শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে থানা ঘেরাও করে অবস্থান ধর্মঘট শুরু করে এবং আটককৃতদের ছেড়ে না দেয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে বলে ঘোষণা দেন তারা। এ সময় দাবি আদায়ের লক্ষ্যে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে থানার সামনে প্রায় সহশ্রাধিক নারী-পুরষ অবস্থান নেন।
তবে এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘সেখানে থানা ঘেরাও করার কোনো ঘটনা ঘটেনি। এই মুহূর্তে সেখানে কোনো লোকজন নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে প্রচারণার সময় ছয়জনকে আটক করা হয়। তারা অপরাধী কি-না তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। বিক্ষোভকারীদের বলে দেয়ার পর তারা থানার সামনে থেকে চলে গেছে।’
স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট স ম গোলাম মোস্তফা জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে পুলিশ কোনো কারণ ছাড়াই পারুলিয়া ইউপির ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম, সখিপুর ইউপির ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি রায়হান, আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুল ইসলামসহ সাতজনকে আটক করে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ কোনো কারণ ছাড়াই অন্যায়ভাবে ভোটের মাত্র দুদিন আগে নেতাকর্মীদের আটক করায় তারা বিক্ষুব্ধ হয়ে থানা ঘেরাও করেছেন। আটকদের না ছাড়া পর্যন্ত অবস্থান ধর্মঘট চলবে।
এ ব্যাপারে জানতে দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহার সাথে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
ঘেরাও কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন- স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট স ম গোলাম মোস্তফা, দেবহাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নেওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সখীপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফারুক হোসেন রতন, পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, কুলিয়া ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আসাদুল ইসলাম, দেবহাটা সদর ইউপির চেয়ারম্যান আবু বকরসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
প্রসঙ্গত, আগামী ২৪ মার্চ দেবহাটা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল গণি দ্বিতীয়বারের মতো নৌকা প্রতীক পেয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। মোট পাঁচজন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মূলত লড়াই হবে আনারস প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফার সাথে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল গণির।