জাতীয় সংসদে কার্যপ্রণালী বিধির ২৭৪ ধারায় ব্যক্তিগত কৈফিয়ত দিতে দাঁড়িয়ে তিনি এ ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
এইচএম এরশাদের স্বৈরাচার সরকারের পতনের জন্য আন্দোলন চলাকালে ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর নিহত হন তরুণ নূর হোসেন। তার সম্পর্কে গত ১০ নভেম্বর বনানী কার্যালয়ে জাতীয় পার্টির এক সভায় রাঙ্গা বলেন, নূর হোসেন ছিলেন ইয়াবা ও ফেনসিডিলখোর।
এ মন্তব্যে সমালোচনার ঝড় উঠে। এ বিষয়ে সরকার ও বিরোধী দলীয় কয়েকজন সংসদ সদস্য সংসদে কথা বলেন।
বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ সংসদে বলেন, তিনি ভুল করেছেন এবং এ জন্য ইতিমধ্যে নূর হোসেনের পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে নিজের মন্তব্য নিয়ে রাঙ্গা বলেন, যদি তিনি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ভুল কিছু বলে থাকেন তাহলে এ জন্যও ‘নিঃশর্ত ক্ষমা’ চান।
তবে তিনি বলেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘দুর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসী’ বলেননি।
‘আবারও, যদি কোনো ভুল করে থাকি তাহলে নিঃশর্ত ক্ষমা চাচ্ছি,’ যোগ করেন তিনি।
রাঙ্গা বলেন, তিনি কাউকে কটাক্ষ করে কিছু বলতে চাননি। ‘আমার কথার দায়িত্ব আমার ঘাড়ে নিচ্ছি... (দলীয় অনুষ্ঠানে) আমার বক্তব্যে হয়তো ভুল হতে পারে।’
মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও তাহজীব আলম সিদ্দিকী, জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ ও মুজিবুল হক চুন্নু, গণফোরামের সুলতান মোহাম্মদ মনসুর এবং তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি সংসদে বিষয়টি উত্থাপন এবং রাঙ্গার কঠোর সমালোচনা করেন।