রবিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত সমাবেশে দলটির পক্ষ থেকে এসব দাবি তুলে ধরা হয়। পাশাপাশি সমাবেশ থেকে বিএনপি তাদের ১২টি লক্ষ্যের কথা জানায়।
দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জনসভায় সভাপতিত্ব করেন। তিনি সভায় এসব দাবি ও লক্ষ্যের কথা তুলে ধরেন।
দলের ১২টি লক্ষ্যের মধ্যে রয়েছে- দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির উন্নতির জন্য পদক্ষেপ নেয়া, প্রতিহিংসা থেকে রাজনীতিকে মুক্তি, সুশাসন ও গণতন্ত্র নিশ্চিত করা, উগ্রপন্থীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা, ভারতসহ অন্যান্য দেশের অপরাধমূলক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বাংলাদেশের ভূখণ্ডকে ব্যবহার করার অনুমতি না দেয়া।
মির্জা ফখরুল জানান, তারা আগামী ৩ অক্টোবর দেশব্যাপী সমাবেশের আয়োজন করবে এবং ডিসি বরাবর স্মারকলিপি দেবে। এছাড়া ঢাকায় আগামী ৪ অক্টোবর সমাবেশ করবে এবং বিভাগীয় কমিশনার বরাবর একটি স্মারকলিপি জমা দেবে।
দুপুর ২টার দিকে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশটি শুরু হয়। গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে বন্দি থাকা বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার প্রতি সম্মান দেখিয়ে তাকে সমাবেশের প্রধান অতিথি করা হয়। মঞ্চে তার জন্য একটি চেয়ার খালি রাখা হয়েছে।
বিএনপির অন্য দাবির মধ্যে রয়েছে- বর্তমান সংসদ ও মন্ত্রিসভা ভেঙে দেয়া, সকল রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার করে ও সকল রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি দিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা, নির্বাচন কমিশনের পুনর্গঠন, নির্বাচনে সেনা মোতায়েন এবং ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার বাতিল করা।
সকাল থেকে দলের শত শত নেতা-কর্মী সমাবেশস্থলে জড়ো হতে শুরু করেন। সমাবেশস্থলে ও এর আশপাশে বিপুল আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য মোতায়েন করা হয়।
গত শনিবার, ২২টি শর্ত সাপেক্ষে বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি দেয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে- কোনো উসকানিমূলক বক্তব্য না দেয়া, লাঠি নিয়ে সমাবেশে আসা থেকে বিরত থাকা, বড় ব্যানার ব্যবহার না করা।