করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে ভারত, নেপাল, ভুটান ও বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানির এ স্থলবন্দরটি গত ২৭ মার্চ বন্ধ হয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার স্থলবন্দরের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় শর্ত সাপেক্ষে সীমিত আকারে বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর শনিবার এ স্থলবন্দরে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে আসে। আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে কাস্টমস, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, আমদানি ও রপ্তানিকারক, সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ও শ্রমিক সবাই কর্মমুখর হয়ে উঠেন। পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশের বাংলাবান্ধা ও ভারতের ফুলবাড়িতে প্রবেশ শুরু করে।
তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুভাষ চন্দ্র সাহা আনুষ্ঠানিকভাবে সীমান্তের বাঁশ উত্তোলন করে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু করেন।
এ সময় বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ম্যানেজার কাজী আল তারিক, বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কুদরত-ই খুদা মিলন, পঞ্চগড় জেলা আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি মেহেদী হাসান খান বাবলাসহ বন্দর কর্তৃপক্ষ, সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ও কাস্টমসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কাজী আল তারিক বলেন, ‘সকালে আমদানি-রপ্তানি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে দুপুরে শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে ভুটানের পাথরবাহী ট্রাকই বেশি প্রবেশে করেছে, তবে কয়েকটি ভারতীয় ট্রাকেও পাথর এসেছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ট্রাকগুলোকে স্থলবন্দরের ইয়ার্ডে রাখা হয়েছে।’
কুদরত-ই খুদা মিলন জানান, ভুটান ও ভারতের মোট ৪৫টি পাথরবাহী ট্রাক বাংলাবান্ধায় প্রবেশ করেছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চলবে। দৈনিক ১০০ ট্রাকের পণ্য আমদানি-রপ্তানি করা হবে। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করতে হবে।