সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রথমত সেখানে ভোটার টার্নআউট কম হওয়ার প্রধান কারণ করোনা। দ্বিতীয়ত নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করলেও শেষের দিকে তারা হাল ছেড়ে দিয়ে ঘরে বসে ছিল। তবে নির্বাচনের দিন তারা কিছু সহিংসতা করেছে, বিশেষ করে তাদের কাউন্সিলর প্রার্থীরা, বিভিন্ন জায়গায় তারা আক্রমণ চালিয়ে ইভিএম ভেঙে দিয়েছে, আক্রমণ চালিয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলামের ছেলেকে তারা আহত করেছে, আরও বেশ কয়েকজন তাদের হামলায় আহত হয়েছে।’
আরও পড়ুন: আ’লীগ যতদিন ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন মানুষকে সেবা দেবে: তথ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, ‘সার্বিকভাবে আমি বলব বাংলাদেশে সিটি করপোরেশন নির্বাচন বা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সব সময় ছোট খাটো ঘটনা ঘটেছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের বিভিন্ন রাজ্য এবং পশ্চিম বাংলায়ও এ ধরনের ঘটনা ঘটে। কলকাতা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সময় এবং ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় ১৯ জন মানুষ মারা গেছেন। এমনকি কলকাতা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী রুপা গাঙ্গুলীর নির্বাচনী প্রচারণার মিটিং তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা ভেঙে দিয়েছিল তার উপস্থিতিতে। সে ধরনের ঘটনাতো চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ঘটেনি। ভোটার টার্নআউট যদিও কম, তবে করোনার মধ্যে সেটি আশা করাও সঠিক নয়।’
আরও পড়ুন: ২০৪১ সালের আগেই দেশ হবে 'সোনার বাংলা': তথ্যমন্ত্রী
নির্বাচনের ফলাফল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম শহরে প্রকৃতপক্ষে ১৯৯৪ সালের পর কার্যত বিএনপি কখনও সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জয়লাভ করেনি। ২০১০ সালে মঞ্জুর আলম মঞ্জু সাহেবকে তারা মনোনয়ন দিয়েছিলেন, তিনি কিন্তু আওয়ামী লীগের মানুষ। সারাজীবন তিনি আওয়ামী লীগ করেছেন, বিএনপির আহ্বানে তিনি হায়ারে খেলতে গিয়েছিলেন। তখন কিন্তু প্রতীকবিহীন নির্বাচন হয়েছে। যেহেতু তিনি দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবে কাজ করেছেন, তিনি বঙ্গমাতার নামে একটি ফাউন্ডেশন করেছেন সেটির অধীনে একটি স্কুল এখনও চালান। সে কারণে আওয়ামী লীগের বহু লোক তার পক্ষে কাজ করেছে। হায়ারে একজন প্লেয়ার ভাড়া করে একবার একটা রেজাল্ট পেয়েছিল, ৯৪ সালের পর থেকে আসলে তারা কোনো ফল পায়নি।’
আরও পড়ুন: সংস্কৃতিচর্চা নতুন প্রজন্মকে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ থেকে দূরে রাখবে: তথ্যমন্ত্রী
চট্টগ্রাম শহর আওয়ামী লীগেরই ঘাঁটি উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এবারও তাদের কোনো কাউন্সিলর প্রার্থী জয়লাভ করেনি। নির্বাচনের সময় তারা এজেন্টকে বের করে দেয়ার অভিযোগ করছে, কিন্তু এজেন্ট তো যায়নি, বের করবে কাকে। বেশিরভাব জায়গায় বিএনপির এজেন্ট যায়নি। সুতরাং যে অভিযোগুলো করছে এগুলো গদবাধা অভিযোগ, মুখ রক্ষার জন্য অভিযোগ। নাচতে না জানলে উঠান বাকা বলার মতো অভিযোগ। এছাড়া অন্য কিছু না।’
আরও পড়ুন: বিএনপির বক্তব্য ‘নাচতে না জানলে উঠান বাঁকা’র মতো: তথ্যমন্ত্রী
টিআইবির রিপোর্টে বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে উন্নতি করছিল, কিন্তু সাম্প্রতিক যে রিপোর্ট এসেছে সেখানে বাংলাদেশ দুই ধাপ পিছিয়েছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটা আমাকে দেখে বলতে হবে, আমি এখনও দেখিনি। না দেখে আমি মন্তব্য করতে চাই না।’