তিনি বলেন, ‘নুসরাত জাহান রাফি হত্যায় আওয়ামী লীগের লোকজন জড়িত। যারা ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন তারা স্বীকার করেছেন যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এতে জড়িত ছিলেন। এদিকে, স্থানীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে, কিন্তু গ্রেপ্তার করা হয়নি।’
বিএনপিপন্থী সংগঠন আদর্শ নাগরিক আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত আলোচনায় তিনি আরও বলেন, এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনায় জড়িত স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের গ্রেপ্তারে অনাগ্রহ পুরো জাতিকে বিস্মিত করেছে।
‘ঘটনাটিকে ভিন্ন খাতে নেয়ার এবং ধামাচাপা দেয়ার জন্য মন্ত্রীরা এখন বিভিন্ন কথা বলছেন। অপরাধীরা আওয়ামী লীগের লোক বলে তারা ঘটনাটিকে চাপা দিতে এমন ধৃষ্টতা দেখানোর সাহস করছেন,’ যোগ করেন তিনি।
অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আনা যৌন হয়রানির অভিযোগ প্রত্যাহার করতে রাজি না হওয়ায় ৬ এপ্রিল ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার ছাত্রী নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা। শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে যাওয়া নুসরাত ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান।
নুসরাত যখন বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিলেন তখন ‘ধর্ষক’ অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার মুক্তির দাবি করে আন্দোলন করায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সমালোচনা করেন মোশাররফ হোসেন।
তিনি সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতাসহ মানুষের সব অধিকার কেড়ে নিয়ে দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য সরকারকে অভিযুক্ত করেন।