চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে মঙ্গলবার তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের ৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
এ ঘটনার পর ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা গেছে, মেইন গেট এলাকায় সিএমসি ক্যাফেটেরিয়ালের সামনে প্রতিপক্ষের এক নেতাকে ‘মোটকু’ ডাকা নিয়ে ছাত্রলীগের আ.জ.ম নাছির ও শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেলের অনুসারীদের দুই গ্রুপের হাতাহাতি, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের দু’পক্ষের পাল্টাপাল্টি সমাবেশ, ধুনটে ১৪৪ ধারা জারি
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাতে ক্যাম্পাস ক্যাফেটেরিয়া থেকে বের হওয়ার সময় আ.জ.ম নাসিরের অনুসারী রাহাতকে ব্যঙ্গ করে। এ নিয়ে প্রথমে কথা কাটাকাটি পরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। ১০ থেকে ১৫ মিনিট ধরে চলা সংঘর্ষে ৪ জন আহত হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। পরবর্তীতে নাছিরের অনুসারীরা নওফেলের অনুসারী রানাকে একা পেয়ে মারধর করে। এ নিয়ে তারা আবারও সংঘর্ষে জড়ায়। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ কর্মী খুনের ঘটনায় আটক ৬
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উত্তর জোনের উপ কমিশনার মোখলেসুর রহমান বলেন, সামান্য বিষয়ে তারা সংঘাতে জড়িয়েছে। এখন পুরো ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে হয়েছে। তবে পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ‘ছাত্রলীগের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে যুবক নিহত
উত্তর জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আবু বকর সিদ্দিক বলেন, উভয়পক্ষ এখন ছাত্রাবাসে অবস্থান করছে। তারা যাতে আবার সংঘর্ষে জড়াতে না পারে সেজন্য আমরা কঠোর অবস্থানে আছি।