বৃহস্পতিবার কুড়িগ্রামের বাসভবন থেকে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাতে এক ভয়ঙ্কর দুর্নীতি বিরাজ করছে। দুর্নীতিতে স্বাস্থ্য খাত ধ্বংস হয়ে গেছে। এর মধ্যে গতকাল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি পরিপত্র জারি করেছে যে সরকারি অনুমতি ছাড়া কোনো হাসপাতালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালাতে পারবে না। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে সরকার দুর্নীতিকে সংরক্ষণ করতে চায়।’
‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান পরিচালনা না করলে রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদ এবং জেকেজির চেয়ারম্যান চিকিৎসক সাবরিনার দুর্নীতি প্রকাশ পেত না। দুর্নীতির সাথে যারা জড়িত তারা সরকারি দলের লোকজন। তাদের নিরাপত্তার জন্যই এ পরিপত্র জারি করা হয়েছে। এর ফলে সামনের দিনগুলো স্বাস্থ্য খাতে আরও ভয়ঙ্কর হবে। মানুষ কোনো সেবাই পাবে না,’ যোগ করেন তিনি।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘অনেক এলাকায় বন্যার অবনতি হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ত্রাণ এবং বন্যা মোকাবিলায় নানা ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার কথা থাকলেও আমি তা দেখেনি। বানভাসী মানুষ খাদ্যের অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছে।’
কুড়িগ্রামে করোনা ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করছে এবং মানুষ মারা যাচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘যেখানে ঢাকাতে চিকিৎসা নেই সেখানে কুড়িগ্রামে প্রত্যন্ত অঞ্চলে চিকিৎসা পাওয়া কল্পনাও করা যায় না। এখানে চিকিৎসা ব্যবস্থা না থাকায় নরকতুল্য অবস্থা বিরাজ করছে। করোনা মোকাবিলায় কোনো ধরনের প্রতিকারের ব্যবস্থা নেই।’
বিএনপি নেতা আরও বলেন, ‘দুর্নীতিতে স্বাস্থ্য খাত ধ্বংস হওয়ার পরও সরকারের টনক নড়েনি। তারপরও গতকালকে মূলত দুর্নীতির পক্ষে পরিপত্র জারি করেছে। করোনা মোকাবিলায় সরকারের কোনো প্রতিকারের ব্যবস্থা ছিল না। কার্যত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি, দেশবাসী তা দেখেছে। চিকিৎসা না পেয়ে মানুষ রাস্তায় অ্যাম্বুলেন্সে মারা গেছে। সরকার মানুষের সেবা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।’