তিনি বলেন, ‘দেশের স্বাস্থ্য খাত ভেন্টিলেশনে রয়েছে সরকারও কিন্তু ভেন্টিলেশনের খুব একটা বাইরে না। ভেন্টিলেশনের যে একটা পাইপ থাকে, সেই টিউবটা খোলার লোক নেই। এটা খুললে লাইফ সাপোর্টে থাকাদের মৃত্যু হয়। জনগণের সমর্থনহীন ভোটারবিহীন ভোট ডাকাতের সরকারের লাইফ সাপোর্টে থাকা ছাড়া অন্য কোথাও থাকার সুযোগ নেই।’
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত এর সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মাদ রহমাতুল্লাহর সুস্থতা কামনায় এক দোয়া মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির এ নেতা বলেন, জনগণ যদি এ লাইফ সাপোর্ট খোলার দায়িত্ব নিয়ে নেয়, তাহলে সরকারের মেয়াদ খুব বেশি থাকার কথা নয়। আমি কোনো গল্প বলছি না, পারিপার্শ্বিক অবস্থা, রাজনীতি সব কিছু বিশ্লেষণ করলেই তা বুঝা যায়।
তিনি বলেন, আমাদের কাছে বর্তমান সরকার ও রাজনীতির রোগ নির্ণয় করা আছে। আমরা বুঝতে পারছি, কিন্তু ওষুধটা দিতে পারছি না।
ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়া বিসর্জন দিয়ে আমাদের মূল লক্ষ্য হবে জনগণকে বর্তমান সরকারের ‘নির্যাতন’ থেকে মুক্তি দেয়া উল্লেখ করে গয়েশ্বর বলেন, আমাদের দেশের গনতন্ত্র ফিরিয়ে আনার বিষয়ে নজর দিতে হবে। তারচেয়ে বড় প্রাপ্তি আমাদের আর কিছু থাকতে পারে না। যে রাষ্ট্রে জনগণের কোনো অধিকার নেই সে রাষ্ট্রে বড় পদ, বড় পদবি বোঝা ছাড়া কিছুই নয়।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘সরকার করোনা মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হওয়ায় ও কার্যকর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে না পারায় দেশের মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে ও অনেকে মারা যাচ্ছেন।’
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আসলে, এ সরকার করোনার চেয়ে মারাত্মক। মানুষ এক রোগে আক্রান্ত এবং নির্যাতিত হচ্ছেন। সেই রোগের নাম হাসিনা যিনি করোনার চেয়ে ভয়ঙ্কর। এ রোগমুক্তির জন্য শুধু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললেই চলবে না, রাজনীতি ও গণতন্ত্রের বিধি মেনে গণতন্ত্রকে অনুসরণ করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে।’