চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু।
রবিবার (৩০ জুলাই) নগরীর নিউ টাইগারপাস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে এসে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে জামায়াত-পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় আহত ১০, আটক ২১
ভোট দিয়ে মহিউদ্দিন বাচ্চু বলেন, বিগত নির্বাচনগুলোর মতো এ নির্বাচনেও আমরা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।
তিনি আরও বলেন, ভোটারদের লম্বা লাইন দেখে বোঝা যাচ্ছে ভোটার উপস্থিতি বেশ ভালো।
মহিউদ্দিন বাচ্চু বলেন, ভোটারদের কেন্দ্রে আনতে তার দলের নেতা-কর্মীরা অতীতের মতো এ নির্বাচনেও কাজ করেছে।
নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা কাজ করছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কখনোই শঙ্কা প্রকাশ করিনি, আমি মনে করছি- শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হচ্ছে।
এর আগে সকাল আটটা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। চলবে একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
এ উপনির্বাচনে প্রার্থীরা হচ্ছেন- আওয়ামী লীগের মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু (নৌকা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. সামসুল আলম (লাঙল), তৃণমূল বিএনপির দীপক কুমার পালিত (সোনালী আঁশ), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের রশীদ মিয়া (ছড়ি), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আরমান আলী (বেলুন) ও মনজুরুল ইসলাম ভূঁইয়া (রকেট)।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম-১০ উপনির্বাচন: ভোটগ্রহণ চলছে, সিসিটিভি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করছে ইসি
নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে স্থাপিত সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
এই আসনে মোট ভোটার রয়েছেন ৪ লাখ ৮৮ হাজার ৬৩৩ জন। আশা করছি শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন শেষ হবে।
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান জানিয়েছেন, ১৫৬টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৫৬৩টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
নির্বাচনী পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে বাইক চলাচলসহ অন্য যন্ত্রচালিত যান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইসি। নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাধারণ কেন্দ্রে অস্ত্রসহ পুলিশের তিন জন, আনসারের দুইজন সদস্য থাকবে।
এছাড়া অস্ত্র ছাড়া লাঠি হাতে আনসারের থাকবে ১০ জন সদস্য এবং একজন গ্রাম পুলিশ সদস্যও মোতায়েন করা হয়েছে।
অন্যদিকে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে পুলিশের একজন ও গ্রাম পুলিশের দুইজন অতিরিক্ত সদস্য নিয়োজিত করা হয়েছে। আবার পুলিশের আটটি মোবাইল টিম ও চারটি মোবাইল স্ট্রাইকিং টিম, র্যাবের চার টিম ও চার প্লাটুন বিজিবি নিয়োজিত রয়েছে ভোটের এলাকায়।
নির্বাচনী অপরাধ আমলে নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও সংক্ষিপ্ত বিচার কাজ পরিচালনায় ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও দুইজন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন।
গত ২ জুন এই আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ডা. আফছারুল আমীনের মৃত্যুতে এই আসনটি শূন্য হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় ৫০০ জামায়াত-শিবির কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা