করোনাভাইরাসজনিত সংক্রমণ প্রতিরোধ ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত ১১ চিকিৎসক সোমবার থেকে এ সেবা দিচ্ছেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
সরকার ঘোষিত চলমান ছুটির সময়ে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চিকিৎসকরা নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করে শ্রমিকদের সেবা দেয়া নিশ্চিত করছেন।
সারা দেশের শ্রমজীবী মানুষ সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের সাথে নির্ধারিত সময়ে মোবাইলে যোগাযোগ করে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিষয়ক পরামর্শ নিতে পারবেন। কোনো শ্রমিকের করোনা সংক্রমণের উপসর্গ আছে বলে মনে হলে, বর্ণিত সমস্যার করণীয় বিষয়ে চিকিৎসকরা মৌখিক পরামর্শ দেবেন এবং ক্ষেত্রবিশেষে প্রয়োজনে মোবাইলে ফিরতি ম্যাসেজের মাধ্যমে ব্যবস্থাপত্র দেবেন।
করোনাভাইরাসের দ্রুত বিস্তার ও সংক্রমণের কারণে গত ১৬ এপ্রিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সমগ্র বাংলাদেশকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে।
এদিকে, রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্প খাতসহ বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে বিপুল সংখ্যক শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। এ প্রেক্ষিতে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে এবং বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায় এ বিপুল সংখ্যক শ্রমিক এবং তাদের পরিবারের স্বাস্থ্য ঝুঁকি প্রশমনে ডাইফে কর্মরত চিকিৎসকদের টেলিমেডিসিন সেবা দিতে সংস্থার মহাপরিদর্শক শিবনাথ রায় স্বাক্ষরিত এক পত্রে নির্দেশ দেয়া হয়।
অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় থেকে ডা. নাজমুন নাহার (০১৭৯৭০১১৯১৯), ঢাকা জেলা কার্যালয় থেকে ডা. দীপা দত্ত (০১৭১৪২৬৬৮৪৩), ডা. লুৎফুন নাহার (০১৯৭২১৩৮৫৩০) ও ডা. তামিনা হোসেন (০১৭১১২৪০৩৯০), গাজীপুর থেকে ডা. বীথি বিশ্বাস (০১৮৪৭১২৯৪৯৩), নারায়ণগঞ্জ থেকে ডা. রাজীব চন্দ্র দাস (০১৭২২৯০৯১২২) ও ডা. জাকিয়া রিজওয়ানা লোটাস (০১৭৮৭৩৮৬৩৬১), বরিশাল থেকে ডা. নবীন কুমার হাওলাদার (০১৯৩৬৪৯৩৪২৭), চট্টগ্রামে থেকে ডা. বিশ্বজিত রায় (০১৭১২৩৮৩৭৭৩), খুলনা থেকে ডা. মো. সোয়াইব হোসেন (০১৭৪৯৫৯৯৭৯৭) এবং সিলেট থেকে ডা. মো. শহিদুল ইসলাম (০১৯১৪৩০০৯১৭) চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন।