রবিবার পাথরঘাটায় গ্যাসলাইন বিস্ফোরণের ঘটনায় চিকিৎসাধীন আহতদের দেখে চমেক হাসপাতালের ৫ তলা থেকে নিচে নামার সময় এ দুর্ঘটনার শিকার হন বিএনপির নেতারা।
এসময় তার সাথে লিফটে ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, পেশাজীবী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. খুরশিদ জামিল, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এম এ আজিজ, চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি কাজী বেলাল, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম সাইফুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, মহানগর যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম রাসেলসহ আরও কয়েকজন। এছাড়া দুজন সাংবাদিকও তাদের সাথে লিফটে আটকা পড়েন।
লিফট অপারেটিং করছিলেন সত্যপ্রিয় বড়ুয়া নামে চমেকের লিফটম্যান।
রবিবার সকালে মহানগরীর পাথরঘাটা এলাকায় একটি বাড়ির গ্যাসলাইনে বিস্ফোরণের ঘটনায় আহতদের দেখতে সোমবার দুপুরে ১৫-২০ জন নেতা-কর্মী নিয়ে চমেক হাসপাতালে যান আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
নিজের একান্ত সচিব মো. সেলিমসহ অন্য নেতা-কর্মীদের নিচে রেখে কয়েকজনকে নিয়ে অর্থোপেডিক ওয়ার্ডে যান তিনি। সেখান থেকে নামার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে ফোন করে মো. সেলিমকে জানালে সবাই মিলে দরজা টেনে তাদের বের করেন।
এ বিষয়ে আমীর খসরু বলেন, ‘দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের দিকে চমেক হাসপাতালের ৫ তলার অর্থোপেডিক ওয়ার্ড থেকে ৩ নম্বর লিফটে চড়ে নামার সময় নিচতলার কাছাকাছি এসে বিকট আওয়াজে লিফটটি ছিঁড়ে পড়ে। তবে আমরা কেউ আহত না হলেও বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে আল্লাহ আমাদের রক্ষা করেছেন।’
লিফটে বিএনপি নেতাদের সাথে আটকা পড়া এনটিভি চট্টগ্রামের প্রতিনিধি আরিচ আহমদ শাহ বলেন, ‘৫ তলা থেকে নামার সময় দ্বিতীয় তলা পর্যন্ত এসে লিফট তার ছিঁড়ে বিকট শব্দে নিচে পড়ে যায়। ২৬ জন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন লিফটটিতে এসময় আমরা ছিলাম মাত্র ১২ থেকে ১৩ জন।’
‘পরে বাইরের লোকজন এবং লিফটম্যান মিলে পেশী শক্তি ব্যবহার করে লিফটের দরজা খুলে আমাদের উদ্ধার করেন,’ বলেন তিনি।
লিফট অপারেটর সত্যপ্রিয় বড়ুয়া বলেন, ‘এই লিফট রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা চলে, কোনো বিশ্রাম না থাকায় যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে।’
পরে পেশাজীবী নেতা ডা. খুরশিদ জামিল চমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আক্তারুল আলমকে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানান।