টেলিমেডিসিন
সরকারের ১১ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়ন নিশ্চিতের আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকারের ১১ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে জেলা প্রশাসকদের। তাছাড়া যারা স্বাস্থ্যবিধি মানবে না তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়াসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে করোনা মোকাবিলার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক সম্মলনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ডিসিদের সঙ্গে অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, 'যেহেতু কোভিড বাড়ছে,আমরা খুবই আতঙ্কিত না হলেও এটা আশঙ্কাজনক এবং চিন্তার কারণ। আমরা জেলা প্রশাসকদের বলেছি গতবার দ্বিতীয় ঢেউ বা প্রথমে যেভাবে সহযোগিতা করেছেন এবারও সেভাবে সহযোগিতা আপনাদের কাছে আশা করি। আপনারা একটি জেলা পর্যায়ের কমিটির সভাপতিত্ব করেন, সেখানে সকলকে নিয়ে কাজ করবে। আমাদের যে স্থানীয় প্রতিনিধি আছেন তাদেরকে নিয়েও কাজ করবেন। এবং তাদেরকে নিয়ে কাজ করলে আপানাদের কাজ ভালো হবে, সফল হবে।
আরও পড়ুন: ডিসিদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ২৪ দফা নির্দেশনা
তিনি বলেন, আমরা স্বাস্থ্যবিভাগ প্রস্তুত আছি। আগের তুলনায় অনেক ভালো অবস্থায় আছি।আমাদের অক্সিজেনের অভাব নেই। প্রায় ১৩০টি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন স্থাপন করা হয়েছে, যেটা আগে ছিলো না। আমাদের টেলিমেডিসিনের ব্যবস্থা রয়েছে, ২০ হাজার বেড রয়েছে। ৪০ হাজার নতুন লোক নিয়োগ দেয়া হয়েছে, ১৫ হাজার ডাক্তার রয়েছে, ২০ হাজার নার্স রয়েছে, টেকনিশিয়ান রয়েছে। সার্বিক বিষয়ে প্রস্তুতি ভালো। সামনে চলমান ওমিক্রন যেভাবে বাড়ছে সেটার লাগাম ধরে রাখতে আমাদের কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, ১১ দফা বলতে পারেন। বিধিনিষেধগুলো যাতে বাস্তবায়ন করা হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিয়েসহ বিভিন্ন রকম অনুষ্ঠান, সামাজিক অনুষ্ঠান এখন বন্ধ থাকতে হবে। এ বিষয়গুলো আমরা তুলে ধরেছি। পাশাপাশি আমরা বলেছি ল্যান্ডপোর্ট, সিপোর্ট, এয়ারপোর্টেও স্ক্রিনিং চলছে। তাছাড়া যারা কোয়ারেন্টাইনে থাকে তারা যাতে ঠিকভাবে কোয়ারেন্টাইন মেনে চলে সে ব্যাপারে নজরদারি করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৫ ডিসি ও ২ বিভাগীয় কমিশনার করোনায় আক্রান্ত
এসময় যারা স্বাস্থ্যবিধি মানবে না তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন মন্ত্রী।
জাহিদ মালেক বলেন, ১৫ কোটি ডোজ টিকা দিয়েছি, আরও ৯ কোটি হাতে আছে। সবাইকে টিকা দেয়া হবে।সেটি আমরা করতে পারবো। ৯০ ভাগ শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া শেষ হয়েছে।বাকীদেরও দেয়া হবে।
২ বছর আগে
শতভাগ মানুষ টিকার আওতায় না আসা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ কিছুটা কমলেও শতভাগ মানুষ টিকার আওতায় না আসা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
রবিবার দেশের করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে অধিদপ্তরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে এসব কথা বলেন অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম।
তিনি বলেন, গত সাতদিনে এক লাখ ২৬ হাজার ৮৪০টি পরীক্ষা করা হয়েছে, যা আগের সাতদিনের চেয়ে সাড়ে ১২ শতাংশ কম। গত সাতদিনে শনাক্ত হয়েছে দুই হাজার ২৪৩ জন রোগী, সেটিও আগের সপ্তাহের তুলনায় প্রায় ৩২ শতাংশ কম। গত সাতদিনে যে মৃত্যু সংখ্যা দেখেছি সেটিও আগের সপ্তাহের তুলনায় ২১ শতাংশ কম।
তিনি বলেন, গত সাতদিনে সংক্রমণের হার দুই শতাংশের নিচেই ছিল, শুধুমাত্র ১৯ অক্টোবর ২ দশমিক ২০ শতাংশ হয়েছিল। বাকি পুরো সপ্তাহজুড়েই দুই শতাংশের কম ছিল। সামগ্রিকভাবে গত এক মাসে সংক্রমণের হার ক্রমাগত নিম্নমুখী ছিল এবং সেটি এখনও অব্যাহত আছে।
তিনি আরও বলেন, জানুয়ারি মাস থেকে যদি সংক্রমেণের চিত্রটা দেখি তবে জুলাই আগস্ট মাসেই সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের চিত্রটা দেখেছি। জুলাই মাসে তিন লাখ ৩৬ হাজার ২২৬ জন। আগস্ট মাসে দুই লাখ ২৩ হাজার ৪৮০ জন। সে তুলনায় অক্টোবর মাসে মাত্র ১১ হাজার ৫০৬ জন।
আরও পড়ুন: সক্ষমতার চেয়ে বেশি নিবন্ধনে এসএমএস পেতে সমস্যা: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
বর্তমানে করোনা হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ কমে এসেছে। সংক্রমণ কমে আসায় টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে সেবাগ্রহীতাদের সংখ্যাও কমে এসেছে।
সংক্রমণের হার হ্রাস আশাব্যঞ্জক হলেও আত্মতুষ্টিতে ভোগার কোনো কারণ নেই। শতভাগ টিকা না পাওয়া পর্যন্ত সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতেই হবে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশকে করোনামুক্ত বলা যায় কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশকে করোনামুক্ত বলা যাবে না। এখনও প্রতিদিন নতুন নতুন রোগী শনাক্ত হচ্ছে।
কতজন স্কুল শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এ বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ আইসিটি মন্ত্রণালয়কে তথ্য দিচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগে পূর্ণাঙ্গ তথ্য আসলে তা গণমাধ্যমকে জানানো হবে। এ মাসের শেষ সপ্তাহে বা আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে নিবন্ধনকারী স্কুল শিক্ষার্থীদের মোট সংখ্যা জানানো সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: ডব্লিউএইচও’র অনুমোদন পেলেই ১২ বছরের বেশি বয়সীদের টিকা শুরু: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় ১৮ জনের মৃত্যু: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
৩ বছর আগে
প্রাভা হেলথ কেয়ারের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ
বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান প্রাভা হেলথ কেয়ারের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সোমবার রাতে ফোনে এই বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা ইউএনবিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নাসিমা সুলতানা বলেন, প্রাভা হেলথ কেয়ারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আসে। পরে আমরা তদন্ত সাপেক্ষে তাদের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, প্রাভা হেলথ কেয়ারের বিরুদ্ধে করোনার নমুনা পরীক্ষার ভুল রিপোর্ট প্রদানসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ পেয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ।
প্রাভা হেলথ কেয়ার টেলিমেডিসিনের পাশাপাশি ক্লিনিকের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছিল।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় মৃত্যু ২১ হাজার ছাড়াল
টিকা নেয়া করোনা রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যু ঝুঁকি কম: আইইডিসিআরের গবেষণা
৩ বছর আগে
সংকটে কীভাবে মানুষের পাশে থাকা যায় তা দেখিয়েছে ই-ক্যাব
মানুষের বিশেষ করে সংকটের সময়ে টিকে থাকার জন্য প্রয়োজন একে অপরের সাথে সংযোগ। ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) দেখিয়ে দিয়েছে কীভাবে সেটা নিশ্চিত করে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়া যায়।
৪ বছর আগে
শ্রমিকদের জন্য কলকারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তরের টেলিমেডিসিন সেবা চালু
প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের জন্য টেলিমেডিসিন পদ্ধতিতে স্বাস্থ্যসেবা দেয়া শুরু করেছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর (ডাইফ)।
৪ বছর আগে
শ্রমিকদের চিকিৎসা দেবে ১৭ শ্রম কল্যাণ কেন্দ্র
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সারা দেশে থাকা ১৭টি শ্রম কল্যাণ কেন্দ্রের চিকিৎসকরা টেলিমেডিসিন প্রদ্ধতিতে শ্রমজীবী মানুষের চিকিৎসা দেবেন।
৪ বছর আগে