সেই সাথে দুর্নীতি দমন কমিশনকে এ মামলায় পক্ষভুক্ত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সোমবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতে খালেদার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও দুদকের পক্ষে ছিলেন মো. খুরশিদ আলম খান।
আদালতের শুনানিতে দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান জানান, কেরানীগঞ্জ কারাগারের আদালতে বিচারাধীন মামলাটি দুর্নীতির হলেও রিটে দুদককে পক্ষভুক্ত করা হয়নি। কিন্তু মামলাটি তো দুদকের দায়ের করা।
জবাবে খালেদার আইনজীবী মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘আমরা তো মামলা চ্যালেঞ্জ করিনি। কারাগারের ভেতরে আদালত স্থানান্তরের জন্য সরকারের জারি করা প্রজ্ঞাপন চ্যালেঞ্জ করে রিট করেছি।’
এ সময় আদালত বলে, ‘আপনারা দুর্নীতি দমন কমিশনকে পক্ষভুক্ত করে আসুন। বিষয়টি শুনানির জন্য আগামীকালের (মঙ্গলবারের) কার্যতালিকায় প্রথমদিকে থাকবে।’
গত ১২ মে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয় বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ১৭ মামলার বিচারিক কার্যক্রম কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ফৌজদারি কার্যবিধির ৯ নম্বর ধারার ২ নম্বর উপধারায় কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে নবনির্মিত ২ নম্বর ভবনকে অস্থায়ী আদালত হিসেবে ঘোষণা করা হলো।
এ প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে ২১ মে খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। কিন্তু নোটিশের কোনো জবাব না পেয়ে রবিবার রিট আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।
দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরানো কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন বিএনপি নেত্রী। তবে চিকিৎসার জন্য চলতি বছরের ১ এপ্রিল তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) নেয়া হয়। এরপর থেকে সেখানেই আছেন তিনি।
প্রজ্ঞাপন প্রকাশের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছিলেন, বিএসএমএমইউতে চিকিৎসা শেষে খালেদা জিয়াকে কেরানীগঞ্জ কারাগারে নেয়া হবে। পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারকে জাদুঘর বানানো হবে বলেও জানান তিনি।