কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে সাবেক সংসদ সদস্য মনিরুল হক চৌধুরীর বাড়িতে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি আরও বলেন, তারা তাদের চেয়ারপার্সনের জামিনে মুক্তি চান, প্যারোলে নয়। কারণ তার মামলাটি জামিনে মুক্তি যোগ্য।
পরে ফখরুল কুমিল্লা-১০ আসনে গত নির্বাচনের সময় সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত নেতা-কর্মীদের সাথে মতবিনিময়ের করেন।
তিনি বলেন, তাদের চেয়ারপার্সনের আইনগতভাবে জামিন প্রাপ্য। কিন্ত সরকার ইচ্ছেকৃতভাবে তার জামিন বিলম্বিত করছে। যে কারণে তিনি ১৪ মাস ধরে কারাগারে আছেন।
সরকার দলের অনেকে সাজাপ্রাপ্ত হয়েও মুক্ত আছেন এবং মন্ত্রীও হয়েছেন বলে দাবি করেন বিএনপি মহাসচিব।
তার অভিযোগ, সরকার অশুভ উদ্দেশ্যে খালেদা জিয়াকে কেরানীগঞ্জ কারাগারে পাঠানোর চেষ্টা করছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানের তিনটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের বিষয় ফখরুল বলেন, ‘এক দেশের আদালত আরেক দেশের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধের নির্দেশনা দিলে তা বন্ধ হয় কি না আমার জানা নেই।’
মতবিনিময়কালে কুমিল্লা-১০ আসনের ৯৫ জন ক্ষতিগ্রস্ত নেতা-কর্মীকে ১৫ হাজার টাকা করে অনুদান দেন বিএনপি মহাসচিব।
এ সময় সাবেক সংসদ সদস্য মনিরুল হক চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ, কবির মুরাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।