রবিবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘গত ১২ নভেম্বর যেভাবে গাড়িতে আগুন দেয়া হলো ২০১৪-১৫ সালে ঠিক একইভাবে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছিল। এই ন্যাক্কারজনক কাজটি করার পর আরেকটি ন্যাক্কারজনক কাজ করা হয়েছে, এটিকে অস্বীকার করা হয়েছে। মির্জা ফখরুল সাহেবসহ বিএনপির ঊর্ধ্বতন নেতারা এটি নিয়ে মিথ্যাচার করেছে, অস্বীকার করেছে। এর মাধ্যমে তাদের মধ্যে যে দুষ্কৃতিকারী আছে তাদের আড়াল করার চেষ্টা করেছে।’
‘যেসব দুষ্কৃতিকারী এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে তারা যেমন অপরাধী তেমনি যারা এই দুষ্কৃতিকারীদের আড়াল করার চেষ্টা করেছেন তারাও অপরাধী,’ বলেন তথ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, যারা এক্ষেত্রে মত দিয়েছেন ও অর্থ দিয়েছেন তারাও সমানভাবে অপরাধী। ইতোমধ্যে ভিডিও ফুটেজ দেখে অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অতি সম্প্রতি যুবদল, ছাত্রদলের কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা স্বীকার করেছেন বনানীতে বসে এই পরিকল্পনা হয়। কোথা থেকে অর্থ এসেছে সেগুলো তারা স্বীকার করেছে। এই স্বীকারোক্তির পর মির্জা ফখরুল সাহেবরা কী বলবেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘এখন জনগণের দাবি হচ্ছে যারা এভাবে বাসে আগুন দিয়েছেন, পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেছেন তারা যেমন অপরাধী, যারা তাদের নিয়ে মিথ্যাচার করে তাদেরকে আড়াল করার অপচেষ্টা চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া উচিত।’
বিএনপি নেতা গয়েশ্বরের মন্তব্যের বিষয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গয়েশ্বর বাবু সকালে একবার আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনার সরকারের বিষোদগার করেন, আবার বিকাল বেলাও করেন। এটিই প্রমাণ করে দেশে গণতন্ত্র আছে। গণতন্ত্র হরণ করেছিল বিএনপি। বন্দুক উচিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান আর ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে কি গণতন্ত্র ছিল? সেই নির্বাচনে যখন বঙ্গবন্ধুর খুনিকে বিরোধী দলীয় নেতা বানিয়ে তার গাড়িতে পতাকা লাগিয়ে দেয়া হয়েছিল তখন গণতন্ত্র হরণ করা হয়েছিল। দেশে গণতন্ত্র আছে। এই গণতন্ত্রকে নস্যাত করার পরিকল্পনা চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি।