তিনি বলেন, কোভিড-১৯ প্রতিরোধে কার্যকর কোনা পরিকল্পনা বা রোডম্যাপ না থাকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরও এখনো পর্যন্ত কোনো গাইডলাইন দিতে পারেনি।’
দুপুরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উত্তরার বাসা থেকে নয়াপল্টনে জাতীয়তাবাদী হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক দলের আয়োজিত ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন ফখরুল।
বিএনপির এ নেতা বলেন, কয়েকদিন আগে চীনা বিশেষজ্ঞরা এসে বলেছেন যে বাংলাদেশে সবকিছু ‘এলোমেলো’। এখানে কোথায় রোগটি দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে তা চিহ্নিত করতে পারছেন না এবং চিহ্নিত করবার জন্য কোনো ব্যবস্থাও নেই।
‘সরকারের অবহেলার কারণে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা একেবারে ভেঙে পড়েছে। একেবারেই লেজে গোবরে অবস্থা হয়ে গেছে,’ যোগ করেন তিনি।
দেশ ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গেলেও কোভিড-১৯ প্রতিরোধে সরকারের তরফ থেকে নির্দিষ্ট কোনো পদক্ষেপ ও সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে না।
ফখরুল বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র গতকাল (শনিবার) বলেছেন, আর কাল বিলম্ব না করে অনতিবিলম্বে জোন ভিত্তিক ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দুর্ভাগ্যের কথা হলো আমাদের সরকার প্রথম থেকেই এ ভয়াবহ বৈশ্বিক মহামারিকে উপেক্ষা করেছে, অবহেলা করেছে। এটার পেছনে তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল।
তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিলো তারা দেশে রেড জোন, ইয়োলো জোন এবং গ্রিন জোন করা হবে। ঢাকা শহরকে গ্রীন জোন করে কতগুলো অঞ্চলকে ভাগ করা হয়েছে এবং সেগুলোতে তারা কঠোরভাবে লকডাউন বাস্তবায়ন করবেন। কিন্তু একমাত্র পূর্ব রাজাবাজার ছাড়া সেটা কোথাও হয়েছে বলে আমার জানা নেই।
করোনা মোকাবিলায় সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রণোদনা প্যাকেজটি মূলত ব্যাংক ঋণ। কিন্তু এ মুহূর্তে সরকারের গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন ছিলো মানবিক দিকে।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক মহামারির কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষদের বেঁচে থাকার জন্য ন্যূনতম যে সুবিধা প্রয়োজন সেটাও দিতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে।
ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে মাত্র ২৫০০ টাকার করে ৫০ লাখ মানুষকে অনুদান দেয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সেটাও ‘দলীয়করণ’ করার কারণে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে পুরোপুরিভাবে পৌঁছায়নি।
বিএনপির এ নেতার দাবি, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকার বাজেটে স্বাস্থ্যখাতের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেয়নি।
তিনি বলেন, আজকে রাস্তায় মানুষ মারা যাচ্ছে। টেস্ট করতে পারছে না, কোনো টেস্ট হচ্ছে না। এরপরেও কিট কেনার নামে দুর্নীতির সুযোগ করে দিতে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের যে কিট উদ্ভাবন করলেন সেই কিটকে তারা (সরকার) নাকচ করে দিয়েছেন।
এ চরম দুঃসময়ে আজকে দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। দুর্ভাগ্য এ জাতির এমন একটি সরকার দেশ শাসন করছে যারা নির্বাচিত সরকার নয়, যাদের কোনো জবাবদিহিতা নেই, বলেন ফখরুল।