বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ১০ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
শারদীয় দুর্গোৎসব, ঈদে মিলাদুন্নবী ও সরকারি ছুটি উপলক্ষে দেশের একমাত্র চতুর্দেশীয় স্থলবন্দর পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধায় সকল প্রকার আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ১০ দিন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে কৃর্তপক্ষ।
বাংলাবান্ধা আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপ ও ভারতের ফুলবাড়ী এক্সপোর্টার অ্যান্ড ইমপোর্টার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন যৌথভাবে শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) থেকে আগামী ৯ অক্টোবর পর্যন্ত ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল ও ভূটানের মধ্যে সকল পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: ৬ দিন পর বন্ধের পর বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু
আগামী ১০ অক্টোবর সকাল থেকে বন্দরের সকল প্রকার আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম চালু হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি মহাপরিকল্পনা চান রেলমন্ত্রী
বাংলাবান্ধা আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি আব্দুল লতিফ তারিন ও সাধারণ সম্পাদক কুদরত ই খুদা মিলন এবং ভারতের ফুলবাড়ী এক্সপোর্টার অ্যান্ড ইমপোর্টার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল খালেকের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ৫ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা
বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও পাসপোর্ট ও ভিসাধারী যাত্রীদের পারাপার কার্যক্রম চালু থাকবে।
২ বছর আগে
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ৩ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে বৃহস্পতিবার থেকে টানা তিন দিন আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী, জাতীয় শিশু দিবস ও পবিত্র শব ই বরাত উপলক্ষে তিন দিন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
তবে স্থলবন্দরের সরকারি কার্যক্রম ও পাসপোর্টধারী যাত্রীদের পারাপার স্বাভাবিক থাকবে বলে জানিয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর ৬ দিন বন্ধ
এ বিষয়ে বাংলাবান্ধা আমদানি রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি আব্দুল লতিফ তারিন ও সাধারণ সম্পাদক কুদরত ই খুদা মিলন জানান, বৃহস্পতিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস, শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির ও শনিবার পবিত্র শব ই বরাত কারণে এই তিন দিন স্থলবন্দরে সকল আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঈদে ১২ দিনের ছুটিতে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর
বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের আমদানি রপ্তানিকারক, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান তারা।
আগামী রবিবার সকাল থেকে পুনরায় স্থলবন্দরের সকল কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে শুরু হবে।
২ বছর আগে
৬ দিন পর বন্ধের পর বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু
করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ও ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণ রোধে পাঁচ দিন বন্ধের পর শনিবার (৫ জুন) থেকে দেশের একমাত্র চতুদেশীয় বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু হয়েছে।
শনিবার দুপুরে ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে ভুট্টাসহ বিভিন্ন কৃষি পণ্য আমদানি করা হয়েছে। তবে পাথর আমদানি হয়নি।
ভারতে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি ও নতুন করে ভ্যারিয়েন্ট ও ফাঙ্গাস সংক্রমণ এড়াতে স্থানীয়দের চাপে মুখে পড়ে ৩১ মে বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ৪ জুন থেকে স্থলবন্দটি চালু হওয়ার কথা থাকলেও শুক্রবার সপ্তাহিক ছুটির দিন থাকায় আজ শনিবার থেকে বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু হয়।
