আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, তিনি ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতালে স্থানীয় সময় রাত ১১টা ২৫ মিনিটে মৃত্যুবরণ করেন।
সোমবার উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সাহারা খাতুনকে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ ইউনিটে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়।
জ্বর ও বার্ধক্যজনিত কিছু সমস্যার কারণে ২ জুন সাহারা খাতুনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তিনি ছিলেন ঢাকা-১৮ আসন থেকে তিনবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য।
তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে সাহারা খাতুন গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে আজীবন কাজ করে গেছেন এবং দলের দুঃসময়ে নেতা-কর্মীদের পাশে থেকে আইনিসহ সকল সাহায্য-সহযোগিতা প্রদান করেছেন।’
‘তার মৃত্যুতে দেশ ও জাতি একজন দক্ষ নারী নেত্রী এবং সৎ জননেতাকে হারাল। আমি হারালাম এক পরীক্ষিত ও বিশ্বস্ত সহযোদ্ধাকে,’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
সাহারা খাতুনের মৃত্যুতে আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসও গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
এছাড়া, বাণিজ্যমন্ত্রী, এলজিআরডিমন্ত্রী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রী, খাদ্যমন্ত্রী, রেলপথমন্ত্রী, ভূমিমন্ত্রী, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু, কৃষিমন্ত্রী, পানিসম্পদমন্ত্রী প্রমুখ আওয়ামী লীগ নেত্রী সাহারা খাতুনের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন।