আর্থিক সংকটের কারণে স্কোয়াডের ব্যাপ্তি বাড়াতে না পারার ফল এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে বার্সেলোনা। মৌসুমের শেষে এসে যখন সম্ভাব্য সবগুলো শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা দলটির জন্য জোরালো হচ্ছে, ঠিক তখনই টানা ম্যাচ খেলে চলায় একের পর এক দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়রা চোট পেয়ে ছিটকে যাচ্ছেন।
শনিবার (২০ এপ্রিল) রাতে ঘরের মাঠে অসাধারণ এক প্রত্যাবর্তনে সেল্তা ভিগোর কাছ থেকে জয় ছিনিয়ে নেয় হান্সি ফ্লিকের দল।
দুই বছর পর লা লিগা শিরোপা ঘরে তুলতে শুধু এই ম্যাচটি নয়, লিগের অবশিষ্ট ম্যাচগুলোতেও জয়ের বিকল্প নেই কাতালানদের। তাছাড়া আগামী শনিবার কোপা দেল রের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হবে তারা। এরপর ১ ও ৭ মে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ সেরি-আ চ্যাম্পিয়ন ইন্টার মিলান। ১১ মে-ই আবার লিগে রিয়ালকে ঘরের মাঠে আতিথ্য দেবে বার্সেলোনা। সব মিলিয়ে মহা গুরুত্বপূর্ণ কয়েক সপ্তাহ অপেক্ষা করছে দলটির সামনে।
আরও পড়ুন: হারের শঙ্কা জাগিয়েও সাত গোলের থ্রিলার জিতল বার্সেলোনা
মৌসুমজুড়ে যে পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে এই পর্যায়ে এসেছে হান্সি ফ্লিকের দল, তাতে বার্সা সমর্থক থেকে শুরু করে ফুটবল সমালোচক—সবার কাছেই এ মৌসুমের সম্ভাব্য সব শিরোপার অন্যতম শক্তিশালী দাবিদার কাতালান জায়ান্টরা।
তবে নতুন ফরমেটের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এবং সব প্রতিযোগিতায় এখন পর্যন্ত টিকে থাকায় পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়ার ফুসরত পাচ্ছেন না দলটির খেলোয়াড়রা, যার প্রভাব পড়ছে তাদের শরীরে। আর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্রমেই তা প্রকাশিত হয়ে এখন বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে দলটির জন্য।
সেল্তা ম্যাচে পায়ের পেশিতে টান লাগায় ৭৮তম মিনিটে মাঠ ছাড়েন দলের সর্বোচ্চ গোলদাতা রবের্ট লেভানডোভস্কি। এরপর আজ (রবিবার) তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর ভক্তদের দুঃসংবাদ শুনিয়েছে বার্সেলোনা। ক্লাবের বিবৃতিতে তার হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পাওয়ার খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।
এই চোটের ফলে অন্তত তিন সপ্তাহ তাকে মাঠের বাইরে থাকতে হবে বলে একাধিক স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে। তা সত্যি হলে কোপা দেল রের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তাকে পাবেন না ফ্লিক। তাছাড়া চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের দুই লেগে তার খেলা নিয়েও তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।
আরও পড়ুন: ফিরে আসা কাকে বলে, দেখিয়ে দিল বার্সেলোনা
গত সপ্তাহে লিগ ম্যাচে চোটে পড়েন দলটির লেফট ব্যাক আলেহান্দ্রো বালদে। তিনিও হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়ে তিন সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে চলে গেছেন।
বালদের অনুপস্থিতিতে বার্সার রক্ষণ খানিকটা দুর্বল হয়ে গেছে। মাঠের খেলায় তা স্পষ্টতই চোখে পড়ে। এদিকে, দলটির সব শিরোপা জয়ের সম্ভাবনাকে সব শিরোপা হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কায় পরিণত করেছে লেভানডোভস্কির অনুপস্থিতি।