সকালে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের বেঞ্চ সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মেডিকেল প্রতিবেদন পড়ার পর এ সময় নির্ধারণ করেন।
এর আগে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষের দেয়া মেডিকেল প্রতিবেদন হাইকোর্ট বেঞ্চের সামনে উপস্থাপন করেন।
বুধবার বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রতিবেদনটি সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয়ে জমা দেয় বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, খালেদা জিয়া উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা ও আর্থ্রাইটিসে ভুগছিলেন, তবে বর্তমানে এগুলো নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এখন তিনি পিঠে ব্যথায় ভুগছেন, তবে বিএনপি নেত্রী মেডিকেল বোর্ডকে বিএসএমএমইউ-তে উন্নত চিকিৎসা দেয়ার অনুমতি দেননি।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি গুরুতর অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে হাইকোর্টে নতুন করে জামিন আবেদন করেন বিএনপি প্রধান।
খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ এবং তার উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন উল্লেখ করে ওই আবেদনে বলা হয়, ‘বিএসএমএমইউ-তে খালেদা সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছেন না এবং জামিন পেলে তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যেতে চান।’
বিএসএমএমইউ প্রতিবেদন সম্পর্কে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে খালেদার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, বিএসএমএমইউ মেডিকেল বোর্ড প্রতিবেদনে উল্লেখ করতে পারে যে, প্রয়োজনীয় টিকা গ্রহণের বিষয়ে অস্বীকৃতি জানিয়ে উন্নত চিকিৎসা প্রদানের ক্ষেত্রে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অনুমতি দেননি বিএনপি প্রধান।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কায় খালেদা জিয়া টীকা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন উল্লেখ করে মাহবুব হোসেন আরও বলেন, ‘বিএসএমএমইউ মেডিকেল বোর্ড ভ্যাকসিনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ঠেকাতে সক্ষম কিনা সে বিষয়েও তিনি সন্দিহান, এজন্যই মেডিকেল বোর্ডকে উন্নত চিকিৎসা শুরু করার অনুমতি দেননি খালেদা।’
এদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, বিএসএমএমইউতে উন্নত চিকিৎসা দেয়া হয়েছে বলেই খালেদা জিয়ার জামিন গ্রহণযোগ্য নয়।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টসহ দুটি দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।