তিনি বলেন, ‘সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ ১৯৯১ সালে ক্ষমতা ছেড়ে দেয়ার পরও জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। সব রাজনৈতিক দলের বাধা ও নিষেধ উপেক্ষা করে তিনি উপজেলা পদ্ধতি সৃষ্টি করেন। দেশের মানুষ এখন এর সুফল ভোগ করছে।’
নারায়ণগঞ্জ বন্দরের ময়মনসিংহপট্টিতে এরশাদের চেহলাম উপলক্ষ্যে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এরশাদ সব রাজনৈতিক দলের বিরোধিতার মুখেও জাতিসংঘে সৈন্য পাঠিয়েছিলেন জানিয়ে জিএম কাদের বলেন, এখন শুধু সেনাবাহিনী নয় বাংলাদেশের পুলিশ সদস্যরাও জাতিসংঘ মিশনে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রাখছেন।
আলোচনা সভায় দলের কো-চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধী দলীয় উপনেতা রওশন এরশাদ বলেছেন, ‘হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সারা জীবন মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করেছেন। খুব অল্প সময়ে তিনি ব্যাপক উন্নয়নের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন।’
এরশাদের অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়ন করার অঙ্গীকার করেন তিনি।
স্থানীয় সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে দলের মহাসচিব ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা দাবি করেন, জাতীয় পার্টিতে কোনো বিভেদ নেই। দল এখন আরও শক্তিশালী। ‘যারা জাতীয় পার্টি ও পল্লীবন্ধুকে ভালোবাসেনি তারাই এখন জাতীয় পার্টিতে বিভেদ খুঁজছেন।’