দুপুরে ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে ভুট্টাসহ বিভিন্ন কৃষি পণ্য নিয়ে কিছু ট্রাক ভারতের ফুলবাড়ি- বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এ বন্দরে পাথরের আমদানি বেশি হলেও আজকে পাথরের কোন ট্রাক বন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশ করতে দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে অন্তর্ভুক্তিমূলক বাজেট: ডিসিসিআই
পঞ্চগড় আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী হাসান খান বাবলা বলেন, গত ৪ জুন আমাদের বন্দর খোলার কথা ছিল। গতকাল শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির কারনে স্থলবন্দর বন্ধ ছিল। শনিবার দুপুর থেকে অন্যান্য পণ্য আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে। পাথরের গাড়ি টেন্ডার করা হয়নি এ কারণে আজকে পাথর আমদানি করা যাবে না।
আগামীকাল থেকে স্থলবন্দর পুরোদমে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু হবে বলে তিনি জানান।
৩ বছর আগে
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ৫ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা
পাঁচ দিনের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে দেশের সর্ব উত্তরের সীমান্ত জেলা পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর।
পঞ্চগড় আমদানি রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী হাসান খান বাবলা স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
যাত্রী পারাপার না হলেও আমদানি-রপ্তানির কাজে পণ্য পরিবহণে নিয়োজিত যানবাহন ও চালকরা যাতায়াত করছেন। এতে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসসহ ভারতীয় করোনা ভেরিয়েন্টে আক্রান্তের আশঙ্কায় স্থানীয়দের চাপের মুখে ৫ দিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আগামী ৪ জুন থেকে বন্দরের আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম পুনরায় শুরু হবে। ব্যবসায়ীদের এই সিদ্ধান্তের সাথে একমত হয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও।
আরও পড়ুন:বাংলাবান্ধার সাথে ৪ দেশের রেল যোগাযোগ চালু হবে: মন্ত্রী
দেশের একমাত্র চতুর্দেশীয় এ স্থলবন্দর দিয়ে ভারত, নেপাল ও ভুটানের সাথে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য চলমান রয়েছে। করোনাকালে বর্তমানে যাত্রী পারাপার বন্ধ রয়েছে। তবে পাথরসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি রপ্তানি চলছে। প্রতিদিন ভারত, নেপাল ও ভুটানের শত শত পণ্যবাহী যানবাহন ও চালক প্রবেশ করছে।
বিশেষ এই পরিস্থিতিতে তেঁতুলিয়া উপজেলা করোনা প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনা কমিটি বন্দরের জন্য ১৪টি নির্দেশনা জারি করলেও অধিকাংশই ঠিকমত মানা হচ্ছে না। এর ফলে স্থানীয়দের চাপের মুখে পড়েন বন্দর কর্তৃপক্ষসহ ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন: বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি মহাপরিকল্পনা চান রেলমন্ত্রী
বেশ কিছুদিন ধরে দেশের একমাত্র চতুর্দেশীয় বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে বন্দর সংশ্লিষ্টদের মধ্যে বিশৃংখল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বন্দর বন্ধ রাখা ও চালু রাখার বিষয়ে বন্দর সংশ্লিস্টরা দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। বন্দর সংশ্লিষ্টদের দুটি পক্ষ দু রকম কথা বলছেন।
ব্যবসায়ীদের একটি পক্ষ জানান, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরসহ পুরো তেঁতুলিয়া উপজেলাটি ভারতের তিন দিকে অবস্থিত। ভারত থেকে আমদানি পণ্য নিয়ে আসা ট্রাক চালকদের মাধ্যমে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে। বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পণ্য খালাসের সঙ্গে জড়িত শ্রমিক, চালকসহ কর্মজীবি মানুষজন এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। ভারতের করোনা ভেরিয়েন্ট ও ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বাংলাবান্ধার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ বাসিন্দারা স্থলবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ রাখার দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
অপরদিকে ব্যবসায়ীদের অপর পক্ষটি জানান, বাংলাবান্ধা স্থল বন্দর আমদানি রপ্তানিকারক এসোসিয়েসনের দুটি পক্ষের আত্নসম্মান বজায় রাখার প্রতিযোগিতায় এমনটি ঘটছে। বন্দর খোলা রাখার পক্ষ্যের ব্যবসায়িদের অভিযোগ গত ১০ মে ঈদের ছুটির জন্য ১১ মে থেকে ২১ মে পর্যন্ত আমদানি রপ্তানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে একটি চিঠি দেয় বাংলাবান্ধা স্থল বন্দর আমদানি রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েসনের সভাপতি মেহেদী হাসান খান বাবলা। ঈদ উপলক্ষে দশ দিন আমদানি রপ্তানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তটি মানতে পারেনি ব্যবসায়িদের একটি পক্ষ। তাদের দাবি সারাদেশের অন্যান্য বন্দর যে কয়েকদিন বন্ধ রাখা হবে সেভাবেই এই বন্দরও বন্ধ রাখা হোক। পরে সিনিয়র সভাপতি তফিজুল ইসলাম ১২ মে থেকে ১৬ মে ৫ দিন আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়ে একটি সংশোধনী চিঠি প্রদান করে। এই চিঠির প্রেক্ষিতেই ১৭ মে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়। এ নিয়ে শুরু হয় দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে গত ২৭ মে বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কুদরত-ই-খুদা মিলনসহ স্থানীয় অধিবাসীরা ভারত থেকে আসা কয়েকটি পাথর বোঝাই ট্রাককে ফিরিয়ে দেয়। এর ফলে বন্ধ হয়ে যায় আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম। পরবর্তীতে গত ২৯ মে আবার আমাদানি কার্যক্রম শুরু হলে ব্যবসায়িদের একটি পক্ষ আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য তৎপর হয়ে ওঠে। তারা চান স্থলবন্দরের কার্যক্রম আপাতত বন্ধ থাক। ওই দিনই কোভিড-১৯ এবং ভারতীয় ভাইরাসের সংক্রমন ঠেকাতে কুদরতি-খুদা-মিলনের নেতৃত্বে কিছু ব্যাবসায়ী জেলা প্রশাসকের কাছে বন্দরটি বন্ধ রাখার জন্য অনুরোধ জানান। পরে আমদানি রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েসন একটি চিঠির মাধ্যমে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য সকল ব্যবসায়ীকে আহ্বান জানান। তবে এই সিদ্ধান্ত মানতে চান না কিছু ব্যাবসায়ী সিএন্ডএফ এজেন্ট এবং শ্রমিকরা। তারা চান বন্দরে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম চালু থাক।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর আমদানি রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েসনের সিনিয়র সহ-সভাপতি তফিজুল ইসলাম জানান, জেলা প্রশাসন স্বাস্থ্য বিধি রক্ষায় বাস্তব সম্মত নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়েছেন। বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে এখনো কোন করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়নি। কয়েকজন ব্যাবসায়ী নেতার ব্যক্তিগত ইগো রক্ষার্থে বন্দরটি অচল হয়ে পড়েছে।
বাংলাবান্ধা ইউপি চেয়ারম্যান কুদরত-ই-খুদা মিলন বলেন, দেশে গত কয়েকদিন আগে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়ায় চিন্তিত হয়ে পড়েছেন সীমান্ত উপজেলা তেঁতুলিয়ার মানুষজন, বিশেষ করে বন্দর সংশ্লিষ্ট স্থানীয়রা। তাই নিজের ও এলাকার সুরক্ষার কথা ভেবে একাধিকবার তারা বিষয়টি আমাকে জানায়। পরে ২৫ মে রাতে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বন্দর সংশ্লিষ্ট লোকজনদের নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ রাখার বিষয়ে আলোচনা করা হয়। জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়দের চাপে রবিবার (৩০ মে) থেকে আগামী ৩ জুন পর্যন্ত আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
তিনি বলেন কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যবসায়ি এসি রুমে বসে আমদানি রপ্তানি করতে চান। তাদের জন্য অন্য ব্যবসায়িরা বা স্থানীয় মানুষ ঝুকিতে পড়বে এটা হতে পারেনা। দেশের অন্যান্য সীমান্ত এলাকাগুলোতে করোনা সংক্রমন বাড়ছে। আমরা আতংকে আছি। তাই স্থানীয় ব্যবসায়িরাই আমদানি রপ্তানি বন্ধ করেছে। বন্দর খোলা আছে। তারপরও যদি কেউ আমদানি-রপ্তানি করতে চায়, করতে পারে।
আমদানিকারক ও কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল লথিব তারিন জানান, যেহেতু সীমান্ত জেলাগুলোতে করোনা ভাইরাস এবং ভারতীয় ব্লাক ফাঙ্গাসের সংক্রমন বাড়ছে তাই আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম আপাতত বন্ধ রাখাই ভালো। কয়েকদিন দেখা দরকার। যদি স্বাভাবিক হয় তবে আবার না হয় শুরু করা যাবে।
