সোমবার দুপুর ১২টার দিকে নগরীর জামালখানে প্রেস ক্লাবের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহত মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিকদের অভিযোগ, বাঁশখালীর সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমানের পিএস তাজুল ইসলাম ও বাঁশখালী পৌরসভার মেয়র শেখ সেলিমুল হকের নেতৃত্বে এ হামলা হয়েছে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুই হামলাকারীকে আটক করেছে।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সাংবাদিক ও মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধিরা অংশ নেয়। হঠাৎ এমপির লোকজন মিছিল নিয়ে এসে লাঠিসোটা দিয়ে পিঠিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পণ্ড করে দেয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।’
হামলায় আহত হয়েছেন মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কামান্ডার মোজ্জাফফর আহমদ, বাঁশখালী কমান্ডার আবুল হাশেম, সাতকানিয়া কমান্ডার আবু তাহের, মুক্তিযোদ্ধা আজিমুল ইসলাম ভেদু, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবদুর রাজ্জাক, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদসহ আরও অনেকে।
হামলায় গুরুতর আহত দক্ষিণ জেলা কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জহির উদ্দীন মোহাম্মদ বাবর বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রথম প্রতিবাদকারী গেরিলা কমান্ডার মৌলভী সৈয়দ আহমদের বড় ভাই মুক্তিযোদ্ধা আলী আশরাফের মৃত্যুর পর ‘গার্ড অব অনার’ না দেয়া এবং ওই পরিবারকে নিয়ে এমপির নানা ষড়যন্ত্র ও মৌলভী সৈয়দ আহমদ পরিবারের সদস্য সাংবাদিক ফারুক আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদে আজকের এ প্রতিবাদ কর্মসূচি ও মানববন্ধনের আয়োজন করলে এমপির পেটুয়া বাহিনী এ হামলা চালায়।’
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের একটি অবস্থান কর্মসূচিতে প্রতিপক্ষের কয়েকজন হামলা করেছে বলে শুনেছি। তবে কতজন আহত হয়েছেন জানি না। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। দুজনকে আটক করা হয়েছে।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে এমপি মোস্তাফিজ, বাঁশখালীর পৌর মেয়র শেখ সেলিমুল হক ও এমপির পিএস তাজুল ইসলামের মোবাইলে বার বার ফোন করেও কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।