এ সময় আত্মরক্ষার জন্য পুলিশ সদস্যরা ইউনিয়ন পরিষদে আশ্রয় নিলে তাদের ওপর দ্বিতীয় দফা হামলা চালানো হয় এবং তাদের ইউপি কার্যালয়ে আটকে রেখে বাইরে পাহারা বসায় হামলাকারীরা।
অবরুদ্ধ পুলিশদের উদ্ধার করতে আসা অতিরিক্ত পুলিশ ঘটানাস্থলে গেলে হামলাকারীদের সাথে আবারও ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলে। এ সময় স্থানীয় দুই সাংবাদিক আহত হন।
পরে, ঘটনাস্থল থেকে মূলহোতা ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি রিয়াজ খলিফাসহ, হামলাকারী খোকন, শাহরিয়ার সিফাত ও রাসেদ খানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (গলাচিপা সার্কেল) মো. ফারুক হোসেন জানান, রাতে গলাচিপা থেকে ৭-৮ জন যুবক রতনদী তালতলী এলাকার শহীদুল মোল্লা জাহিদকে পাওনা টাকার দাবিতে অপহরণ করতে গেলে সেখানে থমথমে পরিস্থিতির তৈরি হয়। খবর পেয়ে গলাচিপা থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় দুপক্ষকে থানায় যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে পুলিশ সবাইকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ জটলা পাকাতে নিষেধ করে।
এতে স্থানীয় যুবলীগ সভাপতি রিয়াজ খলিফা ও তার বাহিনী পুলিশ সদস্যদের ওপর চড়াও হয়। পুলিশ সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে পাশের ইউনিয়ন পরিষদে আশ্রয় নিলে সেখানে রিয়াজের নেতৃত্বে তার দলের লোকজন আবার পুলিশের হামলা চালায়। এ সময় সাতজন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হন।
পরে পুলিশ সদস্যদের আশ্রয় নেয়া কক্ষের বাইর থেকে তালা মেরে দেয়া হয়েছে- এমন খবর পেয়ে গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে তাদের ওপরও হামলাকারীরা একই কায়দায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন এবং লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালান। এ সময় তারা পুলিশের পিকআপ ভ্যানের গ্লাস ও তিনটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন।
ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলাকারীদের লাঠির আঘাতে মাইটিভির গলাচিপা প্রতিনিধি সাইদ হাসান এলাহি ও এশিয়ান টিভির প্রতিনিধি সাব্বির আহমেদ ইমন আহত হন।
এ ঘটনায় গলাচিপা থানায় পুলিশ ও সাংবাদিক বাদী হয়ে পৃথক মামলা করেছেন।