স্থানীয় বিএনপি নেতারা জানান, জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন বুধবার বিকালে উপজেলার জামালপুরে পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন শেষে দলীয় লোকজনকে সাথে নিয়ে পাশের মোক্তারপুরে রওনা দেন। তার সাথে মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার ও মাইক্রেবাসের বিশাল বহর ছিল। পথে বহরে হামলা চালিয়ে মোটরসাইকেল ও কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
মিলন জানান, বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে যাওয়ার পথে তাদের সড়কের কয়েকটি স্থানে বাধা দেয়া হয়। এসব বাধা উপেক্ষা করে তিনি জামালপুর থেকে মোক্তারপুরে যাওয়ার পথে সাওরাইদ বাজারের কাছে একদল যুবক লাঠি-সোটা ও রাম দা নিয়ে গাড়ি বহরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও তার দলের নেতা-কর্মীদের আহত করে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর-৫ আসন থেকে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী মিলন আরও দাবি করেন, ঘটনার সময় মোক্তারপুর ইউনিয়নেই অবস্থান করছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। তার অবস্থানকালেই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এই হামলা চালিয়েছে।
শুধু এই হামলা নয়, গত ১০ বছর ধরেই কালীগঞ্জে বিএনপি কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাতে পারছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, তারা কেউ হামলা বা ভাঙচুরের সাথে জড়িত নয়। এটা বিএনপির সাজানো নাটক।