পঞ্চগড় আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী হাসান খান বাবলা বলেন, ‘অ্যাসোসিয়েশন থেকে কার্যক্রম পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত, রবিবার থেকে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়ছে। বিষয়টি ভারতের পশ্চিবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার ফুলবাড়ি ইম্পোর্টার এক্সপোর্টার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।’
তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহাগ চন্দ্র সাহা বলেন, ‘বন্দর খোলা আছে। ব্যবসায়িরা আমদানি-রপ্তানি করতে পারে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। করোনা ঝুঁকি কমাতে বন্দরে আমরা নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়েছি।’
৩ বছর আগে
কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে পালিয়েছেন বিদেশফেরত ৪ করোনা পজেটিভ রোগী
পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার কাজী শাহাবুদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের অস্থায়ী প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে রবিবার রাতে চারজন করোনা পজেটিভ রোগী পালিয়েছেন।
পালিয়ে যাওয়া রোগীদের বাড়ি পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁওসহ বিভিন্ন জেলায়। ভারত থেকে আসা ১২ জন করোনা রোগী অবস্থান করছিলেন কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে।
আরও পড়ুন: ইউরোপীয় দেশগুলো থেকে আসা যাত্রীদের ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক: বেবিচক
জানা গেছে, রবিবার বিকালে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারত থেকে ১২ জন বাংলাদেশি নারী-পুরুষ দেশে ফেরেন। কাস্টমস-ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদের তেঁতুলিয়া উপজেলার কাজী শাহাবুদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের অস্থায়ী প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হয়। করোনা আক্রান্তদের নিজ খরচে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে অবস্থান বাধ্যতামূলক করা হয়। সেখান থেকে রাতেই চারজন পালিয়ে গেছেন। বর্তমানে আটজন অবস্থান করছেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্য থেকে আসলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক: মন্ত্রিসভা
পঞ্চগড়ের সিভিল সার্জন ডা. ফজলুর রহমান জানান, মহামারি করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ ঠেকাতে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে আগমনকারী দেশি-বিদেশি নাগরিকদের নিজ খরচে এখানে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখার সিদ্ধান্ত নেয় জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি। এজন্য একটি মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ১০টি কক্ষে ৫০ শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রয়োজনে ১৫০ শয্যায় উন্নীত করা হবে।
আরও পড়ুন: ব্রিটেনফেরত যাত্রীদের ৭ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহাগ চন্দ্র সাহা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পালিয়ে যাওয়া ওই চারজনের ঠিকানায় খোঁজ করে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
৩ বছর আগে
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি মহাপরিকল্পনা চান রেলমন্ত্রী
দেশের একমাত্র চতুর্দেশীয় স্থলবন্দর বাংলাবান্ধা নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি মহাপরিকল্পনা করা প্রয়োজন বলে মনে করেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
৪ বছর আগে
ঈদ: বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি ৬ দিন বন্ধ
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে বৃহস্পতিবার থেকে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ৬ দিন চতুর্দেশীয় সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
৪ বছর আগে
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ৭৫ দিন পর বাণিজ্য শুরু
দীর্ঘ ৭৫ দিন বন্ধ থাকার পর শর্ত সাপেক্ষে শনিবার দুপুর থেকে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে।
৪ বছর আগে
চালু হচ্ছে না বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর
পাথর ছাড়া উল্লেখযোগ্য জরুরি পণ্য আমদানি না হওয়ায় আপাতত চালু হচ্ছে না পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার চারদেশিয় স্থলবন্দর বাংলাবান্ধা।
৪ বছর আগে