বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কী ঘটবে তা বিএনপি জানতো বলেই এ নির্বাচন বয়কট করেছে দলটি।
তিনি বলেন, ‘আপনারাই গতকালের নির্বাচন দেখেছেন। আমি এটি সম্পর্কে আর কথা বলতে চাই না... আমরা আগেই জানতাম এমনটা সেখানে ঘটবে। সেজন্যই আমরা আগে স্পষ্ট বলেছিলাম এই সরকারের আমলে আমরা কোনো নির্বাচনে যাব না।’
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) এক অংশের আয়োজনে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
আরও পড়ুন: অর্থমন্ত্রীর কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সংবিধান ও নৈতিকতার সংযোগ নেই: ফখরুল
তিনি বলেন, এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যোগদানের অর্থ হলো এর আরও বৈধতা দেয়া। ‘এটি এখন একটি প্রমাণিত সত্য।’
বুধবার কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের তৃতীয় নির্বাচনে মেয়র পদে মনিরুল হক সাক্কুর জয়ের ধারা পাল্টে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন।
দুইবারের মেয়র সাক্কুকে মাত্র ৩৪৩ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন রিফাত।
তবে সাক্কু নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, শেষ সময়ে কয়েকটি কেন্দ্রের ফলাফলে কারচুপি করে পরিকল্পিতভাবে তাকে পরাজিত করা হয়েছে।
ফখরুল আক্ষেপ করে বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর অতিবাহিত হলেও জাতি এখনও শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পারেনি।
আরও পড়ুন: কুসিক নির্বাচন প্রমাণ করেছে নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: ফখরুল
তিনি বলেন, ‘সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে যখন দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হয়েছিল তখন আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া বলেছিলেন, এ ঘটনার মধ্য দিয়ে সহিংসতা ও অস্থিতিশীলতার স্থায়ী কারণ তৈরি করা হয়েছে।’
এমন পরিস্থিতিতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, বিচার বিভাগ, প্রশাসন, শিক্ষাসহ অন্য সব কিছু রক্ষায় দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের বিকল্প নেই বলেও জানান বিএনপির এই নেতা।