহের হালুয়াঘাটের গোবরাকুড়া এবং কড়ইতলীসহ একযোগে দেশের ছয় স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়েই ভারতীয় কয়লা আমদানি শুরু হবে।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভারতের মেঘালয়ের পরিবেশবাদী সংগঠন ডিমাহাসাও জেলা ছাত্র ইউনিয়নের মামলার ভিত্তিতে ২০১৪ সালের ১৭ এপ্রিল ভারতের ন্যাশনাল গ্রিণ ট্রাইব্যুনাল (এনজিটি) আদালত মেঘালয় সরকারকে অপরিকল্পিতভাবে কয়লা খনন ও পরিবহন বন্ধের নির্দেশ দেন। ওই বছর ৬ মে সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিভাগীয় মুখ্যসচিব মেঘালয় রাজ্যের প্রতিটি জেলার জেলা প্রশাসককে ওই নির্দেশনা কার্যকর করতে বলা হয়। আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে ২০১৪ সালের ১৩ মে থেকে মেঘালয়ের সীমান্ত জেলাগুলোয় ১৪৪ ধারা জারি করে কয়লা পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
এরপর থেকে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে বড় শুল্কবন্দর সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের বড়ছড়া-চারাগাঁও, বাগলী, সিলেটের তামাবিল, ময়মনসিংহের গোবড়া এবং কড়ইতলীসহ ছয় শুল্ক স্টেশন দিয়ে ভাতের মেঘালয় থেকে কয়লা আমদানি বন্ধ হয়ে যায়।
তাহিরপুর কয়লা আমদানীকারক গ্রুপের সচিব রাজেশ তালুকদার বলেন, ভারতের রপ্তানিকারক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ফের কয়লা রপ্তানি বিষয়টি সে দেশের উচ্চ আদালত থেকে আদেশপ্রাপ্ত হয়ে তাহিরপুর কয়লা আমদানিকারক গ্রুপকে অবহিত করেছেন। ৮ ডিসেম্বর শনিবার আমদানিককারক ও রপ্তানিকারক সংগঠনের নেতৃবৃন্ধের যৌথ বৈঠকের পর আগামী ১০ ডিসেম্বর সোমবার থেকে ফের কয়লা আমদানি শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের বড়ছড়া রাজস্ব কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, নতুন করে আদানিকারকগণ ৯ ডিসেম্বর রবিবার ব্যাংকে এলসি করার পর সোমবার থেকেই ভারত থেকে কয়লা আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে।