তিনি বলেছেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে অনেক অসংগতি রয়েছে...এক মাসের মধ্যে এসব অসংগতি দূর না করা হলে আগামী ৮ জুন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করবে।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আলটিমেটাম দেন কাদের সিদ্দিকী।
এর আগে গত ৬ মে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিভ রহমান পার্থ বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ছাড়ার ঘোষণা দেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এমপিদের শপথ গ্রহণসহ বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে জোট ছাড়েন পার্থ।
ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গত বছরের ১৩ অক্টোবর বিএনপি, গণফোরাম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি-রব) এবং নাগরিক ঐক্যকে নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হয়।
৫ নভেম্বর জোটে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেয় কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ এবং ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে বিএনপির প্রতীক ‘ধানের শীষ’ নিয়ে অংশ নেয়।
নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্ট মাত্র আটটি আসন পায়। এরমধ্যে বিএনপি ছয়টি এবং গণফোরাম দুটি আসনে জয়লাভ করে।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, জাতীয় নির্বাচনের পর থেকেই জোটে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের পর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে মানুষ প্রশ্ন তুলেছে। জোট যথাযথভাবে কাজ করতে পারছে না। নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত ও আহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে ব্যর্থ হয়েছে। ৩০ এপ্রিল শাহবাগে গণজমায়েত আয়োজনে আমরা ব্যর্থ হয়েছি।’
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বলেন, ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের নামে যে ‘নাটক’ হয়েছে জোট সেটা প্রত্যাখ্যান করলেও জাতীয় এক্যফ্রন্টের নির্বাচিতরা শপথ নেয়ায় জনগণের মনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘শপথ নেয়ায় বিএনপির তথাকথিত নির্বাচিত একজনকে প্রথমে বহিষ্কার, পরে আরও চারজনের শপথ গ্রহণ, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের শপথ থেকে বিরত থাকা- এসব মানুষকে বিভ্রান্ত করে এবং আমরা জনগণকে তাদের কোনো প্রশ্নের জবাব দিতে পারিনি।’
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রধান গণফোরামের সমালোচনা করে বলেন, দলীয় সিদ্ধান্ত ভঙ্গ করে শপথ নেয়ার পর ড. কামাল হোসেন মোকাব্বির খানকে তার রুম থেকে বের করে দিয়েছিলেন। পরে তাকে আবার কাউন্সিলে পাশে বসিয়ে সভা করেছেন।
তিনি আরও বলেন, যারা একাদশ জাতীয় সংসদের এমপি হিসেবে শপথ নিয়েছেন তারা মীর জাফরের চাইতেও বেশি নিন্দিত হিসেবে বিবেচিত হবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, জোটের সমস্যা নিয়ে তিনি ড. কামাল, ফখরুল, আ স ম রব, মাহমুদুর রহমান মান্না ও মোস্তফা মহসিন মন্টুসহ ঐক্যফ্রন্টের সিনিয়র নেতাদের সাথে কথা বলেছেন।