প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের (পিডিপি) চেয়ারম্যান এবং মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক কুরেশী ঢাকা সেনানিবাস এলাকার তার মেয়ের বাড়িতে সোমবার বেলা দেড়টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী নীলুফার পান্না কুরেশী।
নীলুফার পান্না কুরেশী বলেন, তার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন বার্ধক্যজনিত জটিলতায় ভুগছিলেন এবং মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণের কারণে তিনি মারা যান।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী নিলুফার, দুই কন্যা, এক পুত্র, অসংখ্য আত্মীয়স্বজন এবং শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন।
কুরেশীকে ফেনীর দাগুনভূঁইয়া উপজেলার তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
তিনি ৬০ এর দশকে অবিভক্ত পাকিস্তান ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন এবং ১৯৬১ সালে ডাকসুর ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৬৯ সালে ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের সময় তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। যা পরে জাতিকে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতিতে সহায়তা করে।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের মুখপত্র হিসেবে পরিচিত দেশ বাংলার সম্পাদক ছিলেন তিনি।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন কুরেশী এবং ১৯৭৮ সালে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হন।
২০০৭ সালে ১/১১ এর রাজনৈতিক পরিবর্তনের সময় বহুল আলোচিত প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল (পিডিপি) গঠন করেন ফেরদৌস আহমেদ কুরেশী।